ভাংগার বাকপুরা গ্রামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৯:২৬:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
- / ১০১৮৫ বার পড়া হয়েছে
সদরপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর জেলার ভাংগা উপজেলার বাকপুরা গ্রামে জমির ভাগ বাটোয়ারা সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে ৮০ বছরের বৃদ্ধসহ স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, ভাংগা ও সদরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাকপুরা বাজার সংলগ্ন জমাদার বাড়িতে সম্প্রতি পারিবারিক ভাবে জমিজমার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে স্নায়ু দ্বন্দ চলে আসছিল। তারই জের ধরে দেলোয়ার জমাদ্দার গং একই বংশের অন্যান্য সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
উল্লেখ্য পারিবারিক জমিজমা বন্টন সংক্রান্ত বিষয়ে বাকপুরা গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে গত ১৮ নভেম্বর ৩ জন আমিন দিয়ে মেপে দুই পরিবারের মধ্যে সমাধান করে দেন।
ঐ সময় দেলোয়ার জমাদ্দার গং উপস্থিত গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের বন্টন মেনে নিলেও পরবর্তিতে তাহা মানতে অস্বীকার করে এবং এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা সৃস্টি হয় এর জের ধরে পরবর্তিতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে৷
উক্ত মামলায় বাইশরশি শিব সুন্দরী একাডেমীর কারিগরি বিভাগের ইনচার্জ শিক্ষক মাসুদ আলম সহ মোট ৮ জনকে আসামী করা হয়। আসামীদের মধ্যে মাসুদ আলমের বাবা ৮০ বছরের বৃদ্ধ বারেক জমাদ্দার ও রয়েছেন,। এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় দেলোয়ার জমাদ্দার গংরা অনেক আগে থেকেই এলাকায় ভূমিদস্যু ও মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত।
ইতিপুর্বে ২০১৪ সালে দেলোয়ার জমাদ্দারের দায়ের করা একটা মামলায় সরেজমিনে তদন্তে এসে ভাংগা থানার তৎকালীন এস,আই খলিলুর রহমান, মামলার কোন সত্যতা না পেয়ে ১৮ ই আগস্ট ২০১৪ সালে দেলোয়ার জমাদ্দারের বিরুদ্ধে একটি সাধারন ডাইরী করেন।
এছাড়া জমি বন্টনের ১০ দিন পর ১৯ নভেম্বর যে বিষয়ে মামলা দায়ের করেছে দেলোয়ার গংরা, সরেজমিনে তদন্তে মামলার এজাহারের সাথে মিল পাওয়া যায়নি। ভুক্তভুগী আসামীর পরিবারের লোকজন জানান একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানী করা হচ্ছে, এবং আগামীতে আরো মামলা মোক্কদ্দমা দিয়ে হয়রানী করা হবে বলে হুমকি প্রদান করছেন।
একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা মামলা দেওয়ায় হতবাক বাকপুরা গ্রামের সচেতন মহল। এলাকাবাসী বলেন, বিষয়টি স্বরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে বাকপুরা গ্রামের ঐতিহ্য বাহী জমাদার পরিবারের পৈতৃক জমাজমি নির্দিষ্ট ভাবে ভাগ বাটোয়ারা করে প্রত্যেক পরিবারের সীমানা নির্ধারণ করার ব্যবস্থা করা হোক। তাহলে হয়তোবা অবসান হতে পারে জমাদার বাড়ির দ্বন্দ। এমনটাই বলছেন বাকপুরা গ্রামের সচেতন মহল।