ঢাকা ০২:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
আকাশ ও স্থল পথে ভারতে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশির মৃত্যু সারাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের সুখবর কুমিল্লা জেলা রোভারের কোর্স ফর রোভার মেট কোর্সের সনদ প্রদান বাংলাদেশে ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আবহাওয়া অফিস কুমিল্লা জেলা রোভারের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রথম আলো কুমিল্লা বন্ধুসভার ব্যবস্থাপনায় এম সাদেক স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি কুমিল্লা জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপ কমডেকায় অংশগ্রহনকারীদের সনদ প্রদান

জেলা পরিষদ নির্বাচনে হেরে টাকা ফেরত দেওয়ার মিনতি পরাজিত প্রার্থীর | রাজনীতি

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৪:২৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
  • / ৯৬৩০ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খাইরুল ইসলাম:

গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২০ লাখ টাকা খরচ করে ৯৪টি ভোট পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ময়মনসিংহের ১১নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী মোছা. শিরিন সোলায়মান। তিনি নান্দাইল উপজেলার নাখিরাজ গ্রামের বাসিন্দা। ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন তিনি।

নির্বাচনে খরচ করা ২০ লাখের মধ্যে ১১ লাখ টাকাই সুদে নেওয়া তার। এ অবস্থায় একমাত্র সম্বল আধাপাকা বসতবাড়িটি বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। সেই সাথে টাকা নেওয়া ভোটারদের কাছে গিয়ে টাকা ফেরতের মিনতিও করবেন।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার প্রতিনিধির সঙ্গে ফোনালাপে বলেন শিরিন সোলাইমান বলেন,“নির্বাচনে জিততে ৩ উপজেলার ২৮০ জন ভোটারকে খামের ভেতর ৫ হাজার টাকা করে মোট ১৪ লাখ টাকা দিয়েছি। তাদের মধ্যে টাকা নেওয়া
১৯১ জনই ভোট দেননি।

তার স্বামী একজন মেকানিক। সেই আয় থেকেই সংসার চলে। নান্দাইল উপজেলা থেকে কোনো প্রার্থী না থাকায় ১৮৫ ভোটের মধ্যে তিনিই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া ঈশ্বরগঞ্জে মোট ভোট ১৫৯ (প্রার্থী দুইজন) ও ত্রিশালে ১৭২ (প্রার্থী একজন)। এই তিনটি উপজেলা নিয়ে ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড। নিজের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বলে জানায়।

কাদের টাকা দিয়েছেন জানাতে চাইলে তিনি বলেন, চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের চারজন, চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চারজন ও আচারগাঁও ইউনিয়নের একজন মেম্বার ব্যতীত প্রত্যেককে তিনি খামে ভরে পাঁচ হাজার করে টাকা দিয়েছেন। ত্রিশালে ছয়জন ও ঈশ্বরগঞ্জে ৩২ জনকে পাঁচ হাজার করে টাকা দিয়েছেন। ওই সব ভোটাররা ওয়াদাও করেছিলেন তার মাইক প্রতীকে ভোট দেবেন। কিন্তু তিনি মোট ৯৪টি ভোট পেয়েছেন । এজন্য ভোটারদের স্বেচ্ছায় টাকা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করবেন। টাকা ফেরত দিলে কৃতজ্ঞ থাকবেন বলেও জানান শিরিন সোলায়মান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জেলা পরিষদ নির্বাচনে হেরে টাকা ফেরত দেওয়ার মিনতি পরাজিত প্রার্থীর | রাজনীতি

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

খাইরুল ইসলাম:

গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২০ লাখ টাকা খরচ করে ৯৪টি ভোট পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ময়মনসিংহের ১১নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী মোছা. শিরিন সোলায়মান। তিনি নান্দাইল উপজেলার নাখিরাজ গ্রামের বাসিন্দা। ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন তিনি।

নির্বাচনে খরচ করা ২০ লাখের মধ্যে ১১ লাখ টাকাই সুদে নেওয়া তার। এ অবস্থায় একমাত্র সম্বল আধাপাকা বসতবাড়িটি বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। সেই সাথে টাকা নেওয়া ভোটারদের কাছে গিয়ে টাকা ফেরতের মিনতিও করবেন।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার প্রতিনিধির সঙ্গে ফোনালাপে বলেন শিরিন সোলাইমান বলেন,“নির্বাচনে জিততে ৩ উপজেলার ২৮০ জন ভোটারকে খামের ভেতর ৫ হাজার টাকা করে মোট ১৪ লাখ টাকা দিয়েছি। তাদের মধ্যে টাকা নেওয়া
১৯১ জনই ভোট দেননি।

তার স্বামী একজন মেকানিক। সেই আয় থেকেই সংসার চলে। নান্দাইল উপজেলা থেকে কোনো প্রার্থী না থাকায় ১৮৫ ভোটের মধ্যে তিনিই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া ঈশ্বরগঞ্জে মোট ভোট ১৫৯ (প্রার্থী দুইজন) ও ত্রিশালে ১৭২ (প্রার্থী একজন)। এই তিনটি উপজেলা নিয়ে ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড। নিজের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বলে জানায়।

কাদের টাকা দিয়েছেন জানাতে চাইলে তিনি বলেন, চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের চারজন, চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চারজন ও আচারগাঁও ইউনিয়নের একজন মেম্বার ব্যতীত প্রত্যেককে তিনি খামে ভরে পাঁচ হাজার করে টাকা দিয়েছেন। ত্রিশালে ছয়জন ও ঈশ্বরগঞ্জে ৩২ জনকে পাঁচ হাজার করে টাকা দিয়েছেন। ওই সব ভোটাররা ওয়াদাও করেছিলেন তার মাইক প্রতীকে ভোট দেবেন। কিন্তু তিনি মোট ৯৪টি ভোট পেয়েছেন । এজন্য ভোটারদের স্বেচ্ছায় টাকা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করবেন। টাকা ফেরত দিলে কৃতজ্ঞ থাকবেন বলেও জানান শিরিন সোলায়মান।