ঢাকা ১০:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
আকাশ ও স্থল পথে ভারতে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশির মৃত্যু সারাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের সুখবর কুমিল্লা জেলা রোভারের কোর্স ফর রোভার মেট কোর্সের সনদ প্রদান বাংলাদেশে ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আবহাওয়া অফিস কুমিল্লা জেলা রোভারের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রথম আলো কুমিল্লা বন্ধুসভার ব্যবস্থাপনায় এম সাদেক স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি কুমিল্লা জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপ কমডেকায় অংশগ্রহনকারীদের সনদ প্রদান

বাংলাদেশের বার্তার “সাহিত্য কন্ঠ”

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৯৭৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
  • গোল গোল – শোরগোল
    বিশ্বকাপ – স্নায়ুচাপ
    কে হারবে – কে জিতবে
    পরের ম্যাচে – কে টিকবে
    আলোচনার নেই শেষ
    ভক্তরা আছে বেশ !
  • গোলের প্রতীক্ষায়
    সমর্থকেরা রয়েছে ভাই
    হয়েছে-হয়নি গোল ?
    বেধে গেল হট্টগোল
    যে মাত্র পেল – কাঙ্খিত গোল
    আনন্দে আত্মহারায় মশগোল।
  • কোথায় ব্রাজিল , কোথায় আর্জেন্টিনা
    আমাদের দেশে মস্ত উম্মাদনা
    ভক্তবৃন্দের জার্সি গায়ে গায়ে
    খেলোয়ারের বল পায়ে পায়ে
    বল পায়ে দ্রুত এগিয়ে
    সবাই গোলের স্বপ্ন নিয়ে !
  • গ্যালারি ভর্তি রং-বেরং ফেস্টুন পতাকা
    করছে তারা গোলের অপেক্ষা
    হয় যদি একটি গোল
    উল্লাসে , নাচে-গানে ব্যাকুল
    খেল গোল দল যার
    হতাশা , দুঃখ-বেদনা অসীম তার।
  • গোলের মারপ্যাচে টিমের সবাই দিশেহারা
    গোলের পিছু ছুটছে তারা
    গোল টাই গোলক ধাঁ ধাঁ
    পেরুতে হয় সুকঠিন বাধা
    কারো আসে হিরন্ময় জয়
    মাঠ ছাড়ে কেউ নিয়ে পরাজয়।

 

  • কবির কবিতা
    নূরুন্নাহার বেগম
  • কবিতার মাঝে কবিতা দেখি
    কবিতায় জাগে সুর
    কবিতা দিয়ে দিনের শুরু
    কবিতা মিষ্টি সুমধুর।
    কবিতায় জাগে জীবন স্বপ্ন
    কবিতায় সমুদ্র পাড়ি
    কবিতা এক অজানা বিলাস
    কবিতা সুষমা সুন্দরী।
    কবিতায় ছুটি বন্ধুর পথ
    কবিতায় খুঁজি নারী
    প্রানান্তকর এ ছুটে চলা
    মাঠ ঘাট ছাড়ি।
    দিনের শেষে ঘরে ফেরা
    কবিতার মাঠে মেলা
    কবিতায় বাড়ে বন্ধু মহল
    কবিতায় কত খেলা।
    কবিতায় বাঁধে আকাঙ্খার ঘর
    খোঁজে পথের দিশা
    কত শত কবি ক্ষুধায় ক্ষুব্ধ
    মনে বিদিশার নিশা ।

 

  • বাকির খাতা
    পুলক চক্রবর্তী
  • কিছু ইচ্ছা পূর্ণ না হওয়াই ভালো,
    হলে হয়তো বাঁচার প্রেরণা
    একেবারে শেষ হয়ে যেতো;
    লক্ষ্য বলে নিজের মধ্যে কিছু
    আর পড়ে থাকতো না।
    যা পড়ে থাকতো তা
    অহংকার ছাড়া কিছুই না,
    তাই সব ইচ্ছে কে পরিপূর্ণ
    হতে না দেওয়া ভালো;
    বাকির খাতায় লিখে রেখে
    আনন্দ উপভোগ করতে থাকো।।
  • ” খোকা ও মা “
    মোঃ রফিকুল ইসলাম

চাঁদের বুড়ি চরকা কাটে বাস করে সে চাঁদে,
দেখবে তারে দুই নয়নে খোকা উঠলো ছাদে।
ছাদের চারপাশ খোলামেলা মায়ের বুক টা কাঁপে,
খোকা সে-তো একাই গেছে পড়ে যদি বাপে;।
মা তখন’ই ত্বরিতগতি ছাদের পানে ছুটে,
চড়কগাছ যে মা জননী শেষ সিঁড়িতে উঠে।
বলছে মায়ে বোকা ছেলে নেই কি তোমার জানা?
ছোট্ট মানুষ একা একাই ছাদে উঠা মানা।
মেঘের ফাঁকে তারার মেলা আনন্দেতে ভাসে,
মেঘগুলো ধীর যাচ্ছে সরে চাঁদটা কখন আসে।
খোকা সোনা চেয়ার নিয়ে মধ্য ছাদে বসে,
আশায় আছে চাঁদটা কখন আকাশ হতে খসে।
বলবে কথা বুড়ির সাথে বিষয় হলো শিশু,
মা জননী বকে কেন করলে তারা হিসু।
তোমার গল্পে আমরা অবুঝ কখনও কি থাকি?
চাঁদের দেশের পরি গুলো আজও আছে না-কি?
খোকা সোনার কাণ্ড দেখে বলছে মায়ে হেসে,
খোকারে তুই যাবি নাকি চাঁদে পরির দেশে?
চাঁদের বুড়ির দেখা হলে বলিস মায়ের বুলি,
মা জননী বকে আমায় মাখলে গায়ে ধুলি।
মনোযোগে শুনবি কথা বুড়ি যাহা বলে,
অসুখ বিসুখ লেগেই থাকে ধুলি বালির ফলে।
চাঁদ বুঝি আজ হারায় গেছে মেঘ মালাদের ভীড়ে,
ঠান্ডা হিমেল বাতাস বইছে চল ঘরে তুই ফিরে।

 

  • এখন তুমি 
    শাহীন খান 

 

  • এখন তুমি কোথায়  আছো জানি না
    তোমায় নিয়ে  হয় না  তো আর  হানাহানি না
    যুদ্ধ গেছে থেমে
    বাঁধা সবাই প্রেমে
    কেউ করে না আগের মতো কানাকানি না!
    এখন তুমি কেমন আছো, ভালো তো
    অন্যের মনে জ্বালাও কি গো আলো তো
    রানির মতো হাসি
    ছড়াও রাশি রাশি
    ক্ষণে ক্ষণে ভুবন মাঝে সুখের পিদিম জ্বালো তো?

 

  • শীত এলে
    চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু

শীত এলে কুয়াশয় ঘাসগুলো ভাসে,
উঁকি মেরে সূর্যটা বারে বারে হাসে।
কনকনে শীতে বুঝি কষ্টটা বাড়ে,
খেটে খাওয়া লোকগুলো বোঝে হাড়ে হাড়ে।
শীত এলে চলে রোজ আগুনের খেলা,
গাঁয়ে গাঁয়ে দিন ভর হয় শীত মেলা।
পিঠে পুলির ধুম চলে বাংলার ঘরে,
বাঙালিরা মাতোয়ারা খায় পেট ভরে।
শীত এলে খেজুরের রস মিঠে লাগে,
লাল নীল ফুলগুলো সারারাত জাগে।
সাদা সাদা মেঘগুলো যায় ভেসে ভেসে,
অপরূপ দৃশ্য এই সোনা দেশে।
শীত এলে ফসলের হয় ছড়াছড়ি,
কত ফল ওঠে শীতে বইয়ে কত পড়ি।
এই দেশ সবুজের আমাদের প্রাণ,
পাঁকা ধান ঘরে ওঠে মৌ-মৌ ঘ্রান।

  • পরক পাখির মেলা
    সাঈদুর রহমান লিটন
  • পরক পাখির বইছে মেলা
    হাওর আর বাওরে,
    পাখির মেলা দেখতে চাইলে
    সেথায় তোমরা যাওরে।
    ভারি সুন্দর দেখতে লাগে
    পাখি রঙ-বেরঙে
    মনটা সবার ভরে ওঠে
    পাখি উড়ার ঢঙে।
    পাখির গানে ভরে ওঠে
    মনের অলিগলি,
    শীতের পাখির রূপের মেলা
    দেখতে দেখতে চলি।
    শীতের দেশের পাখি গুলো
    আসে খাবার খোঁজে,
    আশ্রয় নেওয়া পাখি মারে
    শিকারি না বোঝে।
    শিকারি হতে পরক পাখির
    রক্ষা করতে হবে,
    দেশের মধ্যে রূপ বৈচিত্র
    রক্ষা পাবে তবে।

 

  • ভালোই লাগছে
    হালিমা খাতুন সুলতানা
  • ভালো লাগে মোর পৃথিবীর মায়া
    মিছে ছলনার দেয়াল ,
    নিজের প্রতিই আস্থা হারিয়ে
    নিজেই রাখি না খেয়াল ।
    ভালো লাগে মোর আকাশ বাতাস
    মিছেই স্বপ্ন সাজানো ,
    পালক বিহীন এক পাখি আমি
    ঝুমুর নূপুর বাজানো।
    রোদের ছোঁয়ায় ,বৃষ্টি ভেজায়
    যাচ্ছে হৃদয় হারিয়ে,
    আমার জন্য অপেক্ষা করে
    মিছে সুখ দূরে দাঁড়িয়ে।
    ভালোই লাগছে পৃথিবীর মোহ
    হাসি হাসি মুখে দেখতে,
    দু’হাত ভরেই কষ্ট নিচ্ছি
    বাস্তব ছবি শেখতে।
    ভালো লাগে মোর অগ্নি সাগর
    প্রেম ভালোবাসা ছড়ানো,
    সবুজ বনের ,গভীর জলের
    রহস্য সব জড়ানো ।
    ভালোই লাগছে নানান কাজের
    নানান কৌশল জানতে,
    মরুর বুকেতে শিশির বিন্দু
    ছলনার ঢেউ মানতে।

 

  • মনুষ্যত্বের কামনা
    হোসাইন সজীব
  • মনুষ্যত্বে একমাত্র উত্তম সে রাস্তা,
    বিবেক প্রয়োগে যদি থাকে পূর্ণ আস্থা।
    বিবেচনা করে যদি নিজ দোষগুণ,
    হবে নাকো কভু কারো ব্যক্তিত্বের খুন।
    পরনিন্দা মহাপাপ বুঝি তা সবাই,
    মনুষ্যত্ব কেনো তবে করছি জবাই?
    হৃদয়ে মৃত্যু ভয় নাই যদি থাকে,
    শয়তানের মন্ত্রণা পাবে প্রতি বাঁকে।
    কেন যে করছি মোরা পিছু গুণগান,
    জেনে শুনে ভারি করি গুনাহের মান।
    মনুষ্যত্ব মূল্যায়নে নয়তো উদার,
    মানবতা আজ তাই সার্থের আধার।
    সর্বদাই পড়ি মোরা মিথ্যের খপ্পরে,
    কুমন্ত্রণা ও গুজবে জমেছে গপ্পোরে।
    মনুষ্যত্ব ভুলে হই সকলেই পাপী,
    ইবলিসে ধোঁকা দিয়ে করে অনুতাপী।
    ভুলে ভরা নিজ কর্মে বুঝি না তো কিছু,
    উদাসীন হয়ে ঘুরি অপরের পিছু।
    মনুষ্যত্ব ভুলে সবে নেই মিথ্যে মজা,
    তাই মোরা দিনে ক্ষণে পাই এতো সাজা।
    মনুষ্যত্ব বাঁচানোর প্রতিজ্ঞায় এসো,
    রক্ষা করো মানবতা এক সাথে বসো।
    বিধাতার কাছে চাও ক্ষমা ভিক্ষা দান,
    হেদায়েতের বারতা বাঁচাবে সন্মান।
    পবিত্রতা ধরে রেখে করো ইবাদত,
    একনিষ্ঠ মনে ধরো মানবিক পথ।
    আল্লাহর রহমতে থাকবে না কালো,
    আপদ বিপদে জ্বালো মনুষ্যত্বে আলো।
    গিবতে পাপের বোঝা অধিক ওজন,
    পরনিন্দা মহাপাপ গুনা অমার্জন।
    পানাহ্ চাই বিধাতা পরনিন্দা হতে,
    মনুষ্যত্ব দিয়ে মনে রেখো সোজা পথে।
    সৃষ্টি কর্তা আছে সদা সর্ব প্রাণ জুড়ে,
    অন্যায়ের সাজা বিনা যাবো কোন দূরে?
    মনুষ্যত্ব কামনায় এই ফরিয়াদ,
    মানবিক গুণ বিধি করো,গো আবাদ।

বাংলাদেশের বার্তার “সাহিত্য কন্ঠ”


(বিঃদ্রঃ বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ই ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে একটি বিশেষ সংখ্যা। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৬ লাইনের ছড়া/ কবিতা পাঠিয়ে দিন ইমেইলে)

মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মাসুম
সাহিত্য সম্পাদক
বাংলাদেশের বার্তা
sampadok.afjal@gmail.com

 

http://এইচ/কে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বাংলাদেশের বার্তার “সাহিত্য কন্ঠ”

আপডেট সময় : ০৬:৫৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • গোল গোল – শোরগোল
    বিশ্বকাপ – স্নায়ুচাপ
    কে হারবে – কে জিতবে
    পরের ম্যাচে – কে টিকবে
    আলোচনার নেই শেষ
    ভক্তরা আছে বেশ !
  • গোলের প্রতীক্ষায়
    সমর্থকেরা রয়েছে ভাই
    হয়েছে-হয়নি গোল ?
    বেধে গেল হট্টগোল
    যে মাত্র পেল – কাঙ্খিত গোল
    আনন্দে আত্মহারায় মশগোল।
  • কোথায় ব্রাজিল , কোথায় আর্জেন্টিনা
    আমাদের দেশে মস্ত উম্মাদনা
    ভক্তবৃন্দের জার্সি গায়ে গায়ে
    খেলোয়ারের বল পায়ে পায়ে
    বল পায়ে দ্রুত এগিয়ে
    সবাই গোলের স্বপ্ন নিয়ে !
  • গ্যালারি ভর্তি রং-বেরং ফেস্টুন পতাকা
    করছে তারা গোলের অপেক্ষা
    হয় যদি একটি গোল
    উল্লাসে , নাচে-গানে ব্যাকুল
    খেল গোল দল যার
    হতাশা , দুঃখ-বেদনা অসীম তার।
  • গোলের মারপ্যাচে টিমের সবাই দিশেহারা
    গোলের পিছু ছুটছে তারা
    গোল টাই গোলক ধাঁ ধাঁ
    পেরুতে হয় সুকঠিন বাধা
    কারো আসে হিরন্ময় জয়
    মাঠ ছাড়ে কেউ নিয়ে পরাজয়।

 

  • কবির কবিতা
    নূরুন্নাহার বেগম
  • কবিতার মাঝে কবিতা দেখি
    কবিতায় জাগে সুর
    কবিতা দিয়ে দিনের শুরু
    কবিতা মিষ্টি সুমধুর।
    কবিতায় জাগে জীবন স্বপ্ন
    কবিতায় সমুদ্র পাড়ি
    কবিতা এক অজানা বিলাস
    কবিতা সুষমা সুন্দরী।
    কবিতায় ছুটি বন্ধুর পথ
    কবিতায় খুঁজি নারী
    প্রানান্তকর এ ছুটে চলা
    মাঠ ঘাট ছাড়ি।
    দিনের শেষে ঘরে ফেরা
    কবিতার মাঠে মেলা
    কবিতায় বাড়ে বন্ধু মহল
    কবিতায় কত খেলা।
    কবিতায় বাঁধে আকাঙ্খার ঘর
    খোঁজে পথের দিশা
    কত শত কবি ক্ষুধায় ক্ষুব্ধ
    মনে বিদিশার নিশা ।

 

  • বাকির খাতা
    পুলক চক্রবর্তী
  • কিছু ইচ্ছা পূর্ণ না হওয়াই ভালো,
    হলে হয়তো বাঁচার প্রেরণা
    একেবারে শেষ হয়ে যেতো;
    লক্ষ্য বলে নিজের মধ্যে কিছু
    আর পড়ে থাকতো না।
    যা পড়ে থাকতো তা
    অহংকার ছাড়া কিছুই না,
    তাই সব ইচ্ছে কে পরিপূর্ণ
    হতে না দেওয়া ভালো;
    বাকির খাতায় লিখে রেখে
    আনন্দ উপভোগ করতে থাকো।।
  • ” খোকা ও মা “
    মোঃ রফিকুল ইসলাম

চাঁদের বুড়ি চরকা কাটে বাস করে সে চাঁদে,
দেখবে তারে দুই নয়নে খোকা উঠলো ছাদে।
ছাদের চারপাশ খোলামেলা মায়ের বুক টা কাঁপে,
খোকা সে-তো একাই গেছে পড়ে যদি বাপে;।
মা তখন’ই ত্বরিতগতি ছাদের পানে ছুটে,
চড়কগাছ যে মা জননী শেষ সিঁড়িতে উঠে।
বলছে মায়ে বোকা ছেলে নেই কি তোমার জানা?
ছোট্ট মানুষ একা একাই ছাদে উঠা মানা।
মেঘের ফাঁকে তারার মেলা আনন্দেতে ভাসে,
মেঘগুলো ধীর যাচ্ছে সরে চাঁদটা কখন আসে।
খোকা সোনা চেয়ার নিয়ে মধ্য ছাদে বসে,
আশায় আছে চাঁদটা কখন আকাশ হতে খসে।
বলবে কথা বুড়ির সাথে বিষয় হলো শিশু,
মা জননী বকে কেন করলে তারা হিসু।
তোমার গল্পে আমরা অবুঝ কখনও কি থাকি?
চাঁদের দেশের পরি গুলো আজও আছে না-কি?
খোকা সোনার কাণ্ড দেখে বলছে মায়ে হেসে,
খোকারে তুই যাবি নাকি চাঁদে পরির দেশে?
চাঁদের বুড়ির দেখা হলে বলিস মায়ের বুলি,
মা জননী বকে আমায় মাখলে গায়ে ধুলি।
মনোযোগে শুনবি কথা বুড়ি যাহা বলে,
অসুখ বিসুখ লেগেই থাকে ধুলি বালির ফলে।
চাঁদ বুঝি আজ হারায় গেছে মেঘ মালাদের ভীড়ে,
ঠান্ডা হিমেল বাতাস বইছে চল ঘরে তুই ফিরে।

 

  • এখন তুমি 
    শাহীন খান 

 

  • এখন তুমি কোথায়  আছো জানি না
    তোমায় নিয়ে  হয় না  তো আর  হানাহানি না
    যুদ্ধ গেছে থেমে
    বাঁধা সবাই প্রেমে
    কেউ করে না আগের মতো কানাকানি না!
    এখন তুমি কেমন আছো, ভালো তো
    অন্যের মনে জ্বালাও কি গো আলো তো
    রানির মতো হাসি
    ছড়াও রাশি রাশি
    ক্ষণে ক্ষণে ভুবন মাঝে সুখের পিদিম জ্বালো তো?

 

  • শীত এলে
    চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু

শীত এলে কুয়াশয় ঘাসগুলো ভাসে,
উঁকি মেরে সূর্যটা বারে বারে হাসে।
কনকনে শীতে বুঝি কষ্টটা বাড়ে,
খেটে খাওয়া লোকগুলো বোঝে হাড়ে হাড়ে।
শীত এলে চলে রোজ আগুনের খেলা,
গাঁয়ে গাঁয়ে দিন ভর হয় শীত মেলা।
পিঠে পুলির ধুম চলে বাংলার ঘরে,
বাঙালিরা মাতোয়ারা খায় পেট ভরে।
শীত এলে খেজুরের রস মিঠে লাগে,
লাল নীল ফুলগুলো সারারাত জাগে।
সাদা সাদা মেঘগুলো যায় ভেসে ভেসে,
অপরূপ দৃশ্য এই সোনা দেশে।
শীত এলে ফসলের হয় ছড়াছড়ি,
কত ফল ওঠে শীতে বইয়ে কত পড়ি।
এই দেশ সবুজের আমাদের প্রাণ,
পাঁকা ধান ঘরে ওঠে মৌ-মৌ ঘ্রান।

  • পরক পাখির মেলা
    সাঈদুর রহমান লিটন
  • পরক পাখির বইছে মেলা
    হাওর আর বাওরে,
    পাখির মেলা দেখতে চাইলে
    সেথায় তোমরা যাওরে।
    ভারি সুন্দর দেখতে লাগে
    পাখি রঙ-বেরঙে
    মনটা সবার ভরে ওঠে
    পাখি উড়ার ঢঙে।
    পাখির গানে ভরে ওঠে
    মনের অলিগলি,
    শীতের পাখির রূপের মেলা
    দেখতে দেখতে চলি।
    শীতের দেশের পাখি গুলো
    আসে খাবার খোঁজে,
    আশ্রয় নেওয়া পাখি মারে
    শিকারি না বোঝে।
    শিকারি হতে পরক পাখির
    রক্ষা করতে হবে,
    দেশের মধ্যে রূপ বৈচিত্র
    রক্ষা পাবে তবে।

 

  • ভালোই লাগছে
    হালিমা খাতুন সুলতানা
  • ভালো লাগে মোর পৃথিবীর মায়া
    মিছে ছলনার দেয়াল ,
    নিজের প্রতিই আস্থা হারিয়ে
    নিজেই রাখি না খেয়াল ।
    ভালো লাগে মোর আকাশ বাতাস
    মিছেই স্বপ্ন সাজানো ,
    পালক বিহীন এক পাখি আমি
    ঝুমুর নূপুর বাজানো।
    রোদের ছোঁয়ায় ,বৃষ্টি ভেজায়
    যাচ্ছে হৃদয় হারিয়ে,
    আমার জন্য অপেক্ষা করে
    মিছে সুখ দূরে দাঁড়িয়ে।
    ভালোই লাগছে পৃথিবীর মোহ
    হাসি হাসি মুখে দেখতে,
    দু’হাত ভরেই কষ্ট নিচ্ছি
    বাস্তব ছবি শেখতে।
    ভালো লাগে মোর অগ্নি সাগর
    প্রেম ভালোবাসা ছড়ানো,
    সবুজ বনের ,গভীর জলের
    রহস্য সব জড়ানো ।
    ভালোই লাগছে নানান কাজের
    নানান কৌশল জানতে,
    মরুর বুকেতে শিশির বিন্দু
    ছলনার ঢেউ মানতে।

 

  • মনুষ্যত্বের কামনা
    হোসাইন সজীব
  • মনুষ্যত্বে একমাত্র উত্তম সে রাস্তা,
    বিবেক প্রয়োগে যদি থাকে পূর্ণ আস্থা।
    বিবেচনা করে যদি নিজ দোষগুণ,
    হবে নাকো কভু কারো ব্যক্তিত্বের খুন।
    পরনিন্দা মহাপাপ বুঝি তা সবাই,
    মনুষ্যত্ব কেনো তবে করছি জবাই?
    হৃদয়ে মৃত্যু ভয় নাই যদি থাকে,
    শয়তানের মন্ত্রণা পাবে প্রতি বাঁকে।
    কেন যে করছি মোরা পিছু গুণগান,
    জেনে শুনে ভারি করি গুনাহের মান।
    মনুষ্যত্ব মূল্যায়নে নয়তো উদার,
    মানবতা আজ তাই সার্থের আধার।
    সর্বদাই পড়ি মোরা মিথ্যের খপ্পরে,
    কুমন্ত্রণা ও গুজবে জমেছে গপ্পোরে।
    মনুষ্যত্ব ভুলে হই সকলেই পাপী,
    ইবলিসে ধোঁকা দিয়ে করে অনুতাপী।
    ভুলে ভরা নিজ কর্মে বুঝি না তো কিছু,
    উদাসীন হয়ে ঘুরি অপরের পিছু।
    মনুষ্যত্ব ভুলে সবে নেই মিথ্যে মজা,
    তাই মোরা দিনে ক্ষণে পাই এতো সাজা।
    মনুষ্যত্ব বাঁচানোর প্রতিজ্ঞায় এসো,
    রক্ষা করো মানবতা এক সাথে বসো।
    বিধাতার কাছে চাও ক্ষমা ভিক্ষা দান,
    হেদায়েতের বারতা বাঁচাবে সন্মান।
    পবিত্রতা ধরে রেখে করো ইবাদত,
    একনিষ্ঠ মনে ধরো মানবিক পথ।
    আল্লাহর রহমতে থাকবে না কালো,
    আপদ বিপদে জ্বালো মনুষ্যত্বে আলো।
    গিবতে পাপের বোঝা অধিক ওজন,
    পরনিন্দা মহাপাপ গুনা অমার্জন।
    পানাহ্ চাই বিধাতা পরনিন্দা হতে,
    মনুষ্যত্ব দিয়ে মনে রেখো সোজা পথে।
    সৃষ্টি কর্তা আছে সদা সর্ব প্রাণ জুড়ে,
    অন্যায়ের সাজা বিনা যাবো কোন দূরে?
    মনুষ্যত্ব কামনায় এই ফরিয়াদ,
    মানবিক গুণ বিধি করো,গো আবাদ।

বাংলাদেশের বার্তার “সাহিত্য কন্ঠ”


(বিঃদ্রঃ বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ই ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে একটি বিশেষ সংখ্যা। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৬ লাইনের ছড়া/ কবিতা পাঠিয়ে দিন ইমেইলে)

মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মাসুম
সাহিত্য সম্পাদক
বাংলাদেশের বার্তা
sampadok.afjal@gmail.com

 

http://এইচ/কে