ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::

কুমিল্লার

চৌদ্দগ্রামে ছালেহ আহম্মেদের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

জহিরুল ইসলাম সুমন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১২:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
  • / ৯৭২৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের দেড়কোটা গ্রামে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ছালেহ আহম্মেদের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকবাসী।

রোববার সকালে উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের দেড়কোট বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ছালেহ আহম্মেদের বাবা আবুল কাশেম, ভাই আবদুল মোতালেব, স্বজন ডাঃ আবুল কাশেম, আবুল হোসেন, দুলাল মিয়া, ফয়েজুল্লাহ, স্বপন মিয়াজী, শাহ আলম, মোঃ মোস্তফা, আবদুল মজিদ, মোঃ হারুনসহ গ্রামের লোকজন।

মানববন্ধনে নিহতের বাবা আবুল কাশেম ও ভাই আবদুল মোতালেবসহ স্বজনরা বলেন, জামাল উদ্দিন ও মহিন উদ্দিন গং পরিকল্পিতভাবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছালেহ আহম্মেদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পিতাহীন হয়েছে ছালেহ আহম্মেদের ছেলে সায়মন(৯), মেয়ে সায়মা(৭) ও সায়ফা(২)। ছোট ছেলে-মেয়েরা সারাদিন বাবা বাবা বলে চিৎকার করে। তাদেরকে এখন কি বুঝ দিব? তাদেরকে এখন কে ভরণ-পোষণ দিবে? আমরা ছালেহ আহম্মেদ হত্যাকারী জামাল উদ্দিন ও মহিন উদ্দিনকে শিগগিরই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করছি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অপর দুই আসামীদেরও গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে’।

উল্লেখ্য, উপজেলা মুন্সিরহাট ইউনিয়নের দেড়কোটা গ্রামের ব্যাপারী বাড়ির আবুল কাশেমের সাথে সম্পত্তি নিয়ে তাঁর ভাগিনা জামাল উদ্দিন ও মহিন উদ্দিনের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ১৩ মে সোমবার সন্ধায় উঠান ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ সৃষ্টি হলে ছালেহ আহম্মেদকে জামাল উদ্দিন ও মহিন উদ্দিন গং ছুরিকাঘাত করে এবং তাঁর বাবা আবুল কাশেম ও ভাই আব্দুল মোতালেবকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছালেহ আহম্মেদকে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর ঘাতক দুই ভাই পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আবুল কাশেম বাদি হয়ে ঘাতক জামাল উদ্দিন, মহিন উদ্দিন, তাদের মা মনোয়ারা বেগম, জামালের স্ত্রী শাহেনা আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক দুই নারীকে গ্রেফতার শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কুমিল্লার

চৌদ্দগ্রামে ছালেহ আহম্মেদের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ১২:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের দেড়কোটা গ্রামে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ছালেহ আহম্মেদের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকবাসী।

রোববার সকালে উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের দেড়কোট বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ছালেহ আহম্মেদের বাবা আবুল কাশেম, ভাই আবদুল মোতালেব, স্বজন ডাঃ আবুল কাশেম, আবুল হোসেন, দুলাল মিয়া, ফয়েজুল্লাহ, স্বপন মিয়াজী, শাহ আলম, মোঃ মোস্তফা, আবদুল মজিদ, মোঃ হারুনসহ গ্রামের লোকজন।

মানববন্ধনে নিহতের বাবা আবুল কাশেম ও ভাই আবদুল মোতালেবসহ স্বজনরা বলেন, জামাল উদ্দিন ও মহিন উদ্দিন গং পরিকল্পিতভাবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছালেহ আহম্মেদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পিতাহীন হয়েছে ছালেহ আহম্মেদের ছেলে সায়মন(৯), মেয়ে সায়মা(৭) ও সায়ফা(২)। ছোট ছেলে-মেয়েরা সারাদিন বাবা বাবা বলে চিৎকার করে। তাদেরকে এখন কি বুঝ দিব? তাদেরকে এখন কে ভরণ-পোষণ দিবে? আমরা ছালেহ আহম্মেদ হত্যাকারী জামাল উদ্দিন ও মহিন উদ্দিনকে শিগগিরই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করছি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অপর দুই আসামীদেরও গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে’।

উল্লেখ্য, উপজেলা মুন্সিরহাট ইউনিয়নের দেড়কোটা গ্রামের ব্যাপারী বাড়ির আবুল কাশেমের সাথে সম্পত্তি নিয়ে তাঁর ভাগিনা জামাল উদ্দিন ও মহিন উদ্দিনের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ১৩ মে সোমবার সন্ধায় উঠান ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ সৃষ্টি হলে ছালেহ আহম্মেদকে জামাল উদ্দিন ও মহিন উদ্দিন গং ছুরিকাঘাত করে এবং তাঁর বাবা আবুল কাশেম ও ভাই আব্দুল মোতালেবকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছালেহ আহম্মেদকে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর ঘাতক দুই ভাই পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আবুল কাশেম বাদি হয়ে ঘাতক জামাল উদ্দিন, মহিন উদ্দিন, তাদের মা মনোয়ারা বেগম, জামালের স্ত্রী শাহেনা আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক দুই নারীকে গ্রেফতার শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।