প্রতিনিধি ১৮ এপ্রিল ২০২৩ , ৭:৩৫:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ রোমান আকন্দ,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি।
আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে মার্কেটগুলোতে ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় ততই বাড়ছে। বিক্রেতারা বলছেন, ২০ রোজার পর থেকে এবার জমে উঠেছে ঈদ-কেন্দ্রিক ঈদের বাজার। তাই কেনাকাটার ধুম পড়েছে পুরোদমে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে কেনাকাটা আর ক্রেতাদের উপস্থিতে জমজমাট হয়ে উঠেছে গাইবান্ধা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার মার্কেটগুলো।
আজ ১৮ এপ্রিল সরজমিনে গাইবান্ধার সালিমার সুপার মার্কেট, পৌর মার্কেট, দাস বেকারি মোড়, নিউ মার্কেট সহ পুরাতন জেলখানা, ডিবি রোড, গফুর মার্কেট এলাকার কাপড়, কসমেটিক, জুতা ও গহনার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মত। সেই সঙ্গে লেগে আছে যানজটও।
দোকানগুলোতে নারী-পুরুষের উপছে পরা ভিড়, চলছে দাম কশাকশি। এসব দোকানের কর্মচারীও ব্যস্ত সময় পার করেছেন কেনাবেঁচায়। গাইবান্ধা সদর পৌর মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রচণ্ড রোদকে উপেক্ষা করে রোজা রেখে সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে কেনাকাটা করছে ক্রেতারা।এছাড়াও নারীরা পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে কানের দুল, চুড়ি, গলার মালা, টিপ, ব্যাগ, জুতোসহ অন্যান্য জিনিস কিনছেন।
অন্যদিকে জসিম নামে এক যুবকের কাছ থেকে ঈদের কেনাকাটা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা ছেলেমানুষ। আমাদের তেমন কোন সাজসজ্জার প্রয়োজন হয় না। কিংবা আমাদের কোন প্রসাধনী লাগে না। তাইতো আমরা ছেলেরা প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, বেল্ট, মানিব্যাগ ইত্যাদি স্বল্প পরিসরে কেনাকাটা করে থাকি।
অন্যদিকে শহরের পুরাতন ব্রিজ থেকে নেমে এসে সালিমার সুপার মার্কেটের মধ্যবর্তী ফুটপাতের দোকানগুলোতে শেষ মুহূর্তে স্বল্প আয়ের মানুষের ভিড় বেড়েছে। স্বল্প দামে ও সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক পাওয়া যায় বলে ফুটপাতের দোকানে ছুটে আসেন স্বল্প আয়ের লোকজন। তবে সেখানকার বিক্রেতাদের দাবি, বেচাকেনা খুব একটা ভালো হচ্ছে না।
ফুটপাতের ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, ফুটপাতের দোকানগুলোর জন্য হাজার হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয় না। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নেই কোনো আলোর ঝলকানি। ফলে স্বল্প লাভে ফুটপাতের বিক্রেতারা ক্রেতাদের দরদামে পোশাক দিয়ে থাকেন। ক্রেতারাও স্বাচ্ছন্দ্যে পোশাক কেনেন।
গাইবান্ধা সদরে পৌর পার্কের মার্কেট গুলোতে ঈদের পোশাক কিনতে আসো মানুষগুলো জানান , ঈদকে সামনে রেখে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে মার্কেটগুলোতে চুরি-ছিনতাই রোধে পুলিশের টহল টিমও সক্রিয় রাখতে হবে। এতে করে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য ঈদ হবে মঙ্গলময়।