ঢাকা ১২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
নীলফামারীতে আগাম আলু তোলা শুরু, মাঠেই বিক্রি ৯০ টাকা কেজি শ্রীপুরে মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার সময়ে কে কত মিথ্যে বলতে পারে এই প্রতিযোগীতা ছিলো- ডা. শফিকুর রহমান শ্রীপুরে বিএনপি’র বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা রসুলপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে বারপাড়া সমাজকল্যান পরিষদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ শ্রীপুরে প্রতিবন্ধী শনাক্ত জরিপ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত শ্রীপুর প্রেসক্লাবের নতুন সভাপতি মুসাফির নজরুল ও সাধারণ সম্পাদক নাসিরুল ইসলাম অর্থের অভাবে জীবন যুদ্ধে জয়ী সালমা খাতুন কি এবার পরাজয় বরণ করবে? কুমিল্লায় জাকের পার্টির ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের প্রতিনিধি সম্মেলন

জলঢাকায় মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোরকে/ সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২
  • / ৯৬৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নবীজুল ইসলাম নবীন, নীলফামারী:

জলঢাকায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে একাধিক বার ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগে দুই কিশোরকে গ্রাম ছাড়া করেছেন অত্র এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মাতব্বরা।।

গত বুধবার (০৫ অক্টোবর) নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের পায়রাবন্দ গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী জিয়ারুল ইসলাম ওই গ্রামের আজিবুর রহমানের ছেলে এবং মাসুম হলেন বিদেশ প্রবাসি আশরাফুল আলমের ছেলে।

খোজ নিয়ে জানা যায়, জাহিদুল ইসলামের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ছদ্মনাম বেবিকে (১৩) ধর্ষণ করা ফলে সে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়। কিন্তু প্রকৃত ধর্ষককে অন্তরালে রেখে জিয়ারুল ইসলাম(১৫) ও মাসুম ইসলাম নামে দুই কিশোরকে ফাঁসিয়ে গোঁপনে একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের ও তাঁর লোকজন।

বৈঠকে ঘটনাটি ধাঁমাচাপা দেয়ার জন্য
জিয়ারুলও মাসুমকে যথাক্রমে দেড়লক্ষ ও দুইলক্ষ টাকা জরিমানার করেন চেয়ারম্যান।এসময় তাদের অভিভাবকরা টাকা দিতে রাজি হলে জিয়ারুল ইসলাম গত ২ অক্টোবর বিষপানে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। পরে তাকে উদ্ধার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেম। এদিকে অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর বাড়িতে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে বাংলাদেশের বার্তাকে তারা বলেন, ক্ষমতাশালী দলের চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুসারীদের ভয়ে অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি। এমনকি পেটে থাকা সন্তানটি নষ্ট করতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে গ্রামছাড়া করার হুমকি দিচ্ছেন। চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুসারীদের ভয়ে বর্তমানে তারা গ্রাম থেকে নিখোঁজ।

এলাকাবাসী আরও বলেন, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জরিমানা করায় আজিবর রহমানের ছেলে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সামসুল হক মুঠোফোনে বাংলাদেশের বার্তাকে বলেন, ঘটনাটি সত্যি। মেয়ের বাবা চেয়ারম্যানের কাছের লোক হওয়ায় আমাকে কেউ কিছু বলেনি। আমি এ বিষয় ভালোভাবে কিছু জানিনা।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বাংলাদেশের বার্তাকে বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার প্রতিপক্ষরা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। এ ধরনের ঘটনা স্থানীয়ভাবে কেউ মিমাংসা করতে পারেনা। যারা স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করবে তারাও অপরাধী বলে বিবেচিত হবেন।

জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ কবির বাংলাদেশের বার্তাকে
বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমার কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। ঘটনাটি এখন মাত্র শুনলাম। তবে মেয়ের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) তিনি বলেন, আমি ঘটনাটি মাত্র শুনলাম। তারা থানায় যোগাযোগ করলে অফিসার ইনচার্জ অবশ্যই ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।

এইচ/কে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জলঢাকায় মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোরকে/ সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

আপডেট সময় : ০৪:১৬:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২

নবীজুল ইসলাম নবীন, নীলফামারী:

জলঢাকায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে একাধিক বার ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগে দুই কিশোরকে গ্রাম ছাড়া করেছেন অত্র এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মাতব্বরা।।

গত বুধবার (০৫ অক্টোবর) নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের পায়রাবন্দ গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী জিয়ারুল ইসলাম ওই গ্রামের আজিবুর রহমানের ছেলে এবং মাসুম হলেন বিদেশ প্রবাসি আশরাফুল আলমের ছেলে।

খোজ নিয়ে জানা যায়, জাহিদুল ইসলামের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ছদ্মনাম বেবিকে (১৩) ধর্ষণ করা ফলে সে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়। কিন্তু প্রকৃত ধর্ষককে অন্তরালে রেখে জিয়ারুল ইসলাম(১৫) ও মাসুম ইসলাম নামে দুই কিশোরকে ফাঁসিয়ে গোঁপনে একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের ও তাঁর লোকজন।

বৈঠকে ঘটনাটি ধাঁমাচাপা দেয়ার জন্য
জিয়ারুলও মাসুমকে যথাক্রমে দেড়লক্ষ ও দুইলক্ষ টাকা জরিমানার করেন চেয়ারম্যান।এসময় তাদের অভিভাবকরা টাকা দিতে রাজি হলে জিয়ারুল ইসলাম গত ২ অক্টোবর বিষপানে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। পরে তাকে উদ্ধার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেম। এদিকে অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর বাড়িতে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে বাংলাদেশের বার্তাকে তারা বলেন, ক্ষমতাশালী দলের চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুসারীদের ভয়ে অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি। এমনকি পেটে থাকা সন্তানটি নষ্ট করতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে গ্রামছাড়া করার হুমকি দিচ্ছেন। চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুসারীদের ভয়ে বর্তমানে তারা গ্রাম থেকে নিখোঁজ।

এলাকাবাসী আরও বলেন, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জরিমানা করায় আজিবর রহমানের ছেলে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সামসুল হক মুঠোফোনে বাংলাদেশের বার্তাকে বলেন, ঘটনাটি সত্যি। মেয়ের বাবা চেয়ারম্যানের কাছের লোক হওয়ায় আমাকে কেউ কিছু বলেনি। আমি এ বিষয় ভালোভাবে কিছু জানিনা।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বাংলাদেশের বার্তাকে বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার প্রতিপক্ষরা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। এ ধরনের ঘটনা স্থানীয়ভাবে কেউ মিমাংসা করতে পারেনা। যারা স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করবে তারাও অপরাধী বলে বিবেচিত হবেন।

জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ কবির বাংলাদেশের বার্তাকে
বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমার কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। ঘটনাটি এখন মাত্র শুনলাম। তবে মেয়ের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) তিনি বলেন, আমি ঘটনাটি মাত্র শুনলাম। তারা থানায় যোগাযোগ করলে অফিসার ইনচার্জ অবশ্যই ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।

এইচ/কে