ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুবিতে দীপাবলি উৎসব উদযাপন | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
  • / ৯৬২৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফারজানা রহমান সম্পা,কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের সংগঠন পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে দীপাবলি উৎসব।

গত সোমবার (২৪ অক্টোবর) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার দ্বিতীয় তলায় এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্যামা কালী পূজা উপলক্ষে আয়োজিত এই দীপাবলী উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলার দক্ষিণের নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ , বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান,পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র মজুমদার ও একই বিভাগের প্রভাষক মিলন পাল।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যেখানে নব্বই ভাগ ছাত্রছাত্রী ও কর্মকর্তা মুসলমান সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা একসাথে তাদের ধর্ম পালন করতে পারছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন তার একটি বড় উদাহরণ এটি।

কুমিল্লা জেলার দক্ষিণের নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ বলেন, ‘দীপাবলীর প্রদীপ জ্বালনোর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমদের অজ্ঞানতার অন্ধকারকে দূর করা। আমরা অন্ধকারে পরাস্ত করে আলোর পথে আসতে চাই। আজকের দিনে সেই মহালয়ার সময় ত্রিলোক থেকে যে পিতৃপুরুষরা ফিরে এসেছিল তারা আবার এই আলোকে অনুসরণ করে ত্রিলোকে ফিরে যান। তাই আমরা বছরের এই দিনে প্রদীপ জ্বালাই।’

পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশ্বাস বলেন,’কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদ প্রতিবছরের ন্যায় দীপাবলি অনুষ্ঠান উদযাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু প্রাকৃতিক দুরবস্থায় আমরা মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠানটি করতে পারিনি । যেহেতু আমাদের সনাতনী অনুষ্ঠান গুলো একটি নির্দিষ্ট দিনে হয় তাই নিয়ম রক্ষার্থে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের রুমে আমাদের আয়োজন সম্পূর্ণ করি।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য বিশেষ কোন মন্দির নাই তাই আমরা ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যের সাথে অনুষ্ঠানটি পালন করতে পারতেছি না। তাই এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের জন্য মন্দির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

http://এইচ/কে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কুবিতে দীপাবলি উৎসব উদযাপন | ক্যাম্পাস

আপডেট সময় : ০১:৪৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

ফারজানা রহমান সম্পা,কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের সংগঠন পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে দীপাবলি উৎসব।

গত সোমবার (২৪ অক্টোবর) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার দ্বিতীয় তলায় এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্যামা কালী পূজা উপলক্ষে আয়োজিত এই দীপাবলী উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলার দক্ষিণের নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ , বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান,পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র মজুমদার ও একই বিভাগের প্রভাষক মিলন পাল।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যেখানে নব্বই ভাগ ছাত্রছাত্রী ও কর্মকর্তা মুসলমান সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা একসাথে তাদের ধর্ম পালন করতে পারছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন তার একটি বড় উদাহরণ এটি।

কুমিল্লা জেলার দক্ষিণের নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ বলেন, ‘দীপাবলীর প্রদীপ জ্বালনোর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমদের অজ্ঞানতার অন্ধকারকে দূর করা। আমরা অন্ধকারে পরাস্ত করে আলোর পথে আসতে চাই। আজকের দিনে সেই মহালয়ার সময় ত্রিলোক থেকে যে পিতৃপুরুষরা ফিরে এসেছিল তারা আবার এই আলোকে অনুসরণ করে ত্রিলোকে ফিরে যান। তাই আমরা বছরের এই দিনে প্রদীপ জ্বালাই।’

পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশ্বাস বলেন,’কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদ প্রতিবছরের ন্যায় দীপাবলি অনুষ্ঠান উদযাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু প্রাকৃতিক দুরবস্থায় আমরা মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠানটি করতে পারিনি । যেহেতু আমাদের সনাতনী অনুষ্ঠান গুলো একটি নির্দিষ্ট দিনে হয় তাই নিয়ম রক্ষার্থে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের রুমে আমাদের আয়োজন সম্পূর্ণ করি।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য বিশেষ কোন মন্দির নাই তাই আমরা ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যের সাথে অনুষ্ঠানটি পালন করতে পারতেছি না। তাই এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের জন্য মন্দির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

http://এইচ/কে