ঢাকা ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাসিক নিয়ে অবহেলা নয়//মেনে চলুন বিশেষ কিছু নিয়ম

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৪:০৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২
  • / ৯৬৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বাস্থ্য ডেস্ক॥

মাসিক বা পিরিয়ড মেয়েদের জন্য জন্য সৃষ্টিকর্তার এক বিশেষ উপহার!যা নারী দেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মাসিক নারীদের মাতৃত্বের স্বাদ দেওয়ার একটি প্রক্রিয়াও বটে। কিশোরীরা যখন বয়ঃসন্ধিতে উপনীত হয় তখনই মাসিক শুরু হয়;তাই ছোট থেকেই মেয়েদের মধ্যে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করে দেওয়া প্রয়োজন। তাতে ঋতুস্রাবকালীন সংক্রমণ প্রতিরোধ করা অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়।

মাসিকের দিনগুলোতে মেনে চলতে পারেন বিশেষ এই নিয়মগুলো;

১) পিরিয়ডের দিনগুলোতে প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা অন্তর স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করুন। মাসিক চলাকালীন একই স্যানিটারি ন্যাপকিন অনেক ক্ষণ ধরে ব্যবহার করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এর থেকে মূত্রনালীর সংক্রমণ, যৌনাঙ্গের চারপাশে ফুসকুড়ি, র‌্যাশও দেখা দিতে পারে।

২) প্রতি বার স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলানোর সময় যৌনাঙ্গ ভাল করে পরিষ্কার করুন। স্যানিটারি ন্যাপকিনের তুলো, ঋতুস্রাবের রক্ত যেন জমে না থাকে। তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়।

৩) ঋতুস্রাব চলাকালীন যৌনাঙ্গের সুরক্ষা বজায় রাখতে সাবান, বডি ওয়াশ বা অন্য কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। কৃত্রিম কোনও প্রসাধনী যৌনাঙ্গের মতো স্পর্শকাতর অংশে ব্যবহার না করাই ভাল। কারণ এই ধরনের তরল সাবান বা ক্রিমে থাকা রাসায়নিক উপাদান সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

৪) ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যত্রতত্র না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। কারণ যেখান সেখানে ছড়িয়ে থাকা ব্যবহৃত ন্যাপকিন থেকে ব্যাক্টেরিয়া ছড়াতে পারে। স্যানিটারি ন্যাপকিন নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার পর হাত ধুয়ে নেওয়াটাও কিন্তু একান্তই জরুরি।

http://এইচ/কে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মাসিক নিয়ে অবহেলা নয়//মেনে চলুন বিশেষ কিছু নিয়ম

আপডেট সময় : ০৪:০৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২

স্বাস্থ্য ডেস্ক॥

মাসিক বা পিরিয়ড মেয়েদের জন্য জন্য সৃষ্টিকর্তার এক বিশেষ উপহার!যা নারী দেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মাসিক নারীদের মাতৃত্বের স্বাদ দেওয়ার একটি প্রক্রিয়াও বটে। কিশোরীরা যখন বয়ঃসন্ধিতে উপনীত হয় তখনই মাসিক শুরু হয়;তাই ছোট থেকেই মেয়েদের মধ্যে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করে দেওয়া প্রয়োজন। তাতে ঋতুস্রাবকালীন সংক্রমণ প্রতিরোধ করা অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়।

মাসিকের দিনগুলোতে মেনে চলতে পারেন বিশেষ এই নিয়মগুলো;

১) পিরিয়ডের দিনগুলোতে প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা অন্তর স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করুন। মাসিক চলাকালীন একই স্যানিটারি ন্যাপকিন অনেক ক্ষণ ধরে ব্যবহার করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এর থেকে মূত্রনালীর সংক্রমণ, যৌনাঙ্গের চারপাশে ফুসকুড়ি, র‌্যাশও দেখা দিতে পারে।

২) প্রতি বার স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলানোর সময় যৌনাঙ্গ ভাল করে পরিষ্কার করুন। স্যানিটারি ন্যাপকিনের তুলো, ঋতুস্রাবের রক্ত যেন জমে না থাকে। তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়।

৩) ঋতুস্রাব চলাকালীন যৌনাঙ্গের সুরক্ষা বজায় রাখতে সাবান, বডি ওয়াশ বা অন্য কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। কৃত্রিম কোনও প্রসাধনী যৌনাঙ্গের মতো স্পর্শকাতর অংশে ব্যবহার না করাই ভাল। কারণ এই ধরনের তরল সাবান বা ক্রিমে থাকা রাসায়নিক উপাদান সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

৪) ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যত্রতত্র না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। কারণ যেখান সেখানে ছড়িয়ে থাকা ব্যবহৃত ন্যাপকিন থেকে ব্যাক্টেরিয়া ছড়াতে পারে। স্যানিটারি ন্যাপকিন নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার পর হাত ধুয়ে নেওয়াটাও কিন্তু একান্তই জরুরি।

http://এইচ/কে