অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলেন// রাবির নির্যাতিত সেই শিক্ষার্থী
- আপডেট সময় : ০৪:৪৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২
- / ৯৬১৯ বার পড়া হয়েছে
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি:
চাদা আদায়ের লক্ষ্যে হলকক্ষে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সামসুল ইসলাম তার অভিযোগ তুলে নিয়েছেন।
গত বুধবার (২৩ আগস্ট) এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত আবেদনও দিয়েছেন তিনি।
লিখিত আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ১৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের ২৩২ নম্বর কক্ষে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা আমাকে ডেকে নিয়ে চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত আমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে, আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আমার মানিব্যাগ থেকে ছিনিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে সে আমার কাছে তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয় এবং ক্ষমাপ্রার্থনা করে। সেই সাথে আমার আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়। আমি মানবিক দিক বিবেচনা করে ক্ষমা করে দিয়েছি এবং তার বিরুদ্ধে এখন আমার আর কোনো অভিযোগ নাই। এমতাবস্থায় প্রক্টর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিনীত আবেদন, আমার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি।
অভিযোগ তুলে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সামসুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা পাশে ছিলেন আমার বিপদে। আশা করি ভবিষ্যতেও আমার পাশে থাকবেন। সার্বিক দিক বিবেচনা করেই আমি এ অভিযোগটি প্রত্যাহার করেছি। আমি এ বিষয়টি পুরোপুরি প্রশাসনের ওপর ছেড়ে দিয়েছি, যা করার প্রশাসন করবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ভুক্তভোগী সামসুল গত ২৩ তারিখে অভিযোগ তুলে নিতে লিখিত আবেদন দিয়েছে। আমি আবেদনটি তদন্ত কমিটিকে দিয়েছি। হঠাৎ করেই কেন সে অভিযোগ তুলে নিতে আবেদন করল সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হবে।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট ভুক্তভোগী সামসুল ইসলামকে হলকক্ষে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি সাংবাদিক কিংবা পুলিশকে জানালে সামসুলকে বুয়েটের আবরার ফাহাদের মতো মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ভাস্কর সাহা। পরে নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগী সেদিন সন্ধ্যায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।