ঢাকা ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::

কোটিপতি পুলিশ কর্মকর্তার কোটিপতি স্ত্রী 

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৬:০২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৯৬০৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম মিলনের স্ত্রী শাহাজাদী আলম লিপি। বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) প্রথমবারের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

বিভিন্ন সময় তিনি বলেছেন, একটি জেলার সব এমপি তাঁর পকেটে থাকে। তাই এমপি পদের লোভে নয়, তিনি রাজনীতিতে আসতে চান জনগণের সেবা করতে। লিপির এমন বক্তব্যের ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকঢোল পিটিয়ে শত শত গাড়ি, মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিতে গিয়ে তিনি খরচ করেছেন বিপুল টাকা। হলফনামায় নিজেকে কোটিপতি ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আলোচিত প্রার্থী লিপির স্বামী বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে অতিরিক্ত ডিআইজি। তিনি ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সম্পদের মালিক। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, সারিয়াকান্দি হাটশেরপুর এলাকার বাসিন্দা লিপির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম মেধা এন্টারপ্রাইজ। আয়ের উৎস হিসেরে কৃষি খাত থেকে বছরে ৫০ হাজার ২০০ টাকা পান বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর স্বামীর কৃষি খাত থেকে আয় হয় ৪ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। লিপি বাড়ি ভাড়া পান ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, তাঁর স্বামী পান ৬ লাখ ১ হাজার। স্বামীর চাকরি থেকে বছরে আয় হয় ৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। অন্যান্য খাতে স্বামীর কোনো আয় না থাকলেও লিপি আয় করেন ৫৭ হাজার টাকা।

অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে লিপির নগদ টাকা ২৮ লাখ ৪৮ হাজার। তাঁর স্বামীর কাছে নগদ টাকা ২ কোটি ১৩ লাখ ৮৯ হাজার। পুলিশ কর্মকর্তা মিলনের ব্যাংকে ৪১ হাজার ৯১৭ টাকা আছে। লিপির আছে ১২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। লিপির চেয়ে তাঁর স্বামী বেশি অলংকার ব্যবহার করেন।লিপির ১০ তোলা অলংকার থাকলেও স্বামী ব্যবহার করেন ৫০ তোলা।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, লিপির ২৫৯ দশমিক ৬৯ শতক জমি আছে, যার দাম ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। তাঁর স্বামীর কৃষিজমি আছে ১২১৪ শতক। এই জমির দাম ৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া লিপির ১০১ দশমিক ৫৭ শতক অকৃষি জমি আছে, যার দাম ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। তাঁর স্বামীর ২৫২ দশমিক ৫৩৬ শতক অকৃষি জমি আছে। এর মূল্য ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে লিপির আছে একটি পাচতলা দালান। এটি হেবা সূত্রে পাওয়া বলে উল্লেখ করেছেন। আছে নির্মাণাধীন আরও একটি বাড়ি। রয়েছে তিনটি দোকান। লিপির স্বামীর রয়েছে একটি পাঁচতলা দালান, একটি আধাপাকা বাড়ি। তবে এগুলো হেবা বা দান সূত্রে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ কারণে কোনো মূল্য উল্লেখ করা হয়নি।

শাহাজাদী আলম লিপি বলেন, ‘আমি ব্যবসা করি। ব্যবসা থেকে কোটিপতি হয়েছি। এলাকায় বেশ আগে থেকেই প্রচার চালাই এই তথ্যটিও সত্য। তবে এলাকার মানুষ ভালোবেসে এসব প্রচারের টাকা খরচ করে। আমাদের কোনো টাকা খরচ করতে হয় না।’ এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কোটিপতি পুলিশ কর্মকর্তার কোটিপতি স্ত্রী 

আপডেট সময় : ০৬:০২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম মিলনের স্ত্রী শাহাজাদী আলম লিপি। বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) প্রথমবারের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

বিভিন্ন সময় তিনি বলেছেন, একটি জেলার সব এমপি তাঁর পকেটে থাকে। তাই এমপি পদের লোভে নয়, তিনি রাজনীতিতে আসতে চান জনগণের সেবা করতে। লিপির এমন বক্তব্যের ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকঢোল পিটিয়ে শত শত গাড়ি, মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিতে গিয়ে তিনি খরচ করেছেন বিপুল টাকা। হলফনামায় নিজেকে কোটিপতি ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আলোচিত প্রার্থী লিপির স্বামী বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে অতিরিক্ত ডিআইজি। তিনি ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সম্পদের মালিক। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, সারিয়াকান্দি হাটশেরপুর এলাকার বাসিন্দা লিপির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম মেধা এন্টারপ্রাইজ। আয়ের উৎস হিসেরে কৃষি খাত থেকে বছরে ৫০ হাজার ২০০ টাকা পান বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর স্বামীর কৃষি খাত থেকে আয় হয় ৪ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। লিপি বাড়ি ভাড়া পান ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, তাঁর স্বামী পান ৬ লাখ ১ হাজার। স্বামীর চাকরি থেকে বছরে আয় হয় ৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। অন্যান্য খাতে স্বামীর কোনো আয় না থাকলেও লিপি আয় করেন ৫৭ হাজার টাকা।

অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে লিপির নগদ টাকা ২৮ লাখ ৪৮ হাজার। তাঁর স্বামীর কাছে নগদ টাকা ২ কোটি ১৩ লাখ ৮৯ হাজার। পুলিশ কর্মকর্তা মিলনের ব্যাংকে ৪১ হাজার ৯১৭ টাকা আছে। লিপির আছে ১২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। লিপির চেয়ে তাঁর স্বামী বেশি অলংকার ব্যবহার করেন।লিপির ১০ তোলা অলংকার থাকলেও স্বামী ব্যবহার করেন ৫০ তোলা।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, লিপির ২৫৯ দশমিক ৬৯ শতক জমি আছে, যার দাম ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। তাঁর স্বামীর কৃষিজমি আছে ১২১৪ শতক। এই জমির দাম ৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া লিপির ১০১ দশমিক ৫৭ শতক অকৃষি জমি আছে, যার দাম ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। তাঁর স্বামীর ২৫২ দশমিক ৫৩৬ শতক অকৃষি জমি আছে। এর মূল্য ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে লিপির আছে একটি পাচতলা দালান। এটি হেবা সূত্রে পাওয়া বলে উল্লেখ করেছেন। আছে নির্মাণাধীন আরও একটি বাড়ি। রয়েছে তিনটি দোকান। লিপির স্বামীর রয়েছে একটি পাঁচতলা দালান, একটি আধাপাকা বাড়ি। তবে এগুলো হেবা বা দান সূত্রে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ কারণে কোনো মূল্য উল্লেখ করা হয়নি।

শাহাজাদী আলম লিপি বলেন, ‘আমি ব্যবসা করি। ব্যবসা থেকে কোটিপতি হয়েছি। এলাকায় বেশ আগে থেকেই প্রচার চালাই এই তথ্যটিও সত্য। তবে এলাকার মানুষ ভালোবেসে এসব প্রচারের টাকা খরচ করে। আমাদের কোনো টাকা খরচ করতে হয় না।’ এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান।