জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের শ্রদ্ধাঞ্জলি

- আপডেট সময় : ০৩:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২
- / ৯৬২৭ বার পড়া হয়েছে
তানজিল আহমেদের রনি
চুয়াডাঙ্গার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম,বিপিএম-সেবা মহোদয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, স্বাধীনতার মহান স্থপতি,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নানান কর্মসূচির আয়োজন করছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সকাল ০৭:০০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ পূর্বক নিরবতা পালন, ১৫ ই আগস্ট ঘাতকের হাতে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা, জনাব আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন), জনাব আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল), জনাব মোঃ মুন্না বিশ্বাস, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল), চুয়াডাঙ্গাসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সকল পর্যায়ের অফিসার ফোর্সগন।
আজ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। বাঙালির শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা করে।
ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল।
এই হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভ্রাতা শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আব্দুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
এইচ/কে