ঢাকা ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::

রাবির হোটেল মালিকদের হয়রানির বিরুদ্ধে/ শিবিরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৯৬৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে মানিক হোসেন বাবু’র ‘বাবু হোটেল’ থেকে ছাত্রলীগের বিপুল পরিমাণ বাকি খাওয়ায় বাবু হোটেল বন্ধ এবং হোটেল মালিক মানিক হোসেন বাবুকে হয়রানি করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবির।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সংগঠনটির সভাপতি ও সেক্রেটারির এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের রাবি শাখা সভাপতি তাসনীম আলম ও সেক্রেটারি আহমাদ আব্দুল্লাহ বলেন- “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে মানিক হোসেন বাবুর একটি খাবার হোটেল চালান। তিনি ২০০০ সাল থেকে এই খাবার হোটেল পরিচালনা করে আসছেন। আশেপাশে পাঁচটি হলের ছাত্রদের তিনি খাবার খাইয়ে থাকেন।

দুই মাস ধরে তাঁর নিকট ছাত্রলীগের নেতারা নানাভাবে বাকি খেয়ে আসছিলেন। কমিটির আশ্বাস দিয়ে ছাত্রলীগ নেতারা মানিক হোসেন বাবুকে বলতেন, কমিটি হলেই তারা সব টাকা পরিশোধ করে দেবে; অথচ প্রায় দুই মাস হয়ে গেল। কিন্তু কোনো কমিটিও নেই, টাকা পরিশোধ করার নামও নেই।

বাকির খাতায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা হয়ে গিয়েছে, যার পুরো হিসাব তিনি তাঁর খাতায় লিখে রেখেছেন। এমন বাকি খাওয়া একদিকে যেমন ছাত্রসমাজের জন্য লজ্জার নজির সৃষ্টি করেছে, অন্যদিকে জাতীয় পত্রিকায় উঠে আসার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামও ক্ষুণ্ন হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন- “সার্বিকভাবেই রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।ইতঃপূর্বে ছাত্রলীগ নেতারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ক্যান্টিনে বাকি খাওয়ার মাধ্যমে ক্যান্টিন মালিককে কঠিনভাবে হয়রানি করেছে।

এই রকম বাকি-বকেয়া খাওয়াও যেন ছাত্রলীগের জন্য একপ্রকার সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। শুধু বাকি খাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; মাদকের সয়লাব, সাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিস চুরি এবং বিভিন্ন ঘৃণ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়মিত ঘটিয়েই চলছে ছাত্রলীগ।

আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে এই ধরনের চরম নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ এবং অছাত্র ও সন্ত্রাসনির্ভর সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।“

http://এইচ/কে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাবির হোটেল মালিকদের হয়রানির বিরুদ্ধে/ শিবিরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে মানিক হোসেন বাবু’র ‘বাবু হোটেল’ থেকে ছাত্রলীগের বিপুল পরিমাণ বাকি খাওয়ায় বাবু হোটেল বন্ধ এবং হোটেল মালিক মানিক হোসেন বাবুকে হয়রানি করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবির।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সংগঠনটির সভাপতি ও সেক্রেটারির এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের রাবি শাখা সভাপতি তাসনীম আলম ও সেক্রেটারি আহমাদ আব্দুল্লাহ বলেন- “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে মানিক হোসেন বাবুর একটি খাবার হোটেল চালান। তিনি ২০০০ সাল থেকে এই খাবার হোটেল পরিচালনা করে আসছেন। আশেপাশে পাঁচটি হলের ছাত্রদের তিনি খাবার খাইয়ে থাকেন।

দুই মাস ধরে তাঁর নিকট ছাত্রলীগের নেতারা নানাভাবে বাকি খেয়ে আসছিলেন। কমিটির আশ্বাস দিয়ে ছাত্রলীগ নেতারা মানিক হোসেন বাবুকে বলতেন, কমিটি হলেই তারা সব টাকা পরিশোধ করে দেবে; অথচ প্রায় দুই মাস হয়ে গেল। কিন্তু কোনো কমিটিও নেই, টাকা পরিশোধ করার নামও নেই।

বাকির খাতায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা হয়ে গিয়েছে, যার পুরো হিসাব তিনি তাঁর খাতায় লিখে রেখেছেন। এমন বাকি খাওয়া একদিকে যেমন ছাত্রসমাজের জন্য লজ্জার নজির সৃষ্টি করেছে, অন্যদিকে জাতীয় পত্রিকায় উঠে আসার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামও ক্ষুণ্ন হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন- “সার্বিকভাবেই রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।ইতঃপূর্বে ছাত্রলীগ নেতারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ক্যান্টিনে বাকি খাওয়ার মাধ্যমে ক্যান্টিন মালিককে কঠিনভাবে হয়রানি করেছে।

এই রকম বাকি-বকেয়া খাওয়াও যেন ছাত্রলীগের জন্য একপ্রকার সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। শুধু বাকি খাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; মাদকের সয়লাব, সাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিস চুরি এবং বিভিন্ন ঘৃণ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়মিত ঘটিয়েই চলছে ছাত্রলীগ।

আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে এই ধরনের চরম নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ এবং অছাত্র ও সন্ত্রাসনির্ভর সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।“

http://এইচ/কে