ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের অনলাইন প্রেজেন্টস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন শানাকা ক্যাচ আউট, রান আউট, তারপরও নটআউট, সুপার ওভারে আসলে কী ঘটেছিল পাকিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কার হার, সহজ যে সমীকরণ মেলালেই ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ খুমেকে জোর করে অক্সিজেন খুলে নেয় ক্লিনার, একটু পরেই রোগীর মৃত্যু জকসু সহ ২ দাবিতে জবি শিবিরের কঠোর কর্মসূচি জবির অর্ধ-কোটি টাকার লিফট নির্মাণে অর্থের লুটপাট জাকের পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ছাত্রফ্রন্ট নেতা ওমর ফারুক এর শুভেচ্ছা বার্তা বাস স্ট্যান্ড অপসারণের ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম জবি শিক্ষার্থীদের দেশে প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস মনিটরিং ব্যবস্থা চালু ইতিহাস বিভাগকে হারিয়ে জুলাই রেভুলেশন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন একাউন্টিং বিভাগ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ভেসে আসছে/ মৃত ডলফিন

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০২:০৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৯৬৫৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজিজ উদ্দিন॥

পৃথিবীর দ্রীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। প্রতিদিন হাজার হাজার দেশি ও বিদেশি পর্যটক আসে দেখতে। প্রতিনিয়ত ভোর থেকে শুরু করে রাত অবদি পর্যটক থাকে সমুদ্র সৈকতে।

সারি সারি সাঁজানো আছে কিটকাট। লাবনী পয়েন্ট থেকে শুরু করে কলাতলী সায়মান রিসোর্ট পর্যন্ত কিটকাট গুলো বসানো হয়েছে পর্যটকদের জন্য।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে যদি আবহাওয়া খারাপের সতর্ক সংকেত আসে, তখন সমুদ্রের পাড়ে ভেসে আছে ময়লা আবর্জনা।

যত বারই সতর্ক সংকেত প্রদান করে, তত বারই দেখে মিলে ময়লা আবর্জনার।

তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল থেকে কক্সবাজারে আবহাওয়ার সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে আকাশ মেঘলা হয়ে হালকা থেমে থেমে বৃষ্টি পড়া শুরু করেছে।

পর্যটন মৌসুম শুরু হতে চলেছে, তাই কক্সবাজার পর্যটকের মোটামুটি ঢল আছে বলেই চলে।

আজ আবহাওয়ার খারাপ সংকেতের কারণে সমুদ্র সৈকতে গেলে দেখতে পাওয়া যায় ময়লা আবর্জনায় চেয়ে গেছে পুরো সমুদ্র সৈকত। পর্যটক পানিতে নামতে অনিহা প্রকাশ করছে।ময়লা আবর্জনার সারি সারি ভাবে বিচ্চিত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। দেখার কেউ নাই। এমন কি বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির লোকজন নেই, পরিবেশ কর্মী নেই, পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত কর্মী গুলোও নেই।

অভিভাবকহীন আজকের সমুদ্র সৈকত। কলাতলীর দিকে গেলে দেখতে পাওয়া যায় ময়লা আবর্জনার সাথে পড়ে আছে তিন ফুট আর এক ফুটের কাছাকাছি একটি মৃত ডলফিনের বাচ্চা। গায়ে কয়েকটা দাগ দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে গভীর সমুদ্র থেকে সাগরের কিনারায় মায়ের সাথে খেলতে এসে পথ হারিয়ে বেকায়দায় পড়ে হয়ত মাছ ধরার বড় বড় ট্রলার বা ছোট নৌকা বোটের জালে লেগে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে এমনটা ধারণা করেছেন কিটকাট ব্যবসায়ী আবুল কাশেম লালু। লালু জানান, মৃত্যু ডলফিনের বাচ্চাটি সকালে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে। এইটা দেখার জন্য কেউ নাই। এমন কি কেউ জানেও না।

সকাল থেকে বিকাল গড়িয়ে যাচ্ছে, দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পর্যটক আমার কিটকাটে বসতে অপরাগতা প্রকাশ করতেছে। বিদায় আমি নিজে মৃত ডলফিনের বাচ্চাটি বালিতে গর্ত কুড়ে পুতে রাখতেছি।

বিশিষ্ট জনের মতে, ইদানিং প্রায় শুনা যাচ্ছে সাগর থেকে আহত অবস্থায় ডলফিনের বাচ্চা সাগর পাড়ে ভেসে আসতেছে। পরিবেশ কর্মী বা বনবিভাগের লোকজন পেলে ট্রিটমেন্ট করে আবার ছেড়ে দিচ্ছে। না পেলে হয়ত মারা যাচ্ছে।এইভাবে অনেক প্রাকৃতিক মৎস্যপ্রাণী দিনদিন বিলুপ্তির পথে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ভেসে আসছে/ মৃত ডলফিন

আপডেট সময় : ০২:০৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

আজিজ উদ্দিন॥

পৃথিবীর দ্রীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। প্রতিদিন হাজার হাজার দেশি ও বিদেশি পর্যটক আসে দেখতে। প্রতিনিয়ত ভোর থেকে শুরু করে রাত অবদি পর্যটক থাকে সমুদ্র সৈকতে।

সারি সারি সাঁজানো আছে কিটকাট। লাবনী পয়েন্ট থেকে শুরু করে কলাতলী সায়মান রিসোর্ট পর্যন্ত কিটকাট গুলো বসানো হয়েছে পর্যটকদের জন্য।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে যদি আবহাওয়া খারাপের সতর্ক সংকেত আসে, তখন সমুদ্রের পাড়ে ভেসে আছে ময়লা আবর্জনা।

যত বারই সতর্ক সংকেত প্রদান করে, তত বারই দেখে মিলে ময়লা আবর্জনার।

তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল থেকে কক্সবাজারে আবহাওয়ার সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে আকাশ মেঘলা হয়ে হালকা থেমে থেমে বৃষ্টি পড়া শুরু করেছে।

পর্যটন মৌসুম শুরু হতে চলেছে, তাই কক্সবাজার পর্যটকের মোটামুটি ঢল আছে বলেই চলে।

আজ আবহাওয়ার খারাপ সংকেতের কারণে সমুদ্র সৈকতে গেলে দেখতে পাওয়া যায় ময়লা আবর্জনায় চেয়ে গেছে পুরো সমুদ্র সৈকত। পর্যটক পানিতে নামতে অনিহা প্রকাশ করছে।ময়লা আবর্জনার সারি সারি ভাবে বিচ্চিত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। দেখার কেউ নাই। এমন কি বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির লোকজন নেই, পরিবেশ কর্মী নেই, পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত কর্মী গুলোও নেই।

অভিভাবকহীন আজকের সমুদ্র সৈকত। কলাতলীর দিকে গেলে দেখতে পাওয়া যায় ময়লা আবর্জনার সাথে পড়ে আছে তিন ফুট আর এক ফুটের কাছাকাছি একটি মৃত ডলফিনের বাচ্চা। গায়ে কয়েকটা দাগ দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে গভীর সমুদ্র থেকে সাগরের কিনারায় মায়ের সাথে খেলতে এসে পথ হারিয়ে বেকায়দায় পড়ে হয়ত মাছ ধরার বড় বড় ট্রলার বা ছোট নৌকা বোটের জালে লেগে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে এমনটা ধারণা করেছেন কিটকাট ব্যবসায়ী আবুল কাশেম লালু। লালু জানান, মৃত্যু ডলফিনের বাচ্চাটি সকালে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে। এইটা দেখার জন্য কেউ নাই। এমন কি কেউ জানেও না।

সকাল থেকে বিকাল গড়িয়ে যাচ্ছে, দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পর্যটক আমার কিটকাটে বসতে অপরাগতা প্রকাশ করতেছে। বিদায় আমি নিজে মৃত ডলফিনের বাচ্চাটি বালিতে গর্ত কুড়ে পুতে রাখতেছি।

বিশিষ্ট জনের মতে, ইদানিং প্রায় শুনা যাচ্ছে সাগর থেকে আহত অবস্থায় ডলফিনের বাচ্চা সাগর পাড়ে ভেসে আসতেছে। পরিবেশ কর্মী বা বনবিভাগের লোকজন পেলে ট্রিটমেন্ট করে আবার ছেড়ে দিচ্ছে। না পেলে হয়ত মারা যাচ্ছে।এইভাবে অনেক প্রাকৃতিক মৎস্যপ্রাণী দিনদিন বিলুপ্তির পথে।