ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
নীলফামারীতে আগাম আলু তোলা শুরু, মাঠেই বিক্রি ৯০ টাকা কেজি শ্রীপুরে মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার সময়ে কে কত মিথ্যে বলতে পারে এই প্রতিযোগীতা ছিলো- ডা. শফিকুর রহমান শ্রীপুরে বিএনপি’র বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা রসুলপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে বারপাড়া সমাজকল্যান পরিষদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ শ্রীপুরে প্রতিবন্ধী শনাক্ত জরিপ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত শ্রীপুর প্রেসক্লাবের নতুন সভাপতি মুসাফির নজরুল ও সাধারণ সম্পাদক নাসিরুল ইসলাম অর্থের অভাবে জীবন যুদ্ধে জয়ী সালমা খাতুন কি এবার পরাজয় বরণ করবে? কুমিল্লায় জাকের পার্টির ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের প্রতিনিধি সম্মেলন

তাড়াশে ঐতিহ্যবাহী বারুহাস মেলা ৬ এপ্রিল

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৩:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৯৬৬৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাব্বির মির্জা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।

প্রায় দেড়শত বছর আগে জমিদার আমলে গড়ে উঠা তাড়াশের ঐতিহ্যবাহী বারুহাস মেলা আগামী ৬ এপ্রিল রোজ বুধবারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ঐতিহ্যবাহী মেলা।

প্রতিবছর চৈত্র চন্দ্রিমার ১৩ তারিখে চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলা সদর হতে ১০ কিঃ জমিদার খ্যাত বারুহাস বাজার চত্বরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার দিনব্যাপী মুল মেলা অনুষ্ঠিত হলেও মেলা শুরু হবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই। এ ছাড়া মুল মেলার পরের দিন শুক্রবার ও অনুষ্ঠিত হবে বউ মেলা। এ কারনেই স্থানীয়রা বারুহাস মেলার উৎসব ৩ দিনই মনে করেন। মেলার আয়োজক সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ৭০ দশক থেকে ৯০ দশক সময়েও এ মেলার সুনাম ছিল উত্তর বঙ্গ জুড়ে। অনেক দুর দুরান্তের মানুষ মেলায় আসত। বগুড়া, শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও পাবনা সহ দুর দুরান্তের জেলা থেকে শৌখিন দর্শনার্থীরা মহিষ ও গরুর গাড়ীর বহর নিয়ে মেলায় আসতেন। মেলার এক পাশে তাবু টানিয়ে করতেন মেলার কেনা কাটা।

সে সময় মুলত বারুহাস মেলা ছিল ২৫ থেক ৩০ গ্রামের মানুষের সব চেয়ে বড় উৎসব। মেলার ১ মাস আগে থেকেই চলতো নানা প্রস্তুতি। বাড়িতে লোক কুটুমকে দাওয়াত করা জামাই ঝি আনা, বাড়ি ঘরের লেপ মোচন, খৈ মুড়ি ভাজা সব মিলে মেলা বাসিরা ১ মাস আগ থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়তো।

জামাইদের উপঢোকন বা পরবি দেওয়া ছিল এ মেলার সব চেয়ে বড় ঐতিহ্য। শশুড় বাড়ির পরবি পেয়ে জামাইরা মাছ,মাংস ও রঙিন হাড়িতে মিষ্টি কিনে শশুড় বাড়িতে ফিরতেন।

এ জন্য সে সময় এ মেলা জামাই মেলা নামেও পরিচিত হয়ে উঠেছিল।

২০০০ সালের পর থেকে মেলার জৌলুস ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এখন মেলার জৌলুস একেবারেই কমে গেছে। এক সময় ২৫ থেকে ৩০ গ্রামের মানুষের প্রাণের উৎসব ছিল বারুহাস মেলা। সেই মেলার উৎসব এখন শুধু বারুহাস গ্রাম কেন্দ্রিক হয়ে গেছে।

মেলার নির্ধারিত জায়গা সংকট, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব সহ নানা কারনে এ মেলার জৌলুস দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে একসসয় দেড়শত বছরের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখাই কঠিন হয়ে পড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

তাড়াশে ঐতিহ্যবাহী বারুহাস মেলা ৬ এপ্রিল

আপডেট সময় : ০৩:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

সাব্বির মির্জা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।

প্রায় দেড়শত বছর আগে জমিদার আমলে গড়ে উঠা তাড়াশের ঐতিহ্যবাহী বারুহাস মেলা আগামী ৬ এপ্রিল রোজ বুধবারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ঐতিহ্যবাহী মেলা।

প্রতিবছর চৈত্র চন্দ্রিমার ১৩ তারিখে চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলা সদর হতে ১০ কিঃ জমিদার খ্যাত বারুহাস বাজার চত্বরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার দিনব্যাপী মুল মেলা অনুষ্ঠিত হলেও মেলা শুরু হবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই। এ ছাড়া মুল মেলার পরের দিন শুক্রবার ও অনুষ্ঠিত হবে বউ মেলা। এ কারনেই স্থানীয়রা বারুহাস মেলার উৎসব ৩ দিনই মনে করেন। মেলার আয়োজক সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ৭০ দশক থেকে ৯০ দশক সময়েও এ মেলার সুনাম ছিল উত্তর বঙ্গ জুড়ে। অনেক দুর দুরান্তের মানুষ মেলায় আসত। বগুড়া, শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও পাবনা সহ দুর দুরান্তের জেলা থেকে শৌখিন দর্শনার্থীরা মহিষ ও গরুর গাড়ীর বহর নিয়ে মেলায় আসতেন। মেলার এক পাশে তাবু টানিয়ে করতেন মেলার কেনা কাটা।

সে সময় মুলত বারুহাস মেলা ছিল ২৫ থেক ৩০ গ্রামের মানুষের সব চেয়ে বড় উৎসব। মেলার ১ মাস আগে থেকেই চলতো নানা প্রস্তুতি। বাড়িতে লোক কুটুমকে দাওয়াত করা জামাই ঝি আনা, বাড়ি ঘরের লেপ মোচন, খৈ মুড়ি ভাজা সব মিলে মেলা বাসিরা ১ মাস আগ থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়তো।

জামাইদের উপঢোকন বা পরবি দেওয়া ছিল এ মেলার সব চেয়ে বড় ঐতিহ্য। শশুড় বাড়ির পরবি পেয়ে জামাইরা মাছ,মাংস ও রঙিন হাড়িতে মিষ্টি কিনে শশুড় বাড়িতে ফিরতেন।

এ জন্য সে সময় এ মেলা জামাই মেলা নামেও পরিচিত হয়ে উঠেছিল।

২০০০ সালের পর থেকে মেলার জৌলুস ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এখন মেলার জৌলুস একেবারেই কমে গেছে। এক সময় ২৫ থেকে ৩০ গ্রামের মানুষের প্রাণের উৎসব ছিল বারুহাস মেলা। সেই মেলার উৎসব এখন শুধু বারুহাস গ্রাম কেন্দ্রিক হয়ে গেছে।

মেলার নির্ধারিত জায়গা সংকট, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব সহ নানা কারনে এ মেলার জৌলুস দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে একসসয় দেড়শত বছরের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখাই কঠিন হয়ে পড়বে।