ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
আকাশ ও স্থল পথে ভারতে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশির মৃত্যু সারাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের সুখবর কুমিল্লা জেলা রোভারের কোর্স ফর রোভার মেট কোর্সের সনদ প্রদান বাংলাদেশে ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আবহাওয়া অফিস কুমিল্লা জেলা রোভারের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রথম আলো কুমিল্লা বন্ধুসভার ব্যবস্থাপনায় এম সাদেক স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি কুমিল্লা জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপ কমডেকায় অংশগ্রহনকারীদের সনদ প্রদান

সদরপুরে পোনা মাছ নিধন চলছে কর্তৃপক্ষ নির্বিকার 

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৩:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৯৬৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সোবাহান সৈকত সদরপুর (ফরিদপুর)।

ফরিদপুরের সদরপুরের অবাধে রেনু ও পোনা মাছ নিধনের উৎসব চললেও মৎস্য  শিকার রোধে নির্বিকার সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ।  সদরপুর  উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে চায়না দোয়ারিসহ বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে মা মাছ ও রেনু পোনা নিধনের মহোৎসবে মেতেছে এক শ্রেনীর অসাধু জেলেরা । দিনরাত অবাধে পোনামাছ শিকার করে প্রকাশ্যে স্থানীয় হাট বাজারে বিক্রি হলেও  উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর কার্যকারী কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার অকোটেরচর ইউনিয়নের পদ্মার সংযোগ খাল ও ঢেউখালী ইউনিয়নের আড়িয়াল খা নদে চায়না দোয়ারি, কারেন্ট জাল, মশারি জাল দিয়ে দিন রাত মা মাছও দেশিয় প্রজাতির পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। এছাড়া পদ্মার ও ভূবনেশ্বরের সংযোগ স্থল পিয়াজখালী স্লুইচ গেট, শয়তানখালী ঘাট ও চৈতার কোল এলাকায় প্ররযাপ্ত পরিমান  চায়না দোয়ারি আড়াআড়ি বাদে বেষ্টিত রয়েছে।

আকোটের চর এলাকার গফুর মাতুব্বর নামে এক জন জানায়, বর্তমানে নানা ধরনের দেশী-বিদেশী জালের কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এই মাছ শিকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

চন্দ্রপাড়া ঘাটের রাজ্জাক শেখ বলেন, এসব চায়না দোয়ারি ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ না হলে দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। প্রতিদিন সকালে চন্দ্রপাড়া ঘাটে রেনু পোনার বাজার বসে। প্রশাসনের চোখে কেন পড়ছে না বুঝিনা। এভাবে শিকার চলতে থাকলে এক সময় দেশী প্রজাতির মাছ বিপন্ন হয়ে যাবে।

এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এম.এম জাহাঙ্গীর কবির জানান, আমরা কিছুদিন আগে একবার অভিযান পরিচালনা করেছি। আমাদের দপ্তরে জনবল সংকটের কারণে সময় মত আভিযান পরিচালনা করতে পারিনা। তবে শীঘ্রই আমরা মা মাছ ও রেনু পোনা শিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সদরপুরে পোনা মাছ নিধন চলছে কর্তৃপক্ষ নির্বিকার 

আপডেট সময় : ০৩:৪২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

সোবাহান সৈকত সদরপুর (ফরিদপুর)।

ফরিদপুরের সদরপুরের অবাধে রেনু ও পোনা মাছ নিধনের উৎসব চললেও মৎস্য  শিকার রোধে নির্বিকার সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ।  সদরপুর  উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে চায়না দোয়ারিসহ বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে মা মাছ ও রেনু পোনা নিধনের মহোৎসবে মেতেছে এক শ্রেনীর অসাধু জেলেরা । দিনরাত অবাধে পোনামাছ শিকার করে প্রকাশ্যে স্থানীয় হাট বাজারে বিক্রি হলেও  উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর কার্যকারী কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার অকোটেরচর ইউনিয়নের পদ্মার সংযোগ খাল ও ঢেউখালী ইউনিয়নের আড়িয়াল খা নদে চায়না দোয়ারি, কারেন্ট জাল, মশারি জাল দিয়ে দিন রাত মা মাছও দেশিয় প্রজাতির পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। এছাড়া পদ্মার ও ভূবনেশ্বরের সংযোগ স্থল পিয়াজখালী স্লুইচ গেট, শয়তানখালী ঘাট ও চৈতার কোল এলাকায় প্ররযাপ্ত পরিমান  চায়না দোয়ারি আড়াআড়ি বাদে বেষ্টিত রয়েছে।

আকোটের চর এলাকার গফুর মাতুব্বর নামে এক জন জানায়, বর্তমানে নানা ধরনের দেশী-বিদেশী জালের কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এই মাছ শিকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

চন্দ্রপাড়া ঘাটের রাজ্জাক শেখ বলেন, এসব চায়না দোয়ারি ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ না হলে দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। প্রতিদিন সকালে চন্দ্রপাড়া ঘাটে রেনু পোনার বাজার বসে। প্রশাসনের চোখে কেন পড়ছে না বুঝিনা। এভাবে শিকার চলতে থাকলে এক সময় দেশী প্রজাতির মাছ বিপন্ন হয়ে যাবে।

এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এম.এম জাহাঙ্গীর কবির জানান, আমরা কিছুদিন আগে একবার অভিযান পরিচালনা করেছি। আমাদের দপ্তরে জনবল সংকটের কারণে সময় মত আভিযান পরিচালনা করতে পারিনা। তবে শীঘ্রই আমরা মা মাছ ও রেনু পোনা শিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।