পাঁচবিবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের পর ব্লেড দিয়ে মাথার চুল কর্তন

- আপডেট সময় : ০৪:০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩
- / ৯৬২৮ বার পড়া হয়েছে
মোঃ আমজাদ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর মাথার চুল কেটে নিয়েছে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ। গৃহবধূর গলায় দড়ি পেঁচিয়ে মারধরের পর ব্লেড দিয়ে মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের মাঝিনা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগীর পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশীরা জানান প্রায় ৬ বছর আগে জয়পুরহাট সদর উপজেলা পুরনাপৈল ইউনিয়নের শাল গ্রামের মো. মুমিন হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের হাসান আলীর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়।
দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই ছেলে সন্তান আছে। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব নির্যাতন সহ্য করে নেন ওই গৃহবধূ। এতেও খান্ত হননি স্বামী জাহাঙ্গীরসহ তার পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে স্বামী জাহাঙ্গীর, শাশুড়ি জায়েদা বেগম ও ননদ মুর্শিদা বাড়ির দরজা বন্ধ অমানবিক নির্যাতন করে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে মারপিট করতে থাকে। পরে মাথার চুল কেটে দেন
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বলেন, এতদিন শুধু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার শশুর বাড়ির লোকজনের সব নির্যাতন সহ্য করেছি। ভেবেছিলাম একদিন হয়ত আমার স্বামী ভালো হবে এইজন্য এতদিন অনেক নির্যাতন সহ্য করছি । কিন্তু শুক্রবার রাতে আবারও আমার স্বামীসহ আমার শশুর বাড়ির লোকজন আমার গলায় দড়িয়ে পেঁচিয়ে নির্যাতন করতে থাকে। এতেও খান্ত হয়নি তারা। ব্লেড দিয়ে আমার মাথার চুলও কেটে নিয়ে এমন অমানবিক নির্যাতন চালায় গৃহবধূটির উপর
পরে আমার শশুর এসে আমাকে বাঁচায়। আজকে আবার আমার দুই সন্তানসহ বাবার বাড়িতে রাখতে এলে আমার মা বাবাসহ প্রতিবেশীরা আমার এই অবস্থা দেখে আমার স্বামীকে আটকে রাখে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করি।
ভুক্তভোগীর মা জরিনা বেগম বলেন, মেয়ের সুখের কথা ভেবে তাদের সবকিছুই দিয়েছি। কিন্তু বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই আমার মেয়েটাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেই থাকে।
আমার মেয়েকে নির্যাতন ও মাথার চুল কাটার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন, এ বিষয়ে পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হকের জানতে চাইলে তিনি বলেন ভুক্তভোগীর পরিবারে পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।