ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
আকাশ ও স্থল পথে ভারতে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশির মৃত্যু সারাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের সুখবর কুমিল্লা জেলা রোভারের কোর্স ফর রোভার মেট কোর্সের সনদ প্রদান বাংলাদেশে ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আবহাওয়া অফিস কুমিল্লা জেলা রোভারের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রথম আলো কুমিল্লা বন্ধুসভার ব্যবস্থাপনায় এম সাদেক স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি কুমিল্লা জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপ কমডেকায় অংশগ্রহনকারীদের সনদ প্রদান

কক্সবাজারে মাছের আহরণত্তোর অপচয় হ্রাসকরণ/ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত।

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০২:০৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৯৬২৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজিজ উদ্দিন।।

আজ ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৮ঘটিকায় থেকে বিকাল ৩ঘটিকা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী মাছের আহরণোত্তর অপচয় হ্রাসকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ আয়োজন করেন কক্সবাজার জেলার শুটকি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন প্রকল্প।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্রোপেশন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে নাজিরারটেক মৎস্য ব্যবসায়ী বহুমূখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর ৫০জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন কক্সবাজার এর প্রকল্প পরিচালক (ডিএফপিআই) মোঃ শামসুজ্জামান এর উদ্বোধনী ও সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

শামসুজ্জামান বলেন, আপনারা যারা মাছের সাথে জড়িত, তাদের সকলের উচিত অপচয় রোধ করা। সমুদ্র প্রতিদিন লাখ লাখ মাছ অপচয় হচ্ছে। সমুদ্রে যারা মাছ ধরে, তারা মাছ সঠিকভাবে সংরক্ষন করতে জানে না বিদায় মাছ নষ্ট হচ্ছে।

মাছ ধরার কতক্ষণ পর মাছের গায়ে বরফ দিতে হয় তা জেলেরা জানে সঠিক ভাবে। মাছ কিভাবে সংরক্ষন করতে হয় তা জানে। মাছ সঠিক ভাবে সংরক্ষন করতে জানলে মাছের অপচয় কমবে। মাছ যেগুলো আমরা নষ্ট করি, সেগুলো আমরা অনেক সময় সমুদ্র ফেলে দেয়।

ফেলে দেওয়া মাছ আবার মাছে খাচ্ছে, তাতে মাছের শরীরে জীবনু আক্রমণ হচ্ছে। সে মাছ গুলো আমরা আবার খায়। সে মাছ খেলে আমাদের শরীরে পুষ্টি যোগাড় হয় না।

আজকের এই প্রশিক্ষণ থেকে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে মাছ ধরে সংরক্ষন করতে হয়। কিভাবে বরফ দিতে হয়। কিভাবে ঝুড়িতে করে বহন করতে হয়। পরিশেষে কিভাবে পরিস্কার করে নিরাপদ শুটকি তৈরি করতে হয়।

তিনি আরো বলেন, মাছ উৎপাদন হয় ৪৫.০৩ লাখ মেট্রিক টন(২০১৯-২০২০)। আহরণত্তোর মাছের ক্ষতি ৩০%। তাজা মাছের গুণমানের গড় ক্ষতি ১৫.৫০%। বছরে যে পরিমাণ মাছ পচে নষ্ট হয় তার বাজার মূল্য বর্তমানে প্রায় ১৮-২০হাজার কোটি টাকা। তাহলে একবার ভাবুন, আমাদের দ্বারা কত টাকার মাছ পচে যাচ্ছে।

আপনারা যারা আজকের প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে, তারা সকলে আজকের প্রশিক্ষণে এইসব বিষয় গুলো জানতে পারবেন।

দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নাজিরারটেক মৎস্য ব্যবসায়ী বহুমূখী সমবায় সমিতির চার চারবার নির্বাচিত সভাপতি ও ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিক উল্লাহ কোম্পানী।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডায়ানামিক অফিস ও প্রশিক্ষণের সমন্বয়কারী মোঃ হাবিবুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

হাবিবুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার জেলার মৎস্য কাজে নিয়োজিত পাঁচহাজার মানুষকে মাছের আহরণত্তোর অপচয় হ্রাসকরণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ধাপে ধাপে। প্রতিটি প্রশিক্ষণে পঞ্চাশজন করে থাকবে। আমরা এর আগেও বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ শেষ করেছি।

যারা আমাদের প্রশিক্ষণে অংশ নিবে তারা সকলে জানতে ও শিখতে পারবে মাছের দেহের তাপমাত্রা কমানোর আগে কিভাবে তাড়াতাড়ি সংরক্ষন করতে হয়, মাছের পচন রোধ কিভাবে হয়, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের হাত থেকে কিভাবে মাছকে রক্ষা করা যায়, শারীরিক আঘাত থেকে মাছকে কিভাবে রক্ষা করা যায় এইসব বিষয় গুলো জানতে পারবে।

প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন কক্সবাজার এডিবি হ্যাচারির পরিচালক মোঃ তৌফিকুল ইসলাম ও কক্সবাজার মৎস্য অধিদপ্তরের চিংড়ি সম্প্রচারণ অফিসার মোঃ এনায়েত উল্লাহ রানা।

এইচ/কে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কক্সবাজারে মাছের আহরণত্তোর অপচয় হ্রাসকরণ/ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত।

আপডেট সময় : ০২:০৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

আজিজ উদ্দিন।।

আজ ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৮ঘটিকায় থেকে বিকাল ৩ঘটিকা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী মাছের আহরণোত্তর অপচয় হ্রাসকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ আয়োজন করেন কক্সবাজার জেলার শুটকি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন প্রকল্প।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্রোপেশন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে নাজিরারটেক মৎস্য ব্যবসায়ী বহুমূখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর ৫০জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন কক্সবাজার এর প্রকল্প পরিচালক (ডিএফপিআই) মোঃ শামসুজ্জামান এর উদ্বোধনী ও সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

শামসুজ্জামান বলেন, আপনারা যারা মাছের সাথে জড়িত, তাদের সকলের উচিত অপচয় রোধ করা। সমুদ্র প্রতিদিন লাখ লাখ মাছ অপচয় হচ্ছে। সমুদ্রে যারা মাছ ধরে, তারা মাছ সঠিকভাবে সংরক্ষন করতে জানে না বিদায় মাছ নষ্ট হচ্ছে।

মাছ ধরার কতক্ষণ পর মাছের গায়ে বরফ দিতে হয় তা জেলেরা জানে সঠিক ভাবে। মাছ কিভাবে সংরক্ষন করতে হয় তা জানে। মাছ সঠিক ভাবে সংরক্ষন করতে জানলে মাছের অপচয় কমবে। মাছ যেগুলো আমরা নষ্ট করি, সেগুলো আমরা অনেক সময় সমুদ্র ফেলে দেয়।

ফেলে দেওয়া মাছ আবার মাছে খাচ্ছে, তাতে মাছের শরীরে জীবনু আক্রমণ হচ্ছে। সে মাছ গুলো আমরা আবার খায়। সে মাছ খেলে আমাদের শরীরে পুষ্টি যোগাড় হয় না।

আজকের এই প্রশিক্ষণ থেকে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে মাছ ধরে সংরক্ষন করতে হয়। কিভাবে বরফ দিতে হয়। কিভাবে ঝুড়িতে করে বহন করতে হয়। পরিশেষে কিভাবে পরিস্কার করে নিরাপদ শুটকি তৈরি করতে হয়।

তিনি আরো বলেন, মাছ উৎপাদন হয় ৪৫.০৩ লাখ মেট্রিক টন(২০১৯-২০২০)। আহরণত্তোর মাছের ক্ষতি ৩০%। তাজা মাছের গুণমানের গড় ক্ষতি ১৫.৫০%। বছরে যে পরিমাণ মাছ পচে নষ্ট হয় তার বাজার মূল্য বর্তমানে প্রায় ১৮-২০হাজার কোটি টাকা। তাহলে একবার ভাবুন, আমাদের দ্বারা কত টাকার মাছ পচে যাচ্ছে।

আপনারা যারা আজকের প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে, তারা সকলে আজকের প্রশিক্ষণে এইসব বিষয় গুলো জানতে পারবেন।

দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নাজিরারটেক মৎস্য ব্যবসায়ী বহুমূখী সমবায় সমিতির চার চারবার নির্বাচিত সভাপতি ও ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিক উল্লাহ কোম্পানী।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডায়ানামিক অফিস ও প্রশিক্ষণের সমন্বয়কারী মোঃ হাবিবুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

হাবিবুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার জেলার মৎস্য কাজে নিয়োজিত পাঁচহাজার মানুষকে মাছের আহরণত্তোর অপচয় হ্রাসকরণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ধাপে ধাপে। প্রতিটি প্রশিক্ষণে পঞ্চাশজন করে থাকবে। আমরা এর আগেও বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ শেষ করেছি।

যারা আমাদের প্রশিক্ষণে অংশ নিবে তারা সকলে জানতে ও শিখতে পারবে মাছের দেহের তাপমাত্রা কমানোর আগে কিভাবে তাড়াতাড়ি সংরক্ষন করতে হয়, মাছের পচন রোধ কিভাবে হয়, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের হাত থেকে কিভাবে মাছকে রক্ষা করা যায়, শারীরিক আঘাত থেকে মাছকে কিভাবে রক্ষা করা যায় এইসব বিষয় গুলো জানতে পারবে।

প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন কক্সবাজার এডিবি হ্যাচারির পরিচালক মোঃ তৌফিকুল ইসলাম ও কক্সবাজার মৎস্য অধিদপ্তরের চিংড়ি সম্প্রচারণ অফিসার মোঃ এনায়েত উল্লাহ রানা।

এইচ/কে