ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেওয়ারিশ’ হিসেবে ২১ লাশ দাফন করেছে :আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম

রিফাত মোল্লা
  • আপডেট সময় : ০৬:২৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪
  • / ৯৬১২ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহতসহ ২১ বেওয়ারিশ লাশ দাফন করেছে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। ঢাকার তিনটি সরকারি হাসপাতাল থেকে এ লাশগুলো পুলিশ তাদের দাফন করতে দেয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছে।

আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কর্মকর্তারা জানান, গত তিন দিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মোট ১৮টি বেওয়ারিশ লাশ পাঠানো হয়। এর মধ্যে ২২ জুলাই ৯ জনের এবং ২৪ জুলাই আরও ৯ জনের লাশ দাফনের জন্য পাঠানো হয়।

তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, ২২ জুলাই যেসব বেওয়ারিশ লাশ পাঠানো হয় সেগুলো পুরানো লাশ। চলমান কোটা আন্দোলন ঘিরে এসব নিহতের ঘটনা ঘটেনি।

ডিএমসির ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কাজী গোলাম মুখলেসুর রহমান বলেন, ২২ জুলাই যেসব বেওয়ারিশ লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দেয়া হয়েছে সেই ৯টি লাশ ওই ঘটনার না। আমাদের মরচুয়ারিগুলো খালি করার জন্য আগে যে বেওয়ারিশ লাশ ছিল সেগুলো। ওই ঘটনার সাথে এগুলো সম্পর্কিত না।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কর্মকর্তারা জানান, ডিএমসি থেকে পাঠানো লাশগুলোর মধ্যে একটি নবজাতক শিশুর লাশও ছিল।

ডিএমসির ফরেনসিক বিভাগের মর্গের ডোম রামু চন্দ্র দাস বলেন, ২৪ জুলাই যে লাশ পাঠানো হয়েছিল তাদের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ছিল, আর কয়েকজনের শরীরে মারাত্মক জখমের আঘাত ছিল। পিটিয়ে মারলে যেরকম হয় সেরকম আঘাত কয়েকজনের পিঠে দেখা যায়।

সংস্থাটি থেকে জানানো হয়, ২২ জুলাই সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দুইটি বেওয়ারিশ লাশ দাফনের জন্য পাঠানো হয়। আর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে ২৩ জুলাই একটি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করার জন্য পাঠানো হয়।

মোহাম্মদপুরের বসিলায় কবরস্থানে এসব লাশ দাফন করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, আইনানুযায়ী পুলিশ ডিএনএ টেস্টে যাতে শনাক্ত করা যায়, সে কারণে বেওয়ারিশ লাশের শরীর থেকে নমুনা রাখে। পরে তারা দাফন করার জন্য পাঠায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বেওয়ারিশ’ হিসেবে ২১ লাশ দাফন করেছে :আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম

আপডেট সময় : ০৬:২৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহতসহ ২১ বেওয়ারিশ লাশ দাফন করেছে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। ঢাকার তিনটি সরকারি হাসপাতাল থেকে এ লাশগুলো পুলিশ তাদের দাফন করতে দেয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছে।

আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কর্মকর্তারা জানান, গত তিন দিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মোট ১৮টি বেওয়ারিশ লাশ পাঠানো হয়। এর মধ্যে ২২ জুলাই ৯ জনের এবং ২৪ জুলাই আরও ৯ জনের লাশ দাফনের জন্য পাঠানো হয়।

তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, ২২ জুলাই যেসব বেওয়ারিশ লাশ পাঠানো হয় সেগুলো পুরানো লাশ। চলমান কোটা আন্দোলন ঘিরে এসব নিহতের ঘটনা ঘটেনি।

ডিএমসির ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কাজী গোলাম মুখলেসুর রহমান বলেন, ২২ জুলাই যেসব বেওয়ারিশ লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দেয়া হয়েছে সেই ৯টি লাশ ওই ঘটনার না। আমাদের মরচুয়ারিগুলো খালি করার জন্য আগে যে বেওয়ারিশ লাশ ছিল সেগুলো। ওই ঘটনার সাথে এগুলো সম্পর্কিত না।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কর্মকর্তারা জানান, ডিএমসি থেকে পাঠানো লাশগুলোর মধ্যে একটি নবজাতক শিশুর লাশও ছিল।

ডিএমসির ফরেনসিক বিভাগের মর্গের ডোম রামু চন্দ্র দাস বলেন, ২৪ জুলাই যে লাশ পাঠানো হয়েছিল তাদের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ছিল, আর কয়েকজনের শরীরে মারাত্মক জখমের আঘাত ছিল। পিটিয়ে মারলে যেরকম হয় সেরকম আঘাত কয়েকজনের পিঠে দেখা যায়।

সংস্থাটি থেকে জানানো হয়, ২২ জুলাই সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দুইটি বেওয়ারিশ লাশ দাফনের জন্য পাঠানো হয়। আর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে ২৩ জুলাই একটি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করার জন্য পাঠানো হয়।

মোহাম্মদপুরের বসিলায় কবরস্থানে এসব লাশ দাফন করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, আইনানুযায়ী পুলিশ ডিএনএ টেস্টে যাতে শনাক্ত করা যায়, সে কারণে বেওয়ারিশ লাশের শরীর থেকে নমুনা রাখে। পরে তারা দাফন করার জন্য পাঠায়।