স্বামীর কারণে নয়//প্রতিবেশীদের চাপে আত্মহত্যার চেস্টা করি
- আপডেট সময় : ০১:০৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
- / ৯৬৮৩ বার পড়া হয়েছে
নবিজুল ইসলাম নবীন,- নীলফামারী প্রতিনিধি,
স্বামীর জন্য নয়, প্রতিবেশী কিছু কুচক্রী মহলের মানসিক চাপের কারনে আত্মহননের চেস্টা করেছেন বলে জানান নীলফামারী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের
কাউন্সিলর মাহফুজার রহমানের স্ত্রী মালেকা বেগম জেসমিন।
এদিকে কাউন্সিল মাহফুজার রহমান শাহ বলেন, সংসার জীবনে কোনদিন আমি স্ত্রীর গায়ে ফুলের টোকাও দেইনি, এমনকি কোন প্রকার নির্যাতনও তাকে করিনি।
তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষের যোগসাযোগে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার
জন্য আমার স্ত্রীকে মানসিক চাপে রেখেছিলো।
কাউন্সিলর মাহফুজার রহমান আরো বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মূলক একটি মামলায় গত ৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে বিকেলে নিজ বাড়িতে আসি।
সন্তানদের সাথে সাক্ষাৎ হলেও স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে আমি ঘরে প্রবেশ করে দেখতে পাই স্ত্রী মালেকা বেগম জেসমিন বিছানায় ছটপট করছে। স্থানীয়দের
সহযোগিতায় অসুস্থ স্ত্রীকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই সেখানে সাময়িক চিকিৎসা শেষে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক।
রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুটা সুস্থ হলেও, মানসিক সমস্যা ও হার্টের ঝুঁকি থাকতে পারে
বলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন ডাক্তার। তিনি বলেন,
স্ত্রীকে সুস্থ করে তুলতে মেডিকেল থেকে মেডিকেলে ছুটাছুটি করছি আর এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে মিথ্যে অপ-প্রচার। আমার নির্যাতনের শিকার হয়ে নাকি আমার স্ত্রী আত্মহত্যার চেস্টা করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যে অপ-প্রচার তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন যা আমার সম্মানহানী হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে জরুরীভিত্তিতে সংবাদ সম্মেলন করে দ্রুতগতিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় এসেছি।
বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালের ৮০২ নং
ওয়ার্ডের এক্স ৩নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।কাউন্সিলর মাহফুজার রহমানের নিজেস্ব ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিওতে দেখা
যায়, তাঁর স্ত্রী মালেকা বেগম জেসমিন বলেন, আমার স্বামীর অনুপুস্থিতে প্রতিবেশী মোঃ সাইদার রহমান শাহ, জহরুল ইসলাম,আজিজুল ইসলাম, আব্দুল
কাদের, শিমু বেগম, রিপন আমাকে এবং আমার সন্তানদের বিভিন্ন সময় সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করে আসছে।
এইসব ব্যাক্তির কারণে আমি আত্মহত্যার চেস্টা করি। আমার স্বামী একটি মামলায় গত বিশদিন যাবত জেল হাজতে ছিলেন। সেই সময় আমার পাশের বাড়ির
লোকজন আমাকে এবং আমার সন্তানদের স্কুল যাওয়ার পথে এবং বাসার বাইরে গেলে আমার স্বামীর জেলে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথা বলে উত্তক্ত করে আসছে।
আমার সন্তানদের স্কুল এবং আমার বাসার বাইরে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। এতে আমি মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আমি নিজে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেই।
আমি আমার স্বামীর জেল থেকে মুক্তির অপেক্ষা করেছিলাম তাকে বিস্তারিত জানানোর জন্য এবং শেষ মুখটা দেখার জন্য।
আমার উন্নত চিকিৎসার জন্য আমার স্বামী এবং চাচার সঙ্গে ঢাকা যাচ্ছি। দোয়া করবেন আমি যেন সুস্থ হয়ে ভাল ভাবে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারি।
ফিরে এসে আমার স্বামীর পাশাপাশি আমিও যেন আপনাদের সেবা করতে পারি।
এই দুঃসকৃতিকারিদের বিচারের ভার জনগনের এবং আইনের উপর ছেরে দিলাম। আলহাজ্ব মাহফুজার রহমান শাহ’ বলেন যারা আমার স্ত্রী সন্তানদের যারা সামাজিক এবং মানসিক ভাবে নির্যাতন করেছে তাদের বিচার চাই।