ঢাকা ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::

রাবিতে জমে উঠেছে পিঠা উৎসব: শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ১২:০৪:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ৯৬৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চলছে পিঠা উৎসব। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন এ পিঠা উৎসবে। শিক্ষার্থীদের ভিড়ে জমে উঠেছে এবারের উৎসব।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সামনে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন এগ্রোনমী এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষি অনুষদের সামনেই জমে উঠেছে পিঠা উৎসব। উৎসবে বিভিন্ন রকম পিঠার সমাহার নিয়ে বসেছে ১০ টি স্টল। স্টল গুলোর মধ্যে রয়েছে মৌচাক পিঠা উৎসব, শাশুড়ি মায়ের দোয়া, চিতই স্পেশাল, পিঠা পার্বণে অরণ্য -১৯, আরশীনগর, নবান্নের পিঠা সরোবর, পিঠাই ঘর, পিঠাপুলি।

বাহারি নামের পিঠাগুলো খেতে শিক্ষার্থীদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। পিঠাগুলোর মধ্যে রয়েছে, দুধপুলি পিঠা, চন্দ্র পুলি,সুজির কাটলি বরফি, জামাই পিঠা, চাঁদ পুলি, পাটি সাপটা, গোলাপ ফুল পিঠা, চিকেন ফ্রাই, লবঙ্গ পিঠা, শামুল পিঠা, রুপালি পিঠা, বুটের বরফি, মোহন ভোগ, ডিম সুন্দরী পিঠা, মাছের পিঠা
গাজরের হালুয়াম ডিমপুর, গোলাপ, আরশি নগর, ঝাল-মিষ্টি, হৃদয়হরণ পিঠা, শীম ফুল পিঠা, সূর্যমুখী, পাকোয়ান পিঠা, শামুক পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, রসে ভরা সবজি পিঠা, পাটি সাপটা, খিরপুলিসহ প্রায় ১০০ পদের পিঠা পাওয়া যাচ্ছে এ স্টল গুলোতে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন দামে বিক্রি করছেন এসব পিঠা। ১০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে বিক্রি করছেন এসব পিঠা।

শাশুড়ি মায়ের দোয়া নামের এক স্টল বসা এগ্রোনমী এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমার স্টলে ১৩-১৪ রকমের পিঠা আছে। ১০ থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত এক একটি পিঠা বিক্রি করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সাড়া পেয়ে আমাদের ভালো লাগছে।

পিঠা উৎসবে আসা ম্যানেজমেনট বিভাগের তাজ নূর বর্ণ বলেন, এ শীতে মায়ের হাতের পিঠা খুব মিস করছি। ক্যাম্পাসে বসে শীতের পিঠা উৎসবের আয়োজন করার জন্য এগ্রোনমী বিভাগের শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ দিচ্ছি।

পিঠা উৎসবের আয়োজনে থাকা এক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধারণ এবং সম্প্রীতির মেলবন্ধনকে অটুক রাখতে আমাদের এ আয়োজন। আমরা প্রতিবছর এই ধরনের আয়োজন করি।

কৃষি অনুষদের সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুল আলিম বলেন, নবান্ন উৎসবের কোন নির্দিষ্ট তারিখ নেই। এটি ঋতুনির্ভর। আমরা প্রতিবছর ন্যায় এবারো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। আমাদের সকাল থেকে পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। বিকেলে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। আমরা বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছি। আমাদের এই কাজে বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রশাসন সহযোগিতা করে চলেছে। ভবিষ্যতে এই ঐতিহ্যের ধারা অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাবিতে জমে উঠেছে পিঠা উৎসব: শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

আপডেট সময় : ১২:০৪:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চলছে পিঠা উৎসব। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন এ পিঠা উৎসবে। শিক্ষার্থীদের ভিড়ে জমে উঠেছে এবারের উৎসব।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সামনে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন এগ্রোনমী এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষি অনুষদের সামনেই জমে উঠেছে পিঠা উৎসব। উৎসবে বিভিন্ন রকম পিঠার সমাহার নিয়ে বসেছে ১০ টি স্টল। স্টল গুলোর মধ্যে রয়েছে মৌচাক পিঠা উৎসব, শাশুড়ি মায়ের দোয়া, চিতই স্পেশাল, পিঠা পার্বণে অরণ্য -১৯, আরশীনগর, নবান্নের পিঠা সরোবর, পিঠাই ঘর, পিঠাপুলি।

বাহারি নামের পিঠাগুলো খেতে শিক্ষার্থীদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। পিঠাগুলোর মধ্যে রয়েছে, দুধপুলি পিঠা, চন্দ্র পুলি,সুজির কাটলি বরফি, জামাই পিঠা, চাঁদ পুলি, পাটি সাপটা, গোলাপ ফুল পিঠা, চিকেন ফ্রাই, লবঙ্গ পিঠা, শামুল পিঠা, রুপালি পিঠা, বুটের বরফি, মোহন ভোগ, ডিম সুন্দরী পিঠা, মাছের পিঠা
গাজরের হালুয়াম ডিমপুর, গোলাপ, আরশি নগর, ঝাল-মিষ্টি, হৃদয়হরণ পিঠা, শীম ফুল পিঠা, সূর্যমুখী, পাকোয়ান পিঠা, শামুক পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, রসে ভরা সবজি পিঠা, পাটি সাপটা, খিরপুলিসহ প্রায় ১০০ পদের পিঠা পাওয়া যাচ্ছে এ স্টল গুলোতে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন দামে বিক্রি করছেন এসব পিঠা। ১০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে বিক্রি করছেন এসব পিঠা।

শাশুড়ি মায়ের দোয়া নামের এক স্টল বসা এগ্রোনমী এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমার স্টলে ১৩-১৪ রকমের পিঠা আছে। ১০ থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত এক একটি পিঠা বিক্রি করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সাড়া পেয়ে আমাদের ভালো লাগছে।

পিঠা উৎসবে আসা ম্যানেজমেনট বিভাগের তাজ নূর বর্ণ বলেন, এ শীতে মায়ের হাতের পিঠা খুব মিস করছি। ক্যাম্পাসে বসে শীতের পিঠা উৎসবের আয়োজন করার জন্য এগ্রোনমী বিভাগের শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ দিচ্ছি।

পিঠা উৎসবের আয়োজনে থাকা এক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধারণ এবং সম্প্রীতির মেলবন্ধনকে অটুক রাখতে আমাদের এ আয়োজন। আমরা প্রতিবছর এই ধরনের আয়োজন করি।

কৃষি অনুষদের সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুল আলিম বলেন, নবান্ন উৎসবের কোন নির্দিষ্ট তারিখ নেই। এটি ঋতুনির্ভর। আমরা প্রতিবছর ন্যায় এবারো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। আমাদের সকাল থেকে পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। বিকেলে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। আমরা বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছি। আমাদের এই কাজে বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রশাসন সহযোগিতা করে চলেছে। ভবিষ্যতে এই ঐতিহ্যের ধারা অব্যাহত থাকবে।