ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের বার্তার “সাহিত্য কন্ঠ”

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ৯৬৭৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
  • অনন্ত জীবন
    মহিউদ্দিন রাশেদ
  • জীবন তোমার অতি ক্ষুদ্র,
    মরুর বালির একটি কণা’র মতো
    সাগর জলের মহা প্লাবনে
    এক ফোটা জল যতো।
  • মহাশূন্যের তারকারাজির
    উল্কাপিন্ড ছুটে চলে একপলকে
    বাদল দিনের মেঘ গর্জনের
    বিজলি যেমন একঝলকে,
  • তারচেয়েও অতি ক্ষুদ্র,
    অণুবীক্ষণ যন্ত্রে যেমন
    অদৃশ্য কিছু দেখায়, ততটুকু
    তোমার জীবন এই ধরায়।
  • ক্ষুদ্র জীবনে এই দুনিয়ায়
    পাপ পূণ্য যতো হবে
    তারই নিকেষে পরকালে
    অনন্ত জীবন রবে।

 

  • ” প্রিয় নবী আমার “
    মোঃ রফিকুল ইসলাম
  • মা আমিনার কোলটি জুড়ে চাঁদের আলো হাসে,
    সেই খুশিতে বিশ্ববাসী সুখ সাগরে ভাসে।
    ধরার বুকে আলো বিলায় যেন উদয় রবি,
    আরব দেশে জন্ম নিয়ে এলেন শ্রেষ্ঠ নবী।
  • পিতা যে তাঁর আবদুল্লাহ হয়নি তাঁকে দেখা,
    ছোট্ট শিশু মনের মাঝে কষ্ট পুষেন একা।
    ছয় বছর বয়সে তাঁর মাতা গেলেন মরে,
    জনম দুখী হলেন নবী এখন কি যে করে।
  • হালিমা এলো কোলে নিলো হলেন দুধ মাতা,
    রবের দয়ায় নবীও পেলো মাথার পরে ছাতা।
    অনেক দুঃখ শয় যে নবী শোকে হয়ে কাতর,
    ক্ষুধার জ্বালা নিবারণে তিনি বুকে বাঁধেন পাথর।
  • শতো কষ্ট শয়েও নবী নীতির পথে থাকেন,
    মোটা বস্ত্র দিয়ে তাঁহার শরীর টাকে ঢাকেন।
    রবের ওহি পেলেন নবী বন্ধু হলেন সেরা,
    বিশ্ব তিনি শাসন করেন মক্কা হলো ডেরা।
  • আল-আমীন নাম পেলেন তিনি বিশ্ববাসীর মাঝে,
    দরুদপাঠ করি সবাই জাতি বর্ণ নির্বিশেষে
    বিশ্বাসী যে তিনি,
    মুসলিমের জিম্মা নিয়ে করে গেলেন ঋণী।

 

  • গঙ্গা নদী
    মদন চক্রবর্তী
  • নদী যদি বলে একা যাব চলে
    তা কি কখনো হয়
    যাবার পথে কত কিছু পরে
    সাথে নিয়ে যেতে হয়।
  • গাছ গাছালি মরা পশু পাখি
    কত কিছু ভাসে জলে
    তবু সে জল প্রবিত্র বলে
    পৃথিবীর বাসি মানে।
  • সব দেশে তে আছে কত নদী
    তবু গঙ্গা নদী প্রধান
    এর জলেতে স্নান করে সব
    হয় পূর্ণ বান।

 

  • সত্যি মিথ্যা
    হোসাইন সজীব
  • সত্যি কথা বলবো মোরা
    চলবো সোজা পথে,
    আলোর পথে চলরে তোরা
    মানবতার রথে।
  • সত্যি কথা বলে না কেউ
    সরলতা বেহাল,
    মিথ্যে নদে উঠেছে ঢেউ
    মানবতা বেতাল।
  • বলবো নাকো প্রবাদ বাক্য
    উদাহরণ দিয়ে,
    মিথ্যের তালে চলছে রাজ্য
    ছলচাতুরী নিয়ে।
  • দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথন
    মানবতার মুখোশ,
    বিক্ষুব্ধ মন করছে যে পণ
    করবে না সে আপোষ।
  • মানবতার দ্বারে মজলুম
    আলোর সন্ধান করে,
    সত্যের তরে মিথ্যার জুলুম
    মুখ লুকাবে ঘরে।

 

 

  • পুব গগনের প্রভাত
    সাঈদুর রহমান লিটন

 

  • পুব গগনে প্রভাত দেখি
    রবির আলো হাসে
    শিশির গুলো মুক্তো হয়ে
    ঝুলতে থাকে ঘাসে।
  • আমার বুকে প্রভাত আলো
    যখন তুমি হাসো
    স্বপ্ন করো চাষও
    তখন আমি উড়তে থাকি
    যখন ঝেড়ে কাশো।
  • দেশের সেবায় তোমার স্বাক্ষর
    গর্ব করি নিজে
    সুখ সাগরে ভিজে
    স্বপ্ন গুলো হাসতে থাকে
    দেখতে সুন্দর কী যে!
  • যাও এগিয়ে সীমার বাইরে
    অসীমে যাও উড়ে
    তামাম বিশ্ব ঘুরে
    সফলতা নিয়ে এসো
    হাতের মুঠোয় পুরে।
  • গর্ব যেনো চলতে থাকে
    কাজের প্রতি ধাপে
    যায় না যেনো স্বপ্ন উড়ে
    কাজের অধিক চাপে।

 

  • মন্দ ভালোর তুলনা
    শ্যামল বণিক অঞ্জন

 

  • মায়ের চেয়ে মাসী ভালো বাবার চেয়ে কাকা
    হাত পাতলেই যখন তখন যায় পাওয়া যায় টাকা!
    মা তো করেন শাসন বারণ সোহাগ করেন মাসী,
    মায়ের চেয়ে তাই তো তাঁকেই বেশি ভালোবাসি!
  • বাবা করেন হিসাব নিকাশ কাকা হাতেমতাই,
    যখন যেটা বায়না ধরি ওনার কাছেই পাই।
    সে কারণেই কাকা ভালো বাবা ভালো নয়!
    বোধ বুদ্ধির অভাব যাদের তাঁরাই এমন কয়।
  • ভবিষ্যতের ভালোর জন্যই এসব করতে হয়,
    তাই বলেই মা বাবাতো মন্দ কভু নয়!
    মা বাবাই চির আপন জগৎ জুড়া আলো,
    মনে প্রাণে সন্তানেরই ওনারাই চান ভালো।

 

  • “মমতাময়ী মা “
    মোঃ আবুল হোসেন
  • কতদিন তোমায় দেখিনি মা
    আছো কোন পরপারে,
    এত কষ্ট কেন মাগো
    হৃদয় মধ্যে বাজে।
  • চোখের জলে ভাসে রাত্রি
    দিন যায় অস্তাচলে,
    তোমার দেখা কি পাব না মা
    এই ক্ষণিকের জীবন কালে।
  • তোমার আদেশ-নিষেধ মাগো
    আজও মনে পড়ে,
    সাথী তোমার ভালোবাসা
    থাকবে জীবন ভরে।
  • তোমার ঘর তোমার উঠান
    আজও তেমনি আছে,
    তোমার চলাফেরার ছবি
    আমার চোখে ভাসে।
    তোমার স্নেহ তোমার মায়া
    দিয়েছো উজাড় করে,
    তোমার আদর সোহাগ মাগো
    আমার অন্তর জুড়ে।
  • নিজের সুখের চিন্তা তোমার
    ছিলনা কোন কালে,
    ধন্য আমি জন্ম আমার,
    এমন মায়ের কোলে।

 

  • মেয়ে
    বাপি কর্মকার

 

  • আমার জন্মের পরে কারো মুখে হাসি ফোটেনি,
    কারণ আমি বংশপ্রদীপ নই।
    আঁতর ঘরে বেজে ওঠেনি শঙ্খ।
    সবার মুখে ছিল একটাই আওয়াজ মেয়ে হয়েছে……
    আমার রূপে কত শত্রুর জীবনাবশান ঘটেছে তবুও ওরা আমায় মেনে নেয়নি করেছে অবজ্ঞা আর অপমান।
    সমাজের নিয়মানুসারে এক মুঠো চাল মায়ের আঁচলে ছুড়ে বিদায় নি জন্মভূমি থেকে পরের বাড়ির উদ্দেশ্যে।
    কিন্তু সেখানে ওরা আমায় সব সময় মেনে নিতে পারে না চলে অত্যাচার।
    অ্যাসিড দগ্ধ পোড়া শরীর ফিরে আসে মায়ের কোলে।
    কখনো আমার শরীরটা ওরা শূন্যে ঝুলিয়ে দেয়।
    আমি হারিয়ে যাই গভীর অতলে আর দেখা মেলে না।

 

  • ভালোবাসার হাওয়া
    মোঃ আনোয়ার হোসেন নিরবরোদ চিকচিক শরৎ মেঘের
    বৃষ্টি কিছু পাওয়া
    হাসনাহেনা আর কৃঞ্চকলির
    ভালোবাসার হাওয়া।
  • শাপলা টগর কলমি ফুলের
    জলে ফোটা হাসি
    সকাল সাজে শিউলি বেলি
    ভালোবাসি পরশি।
  • সন্ধ্যা হলে তারার দেশের
    খোঁপায় বাঁধা কামিণী
    চন্দ্রা লোকের আলোর সারি
    যেন ফোটে সন্ধ্যামনি।
  • রাত্রী ভীষণ জোনাক আলো
    হাতটা তোমার ধরি
    সুখ বিহনে প্রেম নিবেদন
    তোমার মতো করি।

 

  • হেমন্ত ঋতু
    কল্পনা দাস

 

  • শিশির বিন্দু ধানের ডগায়
    হেমন্তরেই ভোরে
    হিমেল বাতাস বইছে ধরায়
    শীত যেন এলো দোরে।
  • একটু পরেই সকাল বেলায়
    সূয্যি মামার হাসি
    যাচ্ছে রাখাল ওপারের মাঠে
    বাজিয়ে বাঁশের বাঁশি।
  • শরৎকালের শিউলি বকুল
    ফুটছে আজও প্রাতে
    আমন ধানের মৌ মৌ গন্ধে
    চারপাশ থাকে মেতে।
  • আমন ধানের গাছগুলো সব
    দিচ্ছে বাতাসে দোলা
    কৃষক- কৃষাণী ব্যস্ত সবাই
    ভরাবে তাদের গোলা।
  • নতুন চালের পিঠা- পুলি আর
    পায়েস কৃষাণী রাঁধে
    নতুন স্বপ্নে নতুন আশায়
    কৃষকেরা বুক বাঁধে।

 

  • অনুগল্প

 

  • ” অধরা”
    রিক্তা রাণী দাশ

 

  • মিতুলকে দেখবে বলে অনেক চেষ্টা করেছিল মিলি,কিন্তু পারেনি। সে বার বার সরে যাচ্ছিল। মিতুলকে সত্যিই দেখবে বলে একদিন ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিল, বাড়ির পেছনের আম গাছটির নিচে। তখন জলের মধ্যে মিতুল হেঁটে যাচ্ছিলো প্যান্ট গুটিয়ে, ভিজে যাওয়ার ভয়ে। মিতুল তখন ১৯ /২০ বছরের আর মিলি ১৫/১৬ বছরের কিশোরী। অনেক কায়দা করে আম গাছটিকে পটভূমিতে রেখে সেদিন মিলি ছবি নিতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি, অন্তিম মুহূর্তে গাছের তলায় লুটিয়ে পরা শুকনো পাতার বিছানায় পায়ের শব্দে মচমচ করছিল সেজন্য। তারপর কাকতালীয়ভাবে মিলিকে পড়ানোর সুবাদে দেখা – কথা সবই হলো। স্মৃতিতে আরও অনেক কিছু জমাও হলো। আর যখন মিতুল ডাক্তার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলো, তখন মিলির এলব্যামে কোন স্থিরচিত্র নেই মিতুলের। সর্বত্র পরিবার পরিজন….।

মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মাসুম

সাহিত্য সম্পাদক

বাংলাদেশের বার্তা

sampadok.afjal@gmail.com

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশের বার্তার “সাহিত্য কন্ঠ”

আপডেট সময় : ১১:৩৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২
  • অনন্ত জীবন
    মহিউদ্দিন রাশেদ
  • জীবন তোমার অতি ক্ষুদ্র,
    মরুর বালির একটি কণা’র মতো
    সাগর জলের মহা প্লাবনে
    এক ফোটা জল যতো।
  • মহাশূন্যের তারকারাজির
    উল্কাপিন্ড ছুটে চলে একপলকে
    বাদল দিনের মেঘ গর্জনের
    বিজলি যেমন একঝলকে,
  • তারচেয়েও অতি ক্ষুদ্র,
    অণুবীক্ষণ যন্ত্রে যেমন
    অদৃশ্য কিছু দেখায়, ততটুকু
    তোমার জীবন এই ধরায়।
  • ক্ষুদ্র জীবনে এই দুনিয়ায়
    পাপ পূণ্য যতো হবে
    তারই নিকেষে পরকালে
    অনন্ত জীবন রবে।

 

  • ” প্রিয় নবী আমার “
    মোঃ রফিকুল ইসলাম
  • মা আমিনার কোলটি জুড়ে চাঁদের আলো হাসে,
    সেই খুশিতে বিশ্ববাসী সুখ সাগরে ভাসে।
    ধরার বুকে আলো বিলায় যেন উদয় রবি,
    আরব দেশে জন্ম নিয়ে এলেন শ্রেষ্ঠ নবী।
  • পিতা যে তাঁর আবদুল্লাহ হয়নি তাঁকে দেখা,
    ছোট্ট শিশু মনের মাঝে কষ্ট পুষেন একা।
    ছয় বছর বয়সে তাঁর মাতা গেলেন মরে,
    জনম দুখী হলেন নবী এখন কি যে করে।
  • হালিমা এলো কোলে নিলো হলেন দুধ মাতা,
    রবের দয়ায় নবীও পেলো মাথার পরে ছাতা।
    অনেক দুঃখ শয় যে নবী শোকে হয়ে কাতর,
    ক্ষুধার জ্বালা নিবারণে তিনি বুকে বাঁধেন পাথর।
  • শতো কষ্ট শয়েও নবী নীতির পথে থাকেন,
    মোটা বস্ত্র দিয়ে তাঁহার শরীর টাকে ঢাকেন।
    রবের ওহি পেলেন নবী বন্ধু হলেন সেরা,
    বিশ্ব তিনি শাসন করেন মক্কা হলো ডেরা।
  • আল-আমীন নাম পেলেন তিনি বিশ্ববাসীর মাঝে,
    দরুদপাঠ করি সবাই জাতি বর্ণ নির্বিশেষে
    বিশ্বাসী যে তিনি,
    মুসলিমের জিম্মা নিয়ে করে গেলেন ঋণী।

 

  • গঙ্গা নদী
    মদন চক্রবর্তী
  • নদী যদি বলে একা যাব চলে
    তা কি কখনো হয়
    যাবার পথে কত কিছু পরে
    সাথে নিয়ে যেতে হয়।
  • গাছ গাছালি মরা পশু পাখি
    কত কিছু ভাসে জলে
    তবু সে জল প্রবিত্র বলে
    পৃথিবীর বাসি মানে।
  • সব দেশে তে আছে কত নদী
    তবু গঙ্গা নদী প্রধান
    এর জলেতে স্নান করে সব
    হয় পূর্ণ বান।

 

  • সত্যি মিথ্যা
    হোসাইন সজীব
  • সত্যি কথা বলবো মোরা
    চলবো সোজা পথে,
    আলোর পথে চলরে তোরা
    মানবতার রথে।
  • সত্যি কথা বলে না কেউ
    সরলতা বেহাল,
    মিথ্যে নদে উঠেছে ঢেউ
    মানবতা বেতাল।
  • বলবো নাকো প্রবাদ বাক্য
    উদাহরণ দিয়ে,
    মিথ্যের তালে চলছে রাজ্য
    ছলচাতুরী নিয়ে।
  • দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথন
    মানবতার মুখোশ,
    বিক্ষুব্ধ মন করছে যে পণ
    করবে না সে আপোষ।
  • মানবতার দ্বারে মজলুম
    আলোর সন্ধান করে,
    সত্যের তরে মিথ্যার জুলুম
    মুখ লুকাবে ঘরে।

 

 

  • পুব গগনের প্রভাত
    সাঈদুর রহমান লিটন

 

  • পুব গগনে প্রভাত দেখি
    রবির আলো হাসে
    শিশির গুলো মুক্তো হয়ে
    ঝুলতে থাকে ঘাসে।
  • আমার বুকে প্রভাত আলো
    যখন তুমি হাসো
    স্বপ্ন করো চাষও
    তখন আমি উড়তে থাকি
    যখন ঝেড়ে কাশো।
  • দেশের সেবায় তোমার স্বাক্ষর
    গর্ব করি নিজে
    সুখ সাগরে ভিজে
    স্বপ্ন গুলো হাসতে থাকে
    দেখতে সুন্দর কী যে!
  • যাও এগিয়ে সীমার বাইরে
    অসীমে যাও উড়ে
    তামাম বিশ্ব ঘুরে
    সফলতা নিয়ে এসো
    হাতের মুঠোয় পুরে।
  • গর্ব যেনো চলতে থাকে
    কাজের প্রতি ধাপে
    যায় না যেনো স্বপ্ন উড়ে
    কাজের অধিক চাপে।

 

  • মন্দ ভালোর তুলনা
    শ্যামল বণিক অঞ্জন

 

  • মায়ের চেয়ে মাসী ভালো বাবার চেয়ে কাকা
    হাত পাতলেই যখন তখন যায় পাওয়া যায় টাকা!
    মা তো করেন শাসন বারণ সোহাগ করেন মাসী,
    মায়ের চেয়ে তাই তো তাঁকেই বেশি ভালোবাসি!
  • বাবা করেন হিসাব নিকাশ কাকা হাতেমতাই,
    যখন যেটা বায়না ধরি ওনার কাছেই পাই।
    সে কারণেই কাকা ভালো বাবা ভালো নয়!
    বোধ বুদ্ধির অভাব যাদের তাঁরাই এমন কয়।
  • ভবিষ্যতের ভালোর জন্যই এসব করতে হয়,
    তাই বলেই মা বাবাতো মন্দ কভু নয়!
    মা বাবাই চির আপন জগৎ জুড়া আলো,
    মনে প্রাণে সন্তানেরই ওনারাই চান ভালো।

 

  • “মমতাময়ী মা “
    মোঃ আবুল হোসেন
  • কতদিন তোমায় দেখিনি মা
    আছো কোন পরপারে,
    এত কষ্ট কেন মাগো
    হৃদয় মধ্যে বাজে।
  • চোখের জলে ভাসে রাত্রি
    দিন যায় অস্তাচলে,
    তোমার দেখা কি পাব না মা
    এই ক্ষণিকের জীবন কালে।
  • তোমার আদেশ-নিষেধ মাগো
    আজও মনে পড়ে,
    সাথী তোমার ভালোবাসা
    থাকবে জীবন ভরে।
  • তোমার ঘর তোমার উঠান
    আজও তেমনি আছে,
    তোমার চলাফেরার ছবি
    আমার চোখে ভাসে।
    তোমার স্নেহ তোমার মায়া
    দিয়েছো উজাড় করে,
    তোমার আদর সোহাগ মাগো
    আমার অন্তর জুড়ে।
  • নিজের সুখের চিন্তা তোমার
    ছিলনা কোন কালে,
    ধন্য আমি জন্ম আমার,
    এমন মায়ের কোলে।

 

  • মেয়ে
    বাপি কর্মকার

 

  • আমার জন্মের পরে কারো মুখে হাসি ফোটেনি,
    কারণ আমি বংশপ্রদীপ নই।
    আঁতর ঘরে বেজে ওঠেনি শঙ্খ।
    সবার মুখে ছিল একটাই আওয়াজ মেয়ে হয়েছে……
    আমার রূপে কত শত্রুর জীবনাবশান ঘটেছে তবুও ওরা আমায় মেনে নেয়নি করেছে অবজ্ঞা আর অপমান।
    সমাজের নিয়মানুসারে এক মুঠো চাল মায়ের আঁচলে ছুড়ে বিদায় নি জন্মভূমি থেকে পরের বাড়ির উদ্দেশ্যে।
    কিন্তু সেখানে ওরা আমায় সব সময় মেনে নিতে পারে না চলে অত্যাচার।
    অ্যাসিড দগ্ধ পোড়া শরীর ফিরে আসে মায়ের কোলে।
    কখনো আমার শরীরটা ওরা শূন্যে ঝুলিয়ে দেয়।
    আমি হারিয়ে যাই গভীর অতলে আর দেখা মেলে না।

 

  • ভালোবাসার হাওয়া
    মোঃ আনোয়ার হোসেন নিরবরোদ চিকচিক শরৎ মেঘের
    বৃষ্টি কিছু পাওয়া
    হাসনাহেনা আর কৃঞ্চকলির
    ভালোবাসার হাওয়া।
  • শাপলা টগর কলমি ফুলের
    জলে ফোটা হাসি
    সকাল সাজে শিউলি বেলি
    ভালোবাসি পরশি।
  • সন্ধ্যা হলে তারার দেশের
    খোঁপায় বাঁধা কামিণী
    চন্দ্রা লোকের আলোর সারি
    যেন ফোটে সন্ধ্যামনি।
  • রাত্রী ভীষণ জোনাক আলো
    হাতটা তোমার ধরি
    সুখ বিহনে প্রেম নিবেদন
    তোমার মতো করি।

 

  • হেমন্ত ঋতু
    কল্পনা দাস

 

  • শিশির বিন্দু ধানের ডগায়
    হেমন্তরেই ভোরে
    হিমেল বাতাস বইছে ধরায়
    শীত যেন এলো দোরে।
  • একটু পরেই সকাল বেলায়
    সূয্যি মামার হাসি
    যাচ্ছে রাখাল ওপারের মাঠে
    বাজিয়ে বাঁশের বাঁশি।
  • শরৎকালের শিউলি বকুল
    ফুটছে আজও প্রাতে
    আমন ধানের মৌ মৌ গন্ধে
    চারপাশ থাকে মেতে।
  • আমন ধানের গাছগুলো সব
    দিচ্ছে বাতাসে দোলা
    কৃষক- কৃষাণী ব্যস্ত সবাই
    ভরাবে তাদের গোলা।
  • নতুন চালের পিঠা- পুলি আর
    পায়েস কৃষাণী রাঁধে
    নতুন স্বপ্নে নতুন আশায়
    কৃষকেরা বুক বাঁধে।

 

  • অনুগল্প

 

  • ” অধরা”
    রিক্তা রাণী দাশ

 

  • মিতুলকে দেখবে বলে অনেক চেষ্টা করেছিল মিলি,কিন্তু পারেনি। সে বার বার সরে যাচ্ছিল। মিতুলকে সত্যিই দেখবে বলে একদিন ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিল, বাড়ির পেছনের আম গাছটির নিচে। তখন জলের মধ্যে মিতুল হেঁটে যাচ্ছিলো প্যান্ট গুটিয়ে, ভিজে যাওয়ার ভয়ে। মিতুল তখন ১৯ /২০ বছরের আর মিলি ১৫/১৬ বছরের কিশোরী। অনেক কায়দা করে আম গাছটিকে পটভূমিতে রেখে সেদিন মিলি ছবি নিতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি, অন্তিম মুহূর্তে গাছের তলায় লুটিয়ে পরা শুকনো পাতার বিছানায় পায়ের শব্দে মচমচ করছিল সেজন্য। তারপর কাকতালীয়ভাবে মিলিকে পড়ানোর সুবাদে দেখা – কথা সবই হলো। স্মৃতিতে আরও অনেক কিছু জমাও হলো। আর যখন মিতুল ডাক্তার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলো, তখন মিলির এলব্যামে কোন স্থিরচিত্র নেই মিতুলের। সর্বত্র পরিবার পরিজন….।

মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মাসুম

সাহিত্য সম্পাদক

বাংলাদেশের বার্তা

sampadok.afjal@gmail.com