ঢাকা ০৪:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদেশে ও কারাবন্দি ব্যাক্তিগণের ভোট যেভাবে দেওয়া যাবে

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০২:৫২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৯৬৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তফসিল অনুযায়ী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি। এবারের ভোটে বিদেশে কিংবা কারাগারে যেসব ভোটাররা থাকবেন তারা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এই পদ্ধতিতে কারা, কোন প্রক্রিয়ায় ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন তা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, যাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে এরূপ নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করতে পারবেন-

ক. কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের কোনো জেলখানায় বা অন্য কোনো আইনগত হেফাজতে আটক থাকলে।

খ. কোনো ব্যক্তি তিনি যে ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদানের অধিকারী সেই কেন্দ্র ব্যতীত অন্য কোনো ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত থাকলে।

গ. বিদেশে বসবাসরত কোনো বাংলাদেশি ভোটার।এতে বলা হয়, এইরূপ ভোট প্রদানের অধিকারী কোনো ব্যক্তি পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানে ইচ্ছুক হলে- নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে ভোট প্রদান করতে পারবেন।

তা হলো-

১. নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হওয়ার তারিখ হইতে ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নিকট আবেদন করতে হবে।

২. তিনি যে নির্বাচনি এলাকার ভোটার, সেই এলাকার রিটার্নিং অফিসারের নিকট পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করবেন এবং অনুরূপ প্রত্যেক আবেদনে ভোটারের নাম, ঠিকানা এবং ভোটার তালিকায় তাহার ক্রমিক নম্বর সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।

৩. রিটার্নিং অফিসার কোনো ভোটারের আবেদন প্রাপ্তির পর, অনতিবিলম্বে উক্ত ভোটারের নিকট ডাকযোগে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপার এবং একটি খাম প্রেরণ করবেন, যে খামের ওপর তারিখ প্রদর্শন করত সার্টিফিকেট অব পোস্টিং এর একটি ফরম থাকবে, যা ভোটার কর্তৃক ডাকে প্রদানের সময় ডাকঘরের উপযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক পূরণ করা হবে।

৪. কোনো ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানের জন্য তার ব্যালট পেপার প্রাপ্তির পর, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তাহার ভোট রেকর্ড করিবার পর ব্যালট পেপারটি তার নিকট প্রেরিত খামে ন্যূনতম বিলম্বের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের নিকট ডাকযোগে প্রেরণ করবেন।

রিটার্নিং অফিসার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত ব্যালটের ফলাফল মূল ফলাফলের সঙ্গে যোগ করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবেন। এ বিষয়ে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস/হাই কমিশনসমূহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।

উল্লেখ্য, তফসিল অনুযায়ী- ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিদেশে ও কারাবন্দি ব্যাক্তিগণের ভোট যেভাবে দেওয়া যাবে

আপডেট সময় : ০২:৫২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

তফসিল অনুযায়ী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি। এবারের ভোটে বিদেশে কিংবা কারাগারে যেসব ভোটাররা থাকবেন তারা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এই পদ্ধতিতে কারা, কোন প্রক্রিয়ায় ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন তা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, যাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে এরূপ নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করতে পারবেন-

ক. কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের কোনো জেলখানায় বা অন্য কোনো আইনগত হেফাজতে আটক থাকলে।

খ. কোনো ব্যক্তি তিনি যে ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদানের অধিকারী সেই কেন্দ্র ব্যতীত অন্য কোনো ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত থাকলে।

গ. বিদেশে বসবাসরত কোনো বাংলাদেশি ভোটার।এতে বলা হয়, এইরূপ ভোট প্রদানের অধিকারী কোনো ব্যক্তি পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানে ইচ্ছুক হলে- নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে ভোট প্রদান করতে পারবেন।

তা হলো-

১. নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হওয়ার তারিখ হইতে ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নিকট আবেদন করতে হবে।

২. তিনি যে নির্বাচনি এলাকার ভোটার, সেই এলাকার রিটার্নিং অফিসারের নিকট পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করবেন এবং অনুরূপ প্রত্যেক আবেদনে ভোটারের নাম, ঠিকানা এবং ভোটার তালিকায় তাহার ক্রমিক নম্বর সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।

৩. রিটার্নিং অফিসার কোনো ভোটারের আবেদন প্রাপ্তির পর, অনতিবিলম্বে উক্ত ভোটারের নিকট ডাকযোগে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপার এবং একটি খাম প্রেরণ করবেন, যে খামের ওপর তারিখ প্রদর্শন করত সার্টিফিকেট অব পোস্টিং এর একটি ফরম থাকবে, যা ভোটার কর্তৃক ডাকে প্রদানের সময় ডাকঘরের উপযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক পূরণ করা হবে।

৪. কোনো ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানের জন্য তার ব্যালট পেপার প্রাপ্তির পর, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তাহার ভোট রেকর্ড করিবার পর ব্যালট পেপারটি তার নিকট প্রেরিত খামে ন্যূনতম বিলম্বের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের নিকট ডাকযোগে প্রেরণ করবেন।

রিটার্নিং অফিসার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত ব্যালটের ফলাফল মূল ফলাফলের সঙ্গে যোগ করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবেন। এ বিষয়ে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস/হাই কমিশনসমূহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।

উল্লেখ্য, তফসিল অনুযায়ী- ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।