ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের অনলাইন প্রেজেন্টস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন শানাকা ক্যাচ আউট, রান আউট, তারপরও নটআউট, সুপার ওভারে আসলে কী ঘটেছিল পাকিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কার হার, সহজ যে সমীকরণ মেলালেই ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ খুমেকে জোর করে অক্সিজেন খুলে নেয় ক্লিনার, একটু পরেই রোগীর মৃত্যু জকসু সহ ২ দাবিতে জবি শিবিরের কঠোর কর্মসূচি জবির অর্ধ-কোটি টাকার লিফট নির্মাণে অর্থের লুটপাট জাকের পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ছাত্রফ্রন্ট নেতা ওমর ফারুক এর শুভেচ্ছা বার্তা বাস স্ট্যান্ড অপসারণের ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম জবি শিক্ষার্থীদের দেশে প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস মনিটরিং ব্যবস্থা চালু ইতিহাস বিভাগকে হারিয়ে জুলাই রেভুলেশন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন একাউন্টিং বিভাগ

দেশে এইচএমপি সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ নির্দেশনা

নিলুফার তাবাস্সুম
  • আপডেট সময় : ০২:৩১:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৯৮৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি) বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। যদিও এটি আগেও দেশে শনাক্ত হয়েছিল। তবে পার্শ্ববর্তী একাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সঙ্গে ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধে ৭ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক মো. হালিমুর রশিদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাসের তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন-হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনাবি ডিজিজ, গর্ভবর্তী এবং দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।

এতে বলা হয়, পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রার্দুভাব দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। যার জন্য সব স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র এবং পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করা এবং জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করা হলো।

সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনাগুলো হলো :
১. শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো থেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
২. হাঁচি/কাশি সময়/বাহু/টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
৩. ব্যবহৃত টিস্যু অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৪. আক্রান্ত হয়েছে এমন ব্যক্তিদের সম্পন্ন এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
৫. ঘনঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধৌত করুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না।
৭. জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের মতো ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। যা সাধারণত ২-৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দেশে এইচএমপি সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ নির্দেশনা

আপডেট সময় : ০২:৩১:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি) বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। যদিও এটি আগেও দেশে শনাক্ত হয়েছিল। তবে পার্শ্ববর্তী একাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সঙ্গে ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধে ৭ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক মো. হালিমুর রশিদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাসের তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন-হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনাবি ডিজিজ, গর্ভবর্তী এবং দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।

এতে বলা হয়, পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রার্দুভাব দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। যার জন্য সব স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র এবং পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করা এবং জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করা হলো।

সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনাগুলো হলো :
১. শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো থেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
২. হাঁচি/কাশি সময়/বাহু/টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
৩. ব্যবহৃত টিস্যু অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৪. আক্রান্ত হয়েছে এমন ব্যক্তিদের সম্পন্ন এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
৫. ঘনঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধৌত করুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না।
৭. জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের মতো ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। যা সাধারণত ২-৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো।