ঢাকা ০৫:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ভয়াবহ তাণ্ডবের আশঙ্কা আকাশ ও স্থল পথে ভারতে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশির মৃত্যু সারাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের সুখবর কুমিল্লা জেলা রোভারের কোর্স ফর রোভার মেট কোর্সের সনদ প্রদান বাংলাদেশে ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আবহাওয়া অফিস কুমিল্লা জেলা রোভারের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রথম আলো কুমিল্লা বন্ধুসভার ব্যবস্থাপনায় এম সাদেক স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি কুমিল্লা জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল

শিল্পকলা পদক পেলেন/ রাবি অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৫:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৯৬৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবি॥

বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদান রাখায় শিল্পকলা পদক -২০২০ পেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিশিষ্ট নাট্যকার ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা মলয় কুমার ভৌমিক।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রী কে এম খালিদ তাকে এ পদক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নাট্যকলা শাখায় বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান রাখার জন্য তাকে পদক দেওয়া হয়,শিল্পকলা পদক-২০২০ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরষ্কারপ্রাপ্তরা অন্যরা হলেন, কণ্ঠসংগীতে মাহমুদুর রহমান বেণু, চারুকলায় শহিদ কবীর, চলচ্চিত্রে শামীম আখতার, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ, লোকসংস্কৃতিতে শাহ আলম সরকার, যন্ত্রসংগীতে মো. সামসুর রহমান, ফটোগ্রাফিতে আ ন ম শফিকুল ইসলাম স্বপন ও আবৃত্তিতে ডালিয়া আহমেদ। এ ছাড়া সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে পদক পাচ্ছে দিনাজপুর নাট্য সমিতি।

শিল্পকলা পদক পাওয়ায় অনুভূতি জানতে চাইলে অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক বলেন, পদক পেয়ে নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। আমি এর আগেও বাংলা একাডেমিক পদক পেয়েছি। পদক পাওয়াতে আমার স্বার্থকতা নিহিত নয়।

মানুষকে জাগ্রত করা আমার কাজ সেই কাজটি আজ সারাদেশে ব্যহত হচ্ছে। হ্যা পদক আমার প্রেরণার উৎস হতে পারে কিন্তু এ পদক না পেলেও আমার কাজ আমি আজীবন করে যাবো।

তিনি আরো বলেন, আমার সবথেকে বড় পদক হচ্ছে যখন আমি দর্শকদের মুখোমুখি হই এবং শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরি। দর্শকরা যখন সেটির প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটাই আমার কাছে শ্রেষ্ঠ পদক। দর্শকের ভালোবাসার চেয়ে আর বড় পদক হতে পারে না বলে জানান এ অধ্যাপক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এটা অবশ্যই আমাদের আনন্দের বিষয়।জাতীয় পর্যায়ে আমাদের শিক্ষকরা পুরুষ্কার পাচ্ছেন এটা অবশ্যই গর্বের।

সকল শিক্ষকদের কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে এ ধরনের চেষ্টা সকলেই করবেন যাতে করে জাতীয় স্বীকৃতি অর্জন করতে পারেন। জাতীয় অর্জনে আমাদের শিক্ষার্থীরাও অনুপ্রাণিত হবে। তারা জানতে পারবে কিভাবে কাজ করলে এ পর্যায়ে যাওয়া যায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক এখন পর্যন্ত ৩৫ টিরও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন। তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বেতারে নিয়মিত নাট্য শিল্পী ছিলেন। তিনি বিটিভি ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনে নাট্যকার ও নাট্য শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। তার রচিত টিভি নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আট প্রহরের গল্প, ক্ষরণ, ফেরা ইত্যাদি।

তার রচিত মৌলিক নাটকের সংখ্যা ২৬ টি। এছাড়াও তিনি ৩৬ টি নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি অনুশীলন নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।

http://এইচ/কে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শিল্পকলা পদক পেলেন/ রাবি অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক

আপডেট সময় : ০৫:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবি॥

বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদান রাখায় শিল্পকলা পদক -২০২০ পেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিশিষ্ট নাট্যকার ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা মলয় কুমার ভৌমিক।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রী কে এম খালিদ তাকে এ পদক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নাট্যকলা শাখায় বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান রাখার জন্য তাকে পদক দেওয়া হয়,শিল্পকলা পদক-২০২০ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরষ্কারপ্রাপ্তরা অন্যরা হলেন, কণ্ঠসংগীতে মাহমুদুর রহমান বেণু, চারুকলায় শহিদ কবীর, চলচ্চিত্রে শামীম আখতার, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ, লোকসংস্কৃতিতে শাহ আলম সরকার, যন্ত্রসংগীতে মো. সামসুর রহমান, ফটোগ্রাফিতে আ ন ম শফিকুল ইসলাম স্বপন ও আবৃত্তিতে ডালিয়া আহমেদ। এ ছাড়া সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে পদক পাচ্ছে দিনাজপুর নাট্য সমিতি।

শিল্পকলা পদক পাওয়ায় অনুভূতি জানতে চাইলে অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক বলেন, পদক পেয়ে নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। আমি এর আগেও বাংলা একাডেমিক পদক পেয়েছি। পদক পাওয়াতে আমার স্বার্থকতা নিহিত নয়।

মানুষকে জাগ্রত করা আমার কাজ সেই কাজটি আজ সারাদেশে ব্যহত হচ্ছে। হ্যা পদক আমার প্রেরণার উৎস হতে পারে কিন্তু এ পদক না পেলেও আমার কাজ আমি আজীবন করে যাবো।

তিনি আরো বলেন, আমার সবথেকে বড় পদক হচ্ছে যখন আমি দর্শকদের মুখোমুখি হই এবং শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরি। দর্শকরা যখন সেটির প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটাই আমার কাছে শ্রেষ্ঠ পদক। দর্শকের ভালোবাসার চেয়ে আর বড় পদক হতে পারে না বলে জানান এ অধ্যাপক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এটা অবশ্যই আমাদের আনন্দের বিষয়।জাতীয় পর্যায়ে আমাদের শিক্ষকরা পুরুষ্কার পাচ্ছেন এটা অবশ্যই গর্বের।

সকল শিক্ষকদের কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে এ ধরনের চেষ্টা সকলেই করবেন যাতে করে জাতীয় স্বীকৃতি অর্জন করতে পারেন। জাতীয় অর্জনে আমাদের শিক্ষার্থীরাও অনুপ্রাণিত হবে। তারা জানতে পারবে কিভাবে কাজ করলে এ পর্যায়ে যাওয়া যায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক এখন পর্যন্ত ৩৫ টিরও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন। তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বেতারে নিয়মিত নাট্য শিল্পী ছিলেন। তিনি বিটিভি ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনে নাট্যকার ও নাট্য শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। তার রচিত টিভি নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আট প্রহরের গল্প, ক্ষরণ, ফেরা ইত্যাদি।

তার রচিত মৌলিক নাটকের সংখ্যা ২৬ টি। এছাড়াও তিনি ৩৬ টি নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি অনুশীলন নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।

http://এইচ/কে