চুয়াডাঙ্গায় ইনডোর ব্যাডমিন্টন ও টেবিল টেনিস কোর্ট উদ্বোধন

- আপডেট সময় : ০১:১২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২
- / ৯৬৩০ বার পড়া হয়েছে
তানজিল আহমেদ রনি॥
চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা এঁর ঐকান্তিক চেস্টায় পুলিশ লাইন্সের অভ্যন্তরে অত্যাধুনিক ইনডোর ব্যাডমিন্টন টেবিল টেনিস কোর্ট নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়।
আজ সকাল ১০ ঘটিকায় জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে ইনডোর ব্যাডমিন্টন ও টেবিল টেনিস কোর্ট উদ্বোধন করেন।
পুলিশ সুপার মহোদয় ইনডোর ব্যাডমিন্টন ও টেবিল টেনিস কোর্ট উদ্বোধন প্রাক্কালে বলেন, তিনি পুলিশ সুপার হিসাবে চুয়াডাঙ্গা জেলায় যোগদান করে পুলিশ সদস্যদের বিনোদনের জন্য ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস খেলার মত ভাল কোন পরিবেশ নাই। তখন থেকেই তিনি ইনডোর ব্যাডমিন্টন ও টেবিল টেনিস কোর্ট এর প্রয়োজন অনুভব করেন।
তিনি আরোও বলেন, শরীর ও মনের সুস্থতায় অবশ্য ব্যাডমিন্টন বেশ উপকারী। এক ঘণ্টা ব্যাডমিন্টন খেললে ৪৫০ ক্যালরি পোড়ানো সম্ভব। এই খেলা জেলা পুলিশের অফিসার ফোর্সের গতি বাড়াবে, শরীরটাকে ফিট রাখবে।
বুদ্ধিতেও শাণ পড়বে। গড়ে উঠবে খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা। ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে দৌড়ঝাঁপ, ডাইভিং, ক্ষিপ্রতার সঙ্গে কর্কে আঘাত করার বিষয়টি পেশি ও সন্ধির দক্ষতা বাড়াবে।
এ ধরনের খেলায় রক্তে খারাপ চর্বির মাত্রা কমে, ভালো চর্বির মাত্রা বাড়ে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে। ডায়াবেটিসের রোগীরা হাঁটার বদলে ব্যাডমিন্টনও খেলতে পারেন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। সুস্থ ব্যক্তি খেলার অভ্যাস গড়ে তুললে পরবর্তী সময়ে তাঁদের এসব দীর্ঘমেয়াদি রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
ব্যাডমিন্টন খেলার অভ্যাস সচল ও কর্মক্ষম থাকার পথে এগিয়ে দেবে। সচল থাকার মাধ্যমে হাড়ের ক্ষয় রোধ হবে। ব্যাডমিন্টন খেলায় সকলের দুশ্চিন্তা কমবে। প্রফুল্ল থাকতে পারবেন। সামাজিক যোগাযোগ বাড়বে। শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন যাবে প্রচুর পরিমাণে। এন্ডরফিন নিঃসরণ বাড়বে, যার ফলে শরীরের ব্যথা কম অনুভব করবেন, মানসিক চাপ কমবে এবং ঘুম ভালো হবে।
এখন থেকে এই ইনডোর ব্যাডমিন্টন ও টেবিল টেনিস কোর্ট এ শীতকাল ও বর্ষাকালে নির্বিগ্নে পুলিশ সদস্যরা ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, টেবিল টেনিস ও কেরাম বোর্ড খেলতে পারবে।
উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন), জনাব আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), জনাব মোঃ মুন্না বিশ্বাস, সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল), সকল থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ, ডিআইও-১, আরআই, পুলিশ লাইন, চুয়াডাঙ্গাসহ জেলা পুলিশের সকল পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্স।