ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
আকাশ ও স্থল পথে ভারতে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশির মৃত্যু সারাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের সুখবর কুমিল্লা জেলা রোভারের কোর্স ফর রোভার মেট কোর্সের সনদ প্রদান বাংলাদেশে ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আবহাওয়া অফিস কুমিল্লা জেলা রোভারের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রথম আলো কুমিল্লা বন্ধুসভার ব্যবস্থাপনায় এম সাদেক স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি কুমিল্লা জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপ কমডেকায় অংশগ্রহনকারীদের সনদ প্রদান

কক্সবাজারে খাবারের সন্ধানে বানর আসা শুরু করেছে/ লোকালয়ে

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৬:২৪:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
  • / ৯৬৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজিজ উদ্দিন।।

কক্সবাজার মহেশখালী উপজেলায় খাবারের সন্ধানে বনের বানর আসা শুরু করেছে লোকালয়ে।
মহেশখালী ঘোরকঘাটা পাহাড়ি এলাকায় তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে বন্যপ্রাণীরা।

এজন্য বন্যপ্রাণী গুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোকালয়ে এসে পেটের ক্ষুধা মিটাতে খাদ্য সংগ্রহ করতে দেখা গেছে একঝাঁক বানর। আজ (৩অক্টোবর) সোমবার সকাল ১০ টায় আবু বক্কর ছিদ্দিক নামের একজনের বাড়ীর একটি আম গাছে ৭টি বানর খাবারের সন্ধানে অবস্থান করছে ।

আবু বক্কর ছিদ্দিক মুঠোফোনে বাংলাদেশের বার্তার কক্সবাজার প্রতিনিধিকে জানান, এই বানর গুলো দেখে মনে হচ্ছে নিশ্চয় খাবারের সন্ধানে এসেছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, একমাত্র পেটের দায়ে ক্ষুধা নিবারণ করতে খাদ্য সংগ্রহ করতে বাড়ির গাছে এসেছে।

সম্প্রতি মহেশখালীতে কিছু পাহাড় খেকো তারা প্রতিনিয়ত পাহাড়ের মাটি ও গাছ কেটে বিক্রি করছে। একই সাথে নিধন করা হচ্ছে পাহাড়ের বন জঙ্গল , ধ্বংস হচ্ছে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল । মানবজাতির নৃশংসতা আর অত্যাচারে বনেও থাকতে পারছে না বন্যপ্রাণী গুলো। মহেশখালীর পাহাড়ে দেখা দিয়েছে বন্যপ্রাণীদের চরম খাদ্য সংকট । একারনে ঝাঁকে ঝাঁকে বনের বানর গুলো এখন অতি লোকালয়ে এসে খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।
বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল রক্ষা করা সকল মানবের দায়িত্ব, বন্যপ্রাণীদের বাঁচিয়ে রাখা সচেতন মহলের কাজ বলে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা।

একসময় মহেশখালীর পাহাড় গুলোতে দেখা মিলতো, হরেক রকম বন্যপ্রাণী। পাহাড়কাটা ও গাছ নিধনের কারণে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বন্যপ্রাণী। (বাপা) মহেশখালী উপজেলার দায়িত্বরত একজন ব্যক্তি(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি পাহাড় কাটা ও গাছ নিধনের বিরুদ্ধে কাজ করতে। পাহাড় কেকোরা এত বেশি শক্তিশালী, তাই তাদের বিরুদ্ধে পেরে উঠতে আমাদের(বাপা) হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কক্সবাজারে খাবারের সন্ধানে বানর আসা শুরু করেছে/ লোকালয়ে

আপডেট সময় : ০৬:২৪:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

আজিজ উদ্দিন।।

কক্সবাজার মহেশখালী উপজেলায় খাবারের সন্ধানে বনের বানর আসা শুরু করেছে লোকালয়ে।
মহেশখালী ঘোরকঘাটা পাহাড়ি এলাকায় তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে বন্যপ্রাণীরা।

এজন্য বন্যপ্রাণী গুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোকালয়ে এসে পেটের ক্ষুধা মিটাতে খাদ্য সংগ্রহ করতে দেখা গেছে একঝাঁক বানর। আজ (৩অক্টোবর) সোমবার সকাল ১০ টায় আবু বক্কর ছিদ্দিক নামের একজনের বাড়ীর একটি আম গাছে ৭টি বানর খাবারের সন্ধানে অবস্থান করছে ।

আবু বক্কর ছিদ্দিক মুঠোফোনে বাংলাদেশের বার্তার কক্সবাজার প্রতিনিধিকে জানান, এই বানর গুলো দেখে মনে হচ্ছে নিশ্চয় খাবারের সন্ধানে এসেছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, একমাত্র পেটের দায়ে ক্ষুধা নিবারণ করতে খাদ্য সংগ্রহ করতে বাড়ির গাছে এসেছে।

সম্প্রতি মহেশখালীতে কিছু পাহাড় খেকো তারা প্রতিনিয়ত পাহাড়ের মাটি ও গাছ কেটে বিক্রি করছে। একই সাথে নিধন করা হচ্ছে পাহাড়ের বন জঙ্গল , ধ্বংস হচ্ছে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল । মানবজাতির নৃশংসতা আর অত্যাচারে বনেও থাকতে পারছে না বন্যপ্রাণী গুলো। মহেশখালীর পাহাড়ে দেখা দিয়েছে বন্যপ্রাণীদের চরম খাদ্য সংকট । একারনে ঝাঁকে ঝাঁকে বনের বানর গুলো এখন অতি লোকালয়ে এসে খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।
বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল রক্ষা করা সকল মানবের দায়িত্ব, বন্যপ্রাণীদের বাঁচিয়ে রাখা সচেতন মহলের কাজ বলে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা।

একসময় মহেশখালীর পাহাড় গুলোতে দেখা মিলতো, হরেক রকম বন্যপ্রাণী। পাহাড়কাটা ও গাছ নিধনের কারণে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বন্যপ্রাণী। (বাপা) মহেশখালী উপজেলার দায়িত্বরত একজন ব্যক্তি(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি পাহাড় কাটা ও গাছ নিধনের বিরুদ্ধে কাজ করতে। পাহাড় কেকোরা এত বেশি শক্তিশালী, তাই তাদের বিরুদ্ধে পেরে উঠতে আমাদের(বাপা) হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব।