বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় নিহত-১

- আপডেট সময় : ০৬:২৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৯৬৩৫ বার পড়া হয়েছে
আজিজ উদ্দিন
বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের তুমব্রু সংলগ্ন বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
নারী-পুরুষ সহ আরো ছয়জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত হওয়া পাঁচজনকে উদ্ধার করে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়।
নিহত হলেন মোহাম্মদ ইকবাল (১৮)। সে তুমব্রু সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডের বাসিন্দা মনির আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত দশটার টার দিকে তুমব্রু নো ম্যানস ল্যান্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন সেলিম উল্লাহর মেয়ে সাদিয়া জান্নাত (১০), তার স্ত্রী সাবেকুর নাহারন(৩০), ছৈয়দ করিমের ছেলে নবী হোসেন(২২), করিমের ছেলে ভুলু (৪৪) ও রহিম উল্লাহ ছেলে আনাছ (১২)। এরা সবাই তুমব্রু নো ম্যানস ল্যান্ডের বাসিন্দা।
রোহিঙ্গারা তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইকবাল নামে এক রোহিঙ্গা মৃত্যু হয়। পরে গুরুতর আহতদের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। আহত সাদিয়া জান্নাত (১০) এর অবস্থা অবনতির দিকে হওয়াই, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন রাত দশটার টার দিকে হঠাৎ মর্টার শেল আঘাত হানে। পর পর তিনটি বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় ইকবালসহ ছয়জন আহত হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইকবালের মৃত্যু হয়।
এর আগে আজ দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু মিয়ানমার সীমান্তে ‘ল্যান্ড মাইন’ বিস্ফোরণে অন্য থাইন চাকমা (২২) নামে এক যুবকের পা উড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি টহল জোরদার করেছে। এবং স্থানীয়দের নিরাপদ থাকার জন্য নো ম্যান্স ল্যান্ডের পাশে না যাওয়ার জন্য নিষেধ করেছে।
ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম আজিজ বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। সবাইকে নিরাপদে থাকতে বলেছি। গরু ছাগল বেঁধে রাখতে বলেছি।
এদিকে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নির্দেশে, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাংলা ২য় পত্র ধুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে সরিয়ে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থান্তর করা হয়েছে।
কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট কমিটি রাত দুই ঘটিকার সময় বাংলাদেশের বার্তা জেলা প্রতিনিধিকে বলেন, আজকের পরীক্ষার জন্য আমরা প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছি।শিক্ষার্থীরা আজকের পরীক্ষা আমার বিদ্যালয় কেন্দ্র হতে দিতে পারবে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাদিম আলী ঘোষণা দিয়েছেন উখিয়া থানার উদ্যোগে দুইটি বাস সকাল নয় ঘটিকায় ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে পরীক্ষার্থীদের কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌছে দিবে এবং পরীক্ষা শেষ হলে পুনরায় পরীক্ষার্থীদের দিয়ে আসবে।