ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের অনলাইন প্রেজেন্টস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন শানাকা ক্যাচ আউট, রান আউট, তারপরও নটআউট, সুপার ওভারে আসলে কী ঘটেছিল পাকিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কার হার, সহজ যে সমীকরণ মেলালেই ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ খুমেকে জোর করে অক্সিজেন খুলে নেয় ক্লিনার, একটু পরেই রোগীর মৃত্যু জকসু সহ ২ দাবিতে জবি শিবিরের কঠোর কর্মসূচি জবির অর্ধ-কোটি টাকার লিফট নির্মাণে অর্থের লুটপাট জাকের পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ছাত্রফ্রন্ট নেতা ওমর ফারুক এর শুভেচ্ছা বার্তা বাস স্ট্যান্ড অপসারণের ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম জবি শিক্ষার্থীদের দেশে প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস মনিটরিং ব্যবস্থা চালু ইতিহাস বিভাগকে হারিয়ে জুলাই রেভুলেশন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন একাউন্টিং বিভাগ

১২ বছর পর সিজার অপারেশন শুরু আনন্দে আত্মহারা গোয়ালন্দ বাসী

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৬:০৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২
  • / ৯৬৫৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

(রাজু আহমেদ) স্টাফ রিপোর্টার রাজবাড়ী :

দীর্ঘ একযুগ পর সিজারিয়ান সেকশন শুরু হলো গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। দীর্ঘ ১২ বছর এখানে কোন সিজার অপারেশন হয়নি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহিম টিটন এর সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে ডা. সৈয়দ মোঃ আমিরুল হক ,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, গোয়ালন্দ, রাজবাড়ীর নেতৃত্বে আজ এই প্রথম এই সিজার অপারেশন করা হয়।

সোমবার (১৫ আগষ্ট) দুপুর ১:৩০ মিনিটে শারমিন আক্তার নামক একটি মেয়ে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।

আজ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এবং শেখ রাসেলের নামে স্মৃতি চরণে রাখার জন্য এই শিশুটির নাম রাখা হয়েছে শাহাদাৎ হোসেন রাসেল। নামটি রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।

মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ আছেন,স্থানীয়রা বলেন, কোন প্রসূতি মায়ের অবস্থায় অবনতি হলে বা সিজারের প্রয়োজন হলে আগে আমাদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল বা ফরিদপুর হাসপাতালে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন উপায় ছিল না।

বর্তমানে আমাদের হাতের নাগালে এ ব্যবস্থা চালু করায় কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সিজারিয়ান সেবা আমাদের হাসপাতালে পাওয়ায়। এতে আমরা অনেক আনন্দিত এছাড়া গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি আরও উন্নত করার জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এই স্থানীয় এলাকাবাসী।

এ বিষয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, উপজেলা পর্যায়ে প্রসূতি মায়েদের জন্য সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা খুবই সীমিত। তা ছাড়া এখান থেকে জেলা সদর হাসপাতালের দূরত্ব ও অনেক। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকার পরেও যে,আমরা চালু করতে পেরেছি সেটাই আমাদের কাছে আনন্দের ব্যাপার। এই সেবা চালমান রাখতে আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ কাজ করে যাব।

অপারেশন টিমে ছিলেন ডা. তৃপ্তি সরকার ,জুনি. কনসালটেন্ট (গাইনি এন্ড অবস), ডা. প্রদীপ কান্তি পাল, জুনি. কনসালটেন্ট (এনেস্থেসিয়া), ডা. নাজনীন নাহার নীরা, সহকারী সার্জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স হোসনে আরা।

সহযোগিতায় ছিলেন অন্যান্য মেডিকেল অফিসারগণ, সিনিয়র স্টাফ নার্সগন,ও হাসপাতালের সকল স্টাফ।

এইচ/কে

 

আরো পড়ুনঃ-

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

১২ বছর পর সিজার অপারেশন শুরু আনন্দে আত্মহারা গোয়ালন্দ বাসী

আপডেট সময় : ০৬:০৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২

(রাজু আহমেদ) স্টাফ রিপোর্টার রাজবাড়ী :

দীর্ঘ একযুগ পর সিজারিয়ান সেকশন শুরু হলো গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। দীর্ঘ ১২ বছর এখানে কোন সিজার অপারেশন হয়নি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহিম টিটন এর সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে ডা. সৈয়দ মোঃ আমিরুল হক ,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, গোয়ালন্দ, রাজবাড়ীর নেতৃত্বে আজ এই প্রথম এই সিজার অপারেশন করা হয়।

সোমবার (১৫ আগষ্ট) দুপুর ১:৩০ মিনিটে শারমিন আক্তার নামক একটি মেয়ে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।

আজ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এবং শেখ রাসেলের নামে স্মৃতি চরণে রাখার জন্য এই শিশুটির নাম রাখা হয়েছে শাহাদাৎ হোসেন রাসেল। নামটি রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।

মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ আছেন,স্থানীয়রা বলেন, কোন প্রসূতি মায়ের অবস্থায় অবনতি হলে বা সিজারের প্রয়োজন হলে আগে আমাদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল বা ফরিদপুর হাসপাতালে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন উপায় ছিল না।

বর্তমানে আমাদের হাতের নাগালে এ ব্যবস্থা চালু করায় কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সিজারিয়ান সেবা আমাদের হাসপাতালে পাওয়ায়। এতে আমরা অনেক আনন্দিত এছাড়া গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি আরও উন্নত করার জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এই স্থানীয় এলাকাবাসী।

এ বিষয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, উপজেলা পর্যায়ে প্রসূতি মায়েদের জন্য সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা খুবই সীমিত। তা ছাড়া এখান থেকে জেলা সদর হাসপাতালের দূরত্ব ও অনেক। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকার পরেও যে,আমরা চালু করতে পেরেছি সেটাই আমাদের কাছে আনন্দের ব্যাপার। এই সেবা চালমান রাখতে আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ কাজ করে যাব।

অপারেশন টিমে ছিলেন ডা. তৃপ্তি সরকার ,জুনি. কনসালটেন্ট (গাইনি এন্ড অবস), ডা. প্রদীপ কান্তি পাল, জুনি. কনসালটেন্ট (এনেস্থেসিয়া), ডা. নাজনীন নাহার নীরা, সহকারী সার্জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স হোসনে আরা।

সহযোগিতায় ছিলেন অন্যান্য মেডিকেল অফিসারগণ, সিনিয়র স্টাফ নার্সগন,ও হাসপাতালের সকল স্টাফ।

এইচ/কে

 

আরো পড়ুনঃ-