ঢাকা ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
প্রিয় কুমিল্লা’র উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণ বাতিল হলো দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের বিধান স্মৃতিসৌধে কথা বলতে বলতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন মির্জা ফখরুল ফুলবাড়ীর অনামিকা রানীর ঘুড়ে দাঁড়ানোর গল্প কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজে কৃষিশিক্ষার ব্যবহারিক ক্লাস কৃষি উদ্যানে চলে গেলেন ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের গীতিকার আবু জাফর বেস্ট ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন কুমিল্লার দ্বীন মোহাম্মদ রিয়াদ সব কষ্ট ভুলে গিয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে : ডিএমপি কমিশনার আজ থেকে দেশব্যাপী জাকের পার্টির ইসলামী সম্মেলন শুরু জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো সাইদুলকে তালাক দিলো তার স্ত্রী

দুর্গাপুরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে আট দোকান পুড়ে ছাই

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৯৬৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আনিসুল হক সুমন, দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ৷৷ 

নেত্রকোনার দুর্গাপুরের কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ডেউটুকোন ফেরীঘাট এলাকায় সোমবার দিবাগত রাত একটার সময় আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনায় আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্রে জানাযায়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে বাজারের একটি ফার্নিচারের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন ডাক চিৎকার শুরু করলে আশেপাশে ঘুমন্ত লোকজন সজাগ হয়ে ছুটে আসে এবং আগুন নেভানোর মরিয়া চেষ্টা চালায় পাশাপাশি নেত্রকোনা জেলা সদর এর ফায়ার সার্ভিসের নাম্বারে কল করে। অগ্নিকান্ডের বিষয়ে দোকান মালিক ও বাজার সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান মিয়া জানান, আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে তাঁর চারটি দোকানসহ মোট আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোন হতাহত না হলেও ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসতে কিছুটা বিলম্ব করে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে কিন্তুু ততক্ষণে মাছ মহাল, ওয়ার্কশপের, ফার্নিচারের দোকান, মনোহারি দোকান, চা-স্টল সহ আটটি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমরা এখন একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ধারণা আগুনে পুরে তাদের প্রায় ৩০লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস যদি আরো আগে আসতো তাহলে হয়তোবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশেই লাগব করা সম্ভব হতো।

এব্যপারে ইমরান খান নামের স্থানীয় একজন জানান, মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া এই কারনে যে, এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কোন হতাহত হয়নি। ক্ষয়ক্ষতি কম হতো যদি সময়মত ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসতো। রাত একটায় আগুন লাগে আর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত তিনটায় আসে কয়লায় পানি ঢালার জন্য।

জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স জানান, গত রাতের অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তার আওতায় আনা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দুর্গাপুরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে আট দোকান পুড়ে ছাই

আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

আনিসুল হক সুমন, দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ৷৷ 

নেত্রকোনার দুর্গাপুরের কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ডেউটুকোন ফেরীঘাট এলাকায় সোমবার দিবাগত রাত একটার সময় আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনায় আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্রে জানাযায়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে বাজারের একটি ফার্নিচারের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন ডাক চিৎকার শুরু করলে আশেপাশে ঘুমন্ত লোকজন সজাগ হয়ে ছুটে আসে এবং আগুন নেভানোর মরিয়া চেষ্টা চালায় পাশাপাশি নেত্রকোনা জেলা সদর এর ফায়ার সার্ভিসের নাম্বারে কল করে। অগ্নিকান্ডের বিষয়ে দোকান মালিক ও বাজার সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান মিয়া জানান, আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে তাঁর চারটি দোকানসহ মোট আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোন হতাহত না হলেও ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসতে কিছুটা বিলম্ব করে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে কিন্তুু ততক্ষণে মাছ মহাল, ওয়ার্কশপের, ফার্নিচারের দোকান, মনোহারি দোকান, চা-স্টল সহ আটটি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমরা এখন একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ধারণা আগুনে পুরে তাদের প্রায় ৩০লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস যদি আরো আগে আসতো তাহলে হয়তোবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশেই লাগব করা সম্ভব হতো।

এব্যপারে ইমরান খান নামের স্থানীয় একজন জানান, মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া এই কারনে যে, এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কোন হতাহত হয়নি। ক্ষয়ক্ষতি কম হতো যদি সময়মত ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসতো। রাত একটায় আগুন লাগে আর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত তিনটায় আসে কয়লায় পানি ঢালার জন্য।

জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স জানান, গত রাতের অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তার আওতায় আনা হবে।