ঢাকা ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
আকাশ ও স্থল পথে ভারতে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশির মৃত্যু সারাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের সুখবর কুমিল্লা জেলা রোভারের কোর্স ফর রোভার মেট কোর্সের সনদ প্রদান বাংলাদেশে ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আবহাওয়া অফিস কুমিল্লা জেলা রোভারের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রথম আলো কুমিল্লা বন্ধুসভার ব্যবস্থাপনায় এম সাদেক স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি কুমিল্লা জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপ কমডেকায় অংশগ্রহনকারীদের সনদ প্রদান

ঝুঁকি থাকলেও সাঁকোই একমাত্র ভরসা মানুষ পারাপারে

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ১০:২৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৯৬৪৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তিতাস(কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা গ্রামের মানুষের পারাপারের এক মাত্র ভরসা হলো বাঁশের সাঁকোটি।জানা যায়,উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নায়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর নির্মিত অনেক পুরনো ব্রিজটি ‘৮৮’র বন্যায় ভেঙে যায়। এরপর থেকেই মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলে ওই ভেঙে যাওয়া ব্রিজের মাঝ খানের পিলারের ওপর বাঁশ বসিয়ে একটি সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করছে মানুষজন।

নয়াকান্দি- বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর ব্রীজ না থাকায় একটি ব্রিজের অভাবে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়েই কয়েক গ্রামের মানুষ চলাচল করতে হয়। তাদের একমাত্র ভরসা হলো এই বাঁশের সাঁকোটি।এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়,উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর একটি ব্রিজের অভাবে জনদুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করছে প্রায় ৭-৮টি গ্রামের মানুষ।

স্থানীয়দের দাবি নয়াকান্দি,বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর একটি ব্রীজের অভাবে ৭-৮ টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিনই চরম ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়।নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের আবদুল মতিন(৬০) বলেন,’ ৮৮’র বন্যার সময় ব্রিজটি ভেঙে গেছে আর হইতাছে না,এই ব্রিজডা নিয়া আমরা অনেক কষ্ট ভোগ করতাছি।আমরা নিজেরা গ্রামের মানুষের কাছ থেকে টেকা টুকা তুইলা বাঁশ-টাস দিয়া ইটাতে একটু সহযোগিতা করি।

৭- ৮ গ্রামের মানুষ এই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করে।স্থানীয় প্রতিনিধিরা কী কোন সহযোগিতা করে না,তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভোট আইলে ভোট নিয়া যায় ব্রিজ কইরা দিবো বইলা,কিন্তু নির্বাচনে পাশ করার পর আর কোন খবর থাকে না।

একই গ্রামের মো.আলী মিয়া(৬২) বলেন,এডার সম্বন্ধে কী বলতাম আমরা তো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছেও গেছি,কোন গুরুত্ব দেয় না এজন্য কাজটা হয় না। আমরা দশের কাছ থেকে টাকা তুইলা বাঁশের সাঁকোটি দিয়েছি, এখন মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারে।

সোনাকান্দা গ্রামের আবুল কাসেম মোল্লা(৭০)বলেন,খালি মাপজোপ নিতাছে আর কইতাছে ব্রিজ হইবো ব্রিজ হইবো! বইলা যায়,কিন্তু ব্রিজ তো আর হয় না।এখানে একটা ব্রিজ হলে আমদের অনেক উপকার হইতো।একটা ব্রিজ করে দিলে এলাকার মানুষ যাতায়াত করতে আর কোন অসুবিধা হতো না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঝুঁকি থাকলেও সাঁকোই একমাত্র ভরসা মানুষ পারাপারে

আপডেট সময় : ১০:২৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তিতাস(কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা গ্রামের মানুষের পারাপারের এক মাত্র ভরসা হলো বাঁশের সাঁকোটি।জানা যায়,উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নায়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর নির্মিত অনেক পুরনো ব্রিজটি ‘৮৮’র বন্যায় ভেঙে যায়। এরপর থেকেই মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলে ওই ভেঙে যাওয়া ব্রিজের মাঝ খানের পিলারের ওপর বাঁশ বসিয়ে একটি সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করছে মানুষজন।

নয়াকান্দি- বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর ব্রীজ না থাকায় একটি ব্রিজের অভাবে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়েই কয়েক গ্রামের মানুষ চলাচল করতে হয়। তাদের একমাত্র ভরসা হলো এই বাঁশের সাঁকোটি।এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়,উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর একটি ব্রিজের অভাবে জনদুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করছে প্রায় ৭-৮টি গ্রামের মানুষ।

স্থানীয়দের দাবি নয়াকান্দি,বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর একটি ব্রীজের অভাবে ৭-৮ টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিনই চরম ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়।নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের আবদুল মতিন(৬০) বলেন,’ ৮৮’র বন্যার সময় ব্রিজটি ভেঙে গেছে আর হইতাছে না,এই ব্রিজডা নিয়া আমরা অনেক কষ্ট ভোগ করতাছি।আমরা নিজেরা গ্রামের মানুষের কাছ থেকে টেকা টুকা তুইলা বাঁশ-টাস দিয়া ইটাতে একটু সহযোগিতা করি।

৭- ৮ গ্রামের মানুষ এই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করে।স্থানীয় প্রতিনিধিরা কী কোন সহযোগিতা করে না,তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভোট আইলে ভোট নিয়া যায় ব্রিজ কইরা দিবো বইলা,কিন্তু নির্বাচনে পাশ করার পর আর কোন খবর থাকে না।

একই গ্রামের মো.আলী মিয়া(৬২) বলেন,এডার সম্বন্ধে কী বলতাম আমরা তো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছেও গেছি,কোন গুরুত্ব দেয় না এজন্য কাজটা হয় না। আমরা দশের কাছ থেকে টাকা তুইলা বাঁশের সাঁকোটি দিয়েছি, এখন মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারে।

সোনাকান্দা গ্রামের আবুল কাসেম মোল্লা(৭০)বলেন,খালি মাপজোপ নিতাছে আর কইতাছে ব্রিজ হইবো ব্রিজ হইবো! বইলা যায়,কিন্তু ব্রিজ তো আর হয় না।এখানে একটা ব্রিজ হলে আমদের অনেক উপকার হইতো।একটা ব্রিজ করে দিলে এলাকার মানুষ যাতায়াত করতে আর কোন অসুবিধা হতো না।