ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড. মোঃ হোসেন মনসুর -এর শিক্ষা,সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন | বাংলাদেশের বার্তা 

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৭:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৯৬৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাব্বির মির্জা।

মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য গ্রন্থটির লেখক ড. মো. হোসেন মনসুর ১৯৫৩ সালে চলনবিলের প্রাণকেন্দ্র সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কুশাবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মো. দেছের উদ্দিন সরকার ও মাতার নাম সানোয়ারা বেগম। নিভৃত পল্লী গ্রামে বেড়ে উঠার কারণে প্রকৃতির সাথে তাঁর একটি নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে। শিশু কালে তার শিক্ষা শুরু হয় গুরু চড়ানো,ঘাস কাটা, মাছ ধরা, ফাঁদ পেতে পাখি ধরা, লাঙ্গল বোয়া, জমি নিড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমে। লালুয়া মাঝিড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর ১৯৬৮সালে কাছিকাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি (প্রথম বিভাগ) এবং১৯৭০ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসিতে বোর্ডে দশম স্থানসহ প্রথম বিভাগে পাস করেন। শিক্ষার প্রতিটি স্তরে তিনি মেধার পরিচয় দেন এবং প্রাথমিক ও জুনিয়ার লেভেলসহ সকল স্তরে সরকারি বৃত্তি লাভ করেন।বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যনরত অনস্থায় ১৯৭২ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সরকারি বৃত্তি নিয়ে রাশিয়া গমন করেন এবং ১৯৭৮সালে মস্কো ভূতাত্ত্বিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।এরপর বেলজিয়াম সরকারের বৃওি নিয়ে ১৯৮৬ সালে ফ্রী ইউনিভার্সিটি অব ব্রসেলস থেকে দ্বিতীয় এমএসসি ডিগ্রি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান এবং ১৯৯০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি ডক্টর অব সায়েনস ডিগ্রি অর্জন করেন। কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে ২০০০সালে তিনি লন্ডনের কিংস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টে ডক্টরাল গবেষণা করেন। ড. মনসুর ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতও্ব বিভাগে লেকচারার পদে যোগদান করেন। দীর্ঘ ৪২ বছর শিক্ষকতার পর প্রফেসর মনসুর ২০২০ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ভূতও্ব বিষয়ে ড. মনসুরের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা পাঁচটি তিনটি বাংলায় এবং দুইটি ইংরেজিতে ।

এ ছাড়াও বিভিন্ন জার্নালে তাঁর প্রচুর
বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিভাগীয় চেয়ারম্যান হলের প্রভোস্ট, সিনেটর, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ̧রুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালন করেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে দুই মেয়াদে (২০০১ ও ২০০৯) পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেন। হাই স্কুলে পড়াকালীন
সময় থেকেই ড. মনসুর ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে ছাত্র রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শিক্ষক এবং আওয়ামী লীগের
সহযোগী সংগঠনের একজন সক্রিয় নেতা ও কর্মী হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।

তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর একজন সদস্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান। ড. মো. হোসেন মনসুর একজন সমাজ সেবক। অনগ্রসর চলনবিলের জনগোষ্ঠিকে আলোকিত করার লক্ষে ̈ প্রতিষ্ঠা করেন বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা
মুজিব আইডিয়াল সরকারি কলেজ, এম মনসুর আলী কলেজ, তাড়াশ ডিগ্রি কলেজসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ড. মনসুর।

তিনি প্রতিবন্ধী স্কুল, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রারসা,
গোরস্তানসহ বহু জনকল্যাণমূলক অবকাঠামো নির্মাণে জমি ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। তিনি দুইকন্যার জনক এবং তাঁর তিন জন নাতি রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ড. মোঃ হোসেন মনসুর -এর শিক্ষা,সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন | বাংলাদেশের বার্তা 

আপডেট সময় : ০৩:৪৭:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

সাব্বির মির্জা।

মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য গ্রন্থটির লেখক ড. মো. হোসেন মনসুর ১৯৫৩ সালে চলনবিলের প্রাণকেন্দ্র সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কুশাবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মো. দেছের উদ্দিন সরকার ও মাতার নাম সানোয়ারা বেগম। নিভৃত পল্লী গ্রামে বেড়ে উঠার কারণে প্রকৃতির সাথে তাঁর একটি নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে। শিশু কালে তার শিক্ষা শুরু হয় গুরু চড়ানো,ঘাস কাটা, মাছ ধরা, ফাঁদ পেতে পাখি ধরা, লাঙ্গল বোয়া, জমি নিড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমে। লালুয়া মাঝিড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর ১৯৬৮সালে কাছিকাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি (প্রথম বিভাগ) এবং১৯৭০ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসিতে বোর্ডে দশম স্থানসহ প্রথম বিভাগে পাস করেন। শিক্ষার প্রতিটি স্তরে তিনি মেধার পরিচয় দেন এবং প্রাথমিক ও জুনিয়ার লেভেলসহ সকল স্তরে সরকারি বৃত্তি লাভ করেন।বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যনরত অনস্থায় ১৯৭২ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সরকারি বৃত্তি নিয়ে রাশিয়া গমন করেন এবং ১৯৭৮সালে মস্কো ভূতাত্ত্বিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।এরপর বেলজিয়াম সরকারের বৃওি নিয়ে ১৯৮৬ সালে ফ্রী ইউনিভার্সিটি অব ব্রসেলস থেকে দ্বিতীয় এমএসসি ডিগ্রি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান এবং ১৯৯০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি ডক্টর অব সায়েনস ডিগ্রি অর্জন করেন। কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে ২০০০সালে তিনি লন্ডনের কিংস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টে ডক্টরাল গবেষণা করেন। ড. মনসুর ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতও্ব বিভাগে লেকচারার পদে যোগদান করেন। দীর্ঘ ৪২ বছর শিক্ষকতার পর প্রফেসর মনসুর ২০২০ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ভূতও্ব বিষয়ে ড. মনসুরের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা পাঁচটি তিনটি বাংলায় এবং দুইটি ইংরেজিতে ।

এ ছাড়াও বিভিন্ন জার্নালে তাঁর প্রচুর
বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিভাগীয় চেয়ারম্যান হলের প্রভোস্ট, সিনেটর, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ̧রুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালন করেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে দুই মেয়াদে (২০০১ ও ২০০৯) পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেন। হাই স্কুলে পড়াকালীন
সময় থেকেই ড. মনসুর ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে ছাত্র রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শিক্ষক এবং আওয়ামী লীগের
সহযোগী সংগঠনের একজন সক্রিয় নেতা ও কর্মী হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।

তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর একজন সদস্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান। ড. মো. হোসেন মনসুর একজন সমাজ সেবক। অনগ্রসর চলনবিলের জনগোষ্ঠিকে আলোকিত করার লক্ষে ̈ প্রতিষ্ঠা করেন বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা
মুজিব আইডিয়াল সরকারি কলেজ, এম মনসুর আলী কলেজ, তাড়াশ ডিগ্রি কলেজসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ড. মনসুর।

তিনি প্রতিবন্ধী স্কুল, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রারসা,
গোরস্তানসহ বহু জনকল্যাণমূলক অবকাঠামো নির্মাণে জমি ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। তিনি দুইকন্যার জনক এবং তাঁর তিন জন নাতি রয়েছে।