নীলফামারীর ডিমলায় ৭০০কৃষকের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

- আপডেট সময় : ০৬:৩৭:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
- / ৯৬৬৯ বার পড়া হয়েছে
নীলফামারীর ডিমলায় মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কুটির ডাঙ্গা এলাকায় পৈতৃক ও ব্যক্তিগত জমির মালিকানা বহাল ও পানি উন্নয়ন বোড কতৃক প্রায় ৭০০ কৃষকের নামে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা ময়েজ উদ্দিন, আলিম উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম, আলম মিয়া, তইবুল ইসলাম, স্বপন মিয়া প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ডিমলা উপজেলার কুটির ডাঙ্গা, রামডাঙ্গা, পচাঁরহাট ও জলঢাকা উপজেলার চিড়াভিজা গোলনা ও খারিজা গোলনা এলাকার নারী পুরুষ অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে খাদ্য চাহিদা পূরনের নিশ্চতায় তিস্তা বাঁধ ও সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে ১৯৬৭-৬৮ সালে হুকুম দখলে(মৌখিক সম্মতি)১০৪.২৫ একর জমি অধিগ্রহন করে। বুড়ি তিস্তায় পানি মজুদ রাখার জন্য ১৪ টি জল কপাট বিশিষ্ট একটি ব্যারেজ নির্মান করে মজুদকৃত পানি খরিপ মৌসুমে কৃষি জমিতে সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য বাঁধের দুই প্রান্তে দুটি ক্যানেল খনন করা হয়।
এবং উল্লেখিত মৌজার কৃষি জমিতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে মর্মে কৃষকদের জানানো হয়। অন্যদিকে ফসল নষ্ট বাবদ পাউবো আংশিকভাবে টাকা পরিশোধ করলেও অবশিষ্ট টাকা অদ্যবদি পরিশোধ করা হয়নি।
পরবর্তিতে দেশ স্বাধীনের দীর্ঘদিন পর ২০১০ ইং সালের ১৭ই মে পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষ ৪৯২.৭১ হেক্টর পরিমান পৈতিৃক ও ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি মেসার্স তুষুকা নামক ঠিকাদারি রিসোর্স লিমিটেডকে ইজারা দেন। ব্যক্তিগত স্বার্থে পাউবো থেকে ইজারা নিযে তুষুকা নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করলে ওই সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৭০০ কৃষকের নামে দফায় দফায় কয়েকটি মামলা দায়ের করেন।
জমির প্রকৃত মালিকগণ উচ্ছ আদালতের ¯সরাণাপন্ন হলে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে তাদের কথিত কার্যক্রম স্থহিত করে দেওয়া হয়। ফলে কৃষকেরা ফসল উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপশি জাতীয় খাদ্য চাহিদা পূরনে ভূমিকা রাখছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ইলেক্ট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।