প্রতিনিধি ১৩ এপ্রিল ২০২৩ , ৩:৩৯:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ
জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিতার্কিক খাদিজাতুল কুবরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় প্রায় আট মাস ধরে কারাগারে আটক আছেন। তার মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে বের করা মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা দীর্ঘদিন জেলে থাকার ফলে খাদিজার কিডনিতে পাথরসহ নানা রকম শারীরিক উপসর্গে আক্রান্ত থাকার পরও বারবার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করার সমালোচনা করেন। পাশাপাশি তার শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা বিবেচনা না করে, এমনকি মামলার রায়ের আগেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের জন্য নির্দিষ্ট কনডেম সেলে রাখার তীব্র নিন্দা জানান।
খাদিজার পরিবার থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ দপ্তর থেকে দপ্তরে নানা রকম তদবির করেও তার জামিনের কোনো আশ্বাস পায়নি। এতে চরম হতাশায় আছে তার পরিবার।
জানা যায়, একজন অতিথি বক্তার বিতর্কিত মন্তব্যের জের ধরে ফেসবুক ও ইউটিউবে একটি ওয়েবিনার হোস্ট করার অপরাধে খাদিজার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় ২০২০ সালের ১১ ও ১৯ অক্টোবর পুলিশ দুটি মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ দুই বছর পর মামলার অভিযোগপত্র তৈরি হলে গত বছরের ২৭ আগস্ট খাদিজার মিরপুরের বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে খাদিজার অভিভাবক, তার আত্মীয়-স্বজন কেউই জানতেন না খাদিজার বিরুদ্ধে দুই বছর আগেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খাদিজাতুল কুবরা ও দেলোয়ার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের বৈধ সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মনগড়া, বানোয়াট, মিথ্যা ও মানহানিকর অপপ্রচার চালিয়ে আসছিলেন। আসামিরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ সৃষ্টির অপচেষ্টাসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের প্রয়াস চালাচ্ছেন।
দুইটির মধ্যে একটি মামলার বাদী রাজধানীর নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক খাইরুল ইসলাম। আরেকটির বাদী কলাবাগান থানার
উপপরিদর্শক আরিফ হোসেন।
খাদিজার আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, হাইকোর্ট গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কুবরার জামিন দেন। তবে চেম্বার বিচারপতি ওই আদেশ স্থগিত করেন। এ নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।