ঢাকা ০২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রায় কার্যকর না হাওয়া পর্যন্ত আমরা সন্তুষ্ট না: সিনহার বোন

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০১:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩
  • / ৯৬৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজিজ উদ্দিন।।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বলেছেন আমার ভাই হত্যার মামলার রায়ের আদেশে নয় বরং রায় কার্যকর হলেই সন্তুষ্টি মিলবে। দুই প্রধান আসামির ফাঁসির রায়ের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, কিন্তু সাতজনের খালাস নিয়ে আছে অসন্তোষ। যেদিন রায় কার্যকর হবে সেদিন সন্তুষ্টি মিলবে।

সোমবার (৩১জুলাই) বেলা ৪টার দিকে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্ররীর শহীদ সুভাষ হলে মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা হত্যার ৩ বছর পূর্তিতে মামলার বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ৩বছর অপেক্ষা করেছি আর কত অপেক্ষা করবো। এখনো রায় কার্যকর হয়নি। এই রায় আটকে আছে। এই ঘটনা কোন সাধারণ ঘটনা হতে পারে না। আমরা রায় কার্যকর চাই।

আমার ভাই অন্তত সৎ অফিসার ছিলেন। তার সামনে কোটি টাকা রাখলেও তার টাকা না হলে ধরবে না। আমার ভাইকে সন্ত্রসীরা হত্যা করলে আমরা সহজে মেনে নিতে পারতাম। কিন্তু পোষাক পরিধান করে হত্যা করা মানে সন্ত্রসীর চেয়ে কম না। আমার ভাই ট্রেনিংপ্রাপ্ত দক্ষ অফিসার । তাকে এই সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমরা এখনো তার মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। সে এখনো আমাদের সামনে ঘুরে বেড়ায়। মাঝে মধ্যে মনে হয় সে এখনো মরে নাই। আমার ভাই একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক । দেশের জন্য প্রাণ দিতে সে সবসময় প্রস্তুত ছিল। সিনহার স্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে কান্না ভেঙ্গে পড়েন বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।

বক্তব্য শেষে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন, আমার পরিবার আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সাংবাদিকদের কারনে আমরা আজ এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম,নারী নেত্রী নাজরিন সরওয়ার কাবেরি,ওসি প্রদীপের নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তাফাসহ আরোঅনেকেই।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রায় কার্যকর না হাওয়া পর্যন্ত আমরা সন্তুষ্ট না: সিনহার বোন

আপডেট সময় : ০১:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

আজিজ উদ্দিন।।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বলেছেন আমার ভাই হত্যার মামলার রায়ের আদেশে নয় বরং রায় কার্যকর হলেই সন্তুষ্টি মিলবে। দুই প্রধান আসামির ফাঁসির রায়ের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, কিন্তু সাতজনের খালাস নিয়ে আছে অসন্তোষ। যেদিন রায় কার্যকর হবে সেদিন সন্তুষ্টি মিলবে।

সোমবার (৩১জুলাই) বেলা ৪টার দিকে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্ররীর শহীদ সুভাষ হলে মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা হত্যার ৩ বছর পূর্তিতে মামলার বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ৩বছর অপেক্ষা করেছি আর কত অপেক্ষা করবো। এখনো রায় কার্যকর হয়নি। এই রায় আটকে আছে। এই ঘটনা কোন সাধারণ ঘটনা হতে পারে না। আমরা রায় কার্যকর চাই।

আমার ভাই অন্তত সৎ অফিসার ছিলেন। তার সামনে কোটি টাকা রাখলেও তার টাকা না হলে ধরবে না। আমার ভাইকে সন্ত্রসীরা হত্যা করলে আমরা সহজে মেনে নিতে পারতাম। কিন্তু পোষাক পরিধান করে হত্যা করা মানে সন্ত্রসীর চেয়ে কম না। আমার ভাই ট্রেনিংপ্রাপ্ত দক্ষ অফিসার । তাকে এই সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমরা এখনো তার মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। সে এখনো আমাদের সামনে ঘুরে বেড়ায়। মাঝে মধ্যে মনে হয় সে এখনো মরে নাই। আমার ভাই একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক । দেশের জন্য প্রাণ দিতে সে সবসময় প্রস্তুত ছিল। সিনহার স্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে কান্না ভেঙ্গে পড়েন বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।

বক্তব্য শেষে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন, আমার পরিবার আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সাংবাদিকদের কারনে আমরা আজ এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম,নারী নেত্রী নাজরিন সরওয়ার কাবেরি,ওসি প্রদীপের নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তাফাসহ আরোঅনেকেই।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।