জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীর ওপর ইসরায়েলি হামলা
- আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
- / ৯৬২১ বার পড়া হয়েছে
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ। হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশসহ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে অবদান রাখা দেশগুলো একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে। ইসরায়েলের ওপর চাপপ্রয়োগের জন্যই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশগুলো।
ফ্রান্স, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, চীন, ভারত, ইতালি, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যসহ ৪০টি দেশ এই চিঠিতে স্বাক্ষর করে। চিঠিতে বলা হয়েছে, তারা শান্তিরক্ষীদের ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।
শুক্রবারের এ হামলায় দুই শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। এ আগের দুই দিনও বৈরুতে শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পোল্যান্ডের জাতিসংঘ মিশনের এক্স হ্যান্ডলে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের অপরাধ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত এবং পর্যাপ্তভাবে তদন্ত করা উচিত।
চিঠি অনুসারে, দক্ষিণ লেবাননে শান্তিরক্ষী বাহিনী এবং তাদের ঘাঁটিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আক্রমণ তুলে ধরা হয়। রোববার (১৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
তবে এখন পর্যন্ত শান্তিরক্ষী বাহিনীর ক্ষতি না করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চাপ দেওয়ার জন্য এই যৌথ প্রচেষ্টার জন্য ইসরায়েলের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
লেবাননে প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহকে নির্মূলে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের ভবনও। এ নিয়ে তিনবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা করেছে ইসরায়েল। যা নিয়ে বিপাকে পড়েছে মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও।
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন তার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে লেবানন পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন। এক বিবৃতিতে এটি নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন।
বিবৃতিতে বলা হয়, অস্টিন দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর ইসরায়েলের ক্রমাগত আক্রমণ এবং সেইসঙ্গে লেবাননের দুই সশস্ত্র বাহিনীর সৈন্যের মৃত্যুর বিষয়ে গ্যালান্টের কাছে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন।
পেন্টাগনের মতে, ইসরায়েলকে দক্ষিণ লেবাননে তার সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই অঞ্চলে একটি কূটনৈতিক প্রচেষ্টার দিকে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
একইসঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অস্টিন দৃঢ়ভাবে শান্তিরক্ষী বাহিনীর নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।