ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রবাসীর সহায়তার পর বাবুর পাশে রাবির সাবেক ছাত্র আব্দুল আলিম

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৯৬১১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মনির হোসেন মাহিন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোটেল মালিক মানিক হোসেন ওরফে বাবুর বন্ধ হওয়া দোকান চালানোর জন্য গত (৭ জানুয়ারি) ১০ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন আমেরিকার প্রবাসী তানভীর ওয়াহিদ। এবার ১৫ হাজার টাকা দিয়ে নিঃস্ব বাবুর পাশে দাঁড়ালেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক ছাত্র আব্দুল আলিম মিঠু।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় দোকান চালু করার লক্ষে নগদ ১৫ হাজার টাকা বাবুর হাতে দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন হোটেল মালিক মানিক হোসেন বাবু নিজেই।

আবদুল আলিম মিঠু বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৩-৪ সেশনের ভুগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সাবেক ছাত্র ছিলেন। তিনি বর্তমানে রেলওয়ের টিটি’ই পোস্টে পাবনার ইশ্বরদীর স্টেশনে কর্মরত আছেন। তিনি নবাব আবদুল লতিফ হলে থাকাকালীন ওই হলের ক্যান্টিন চালাতেন মানিক হোসেন বাবু।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল আলিম মিঠু বলেন, আমি বাবু ভাইয়ের বিষয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি। আমি যখন ছাত্র ছিলাম আমার লতিফ হলে ক্যান্টিন চালাতেন বাবু ভাই। তার এমন বিপদে তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি তাকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছি এবং কাল থেকে (রোববার) দোকান চালু করার পরামর্শ দিয়েছি। প্রয়োজন হলে আরও সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন এ সাবেক ছাত্র।

যারা বাকি খেয়ে বাবুকে নিঃস্ব করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা বাকি খেয়েছেন তারা দ্রুত বাবু ভাইকে বাকির টাকা দিয়ে দিন। তারও পরিবার আছে, তারও বাঁচার অধিকার আছে। আস্তেধীরে হলেও বকেয়া পরিশোধ করার অনুরোধ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে খাবারের দোকান চালাতেন মানিক হোসেন। ২২ বছর ধরে ব্যবসা করছেন তিনি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাকি খেয়ে টাকাপয়সা না দেওয়ায় আড়াই লাখ টাকার মতো বাকি পড়ে গেছে তার। বাধ্য হয়ে গত ২১ ডিসেম্বর দোকান বন্ধ করে দেন তিনি।

এবিষয়ে গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে বিষয়টি নজরে আসে আমেরিকা প্রবাসী তানভীর ওয়াহিদের। তিনিও গত (৭ জানুয়ারি) ১০ হাজার টাকা বাবুর বিকাশে পাঠান।

এবিষয়ে মানিক মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আজ সকালে আব্দুল আলিম মিঠু ভাই দোকান খোলার লক্ষে ১৫ হাজার টাকা নগদ সহায়তা করেছেন আমাকে। আমার খাবারের দোকানের উপর ভরসা করে পরিবার চলে। এভাবে যদি সবাই আমার কষ্টে সহযোগিতা করে তাহলে আমি আমার পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো।

শিক্ষার্থীরা বকেয়া টাকা পরিশোধ করছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা কিছু কিছু টাকা দিচ্ছেন। তবে যাদের কাছে বকেয়া বেশি তারা সময় নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

প্রবাসীর সহায়তার পর বাবুর পাশে রাবির সাবেক ছাত্র আব্দুল আলিম

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

মনির হোসেন মাহিন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোটেল মালিক মানিক হোসেন ওরফে বাবুর বন্ধ হওয়া দোকান চালানোর জন্য গত (৭ জানুয়ারি) ১০ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন আমেরিকার প্রবাসী তানভীর ওয়াহিদ। এবার ১৫ হাজার টাকা দিয়ে নিঃস্ব বাবুর পাশে দাঁড়ালেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক ছাত্র আব্দুল আলিম মিঠু।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় দোকান চালু করার লক্ষে নগদ ১৫ হাজার টাকা বাবুর হাতে দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন হোটেল মালিক মানিক হোসেন বাবু নিজেই।

আবদুল আলিম মিঠু বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৩-৪ সেশনের ভুগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সাবেক ছাত্র ছিলেন। তিনি বর্তমানে রেলওয়ের টিটি’ই পোস্টে পাবনার ইশ্বরদীর স্টেশনে কর্মরত আছেন। তিনি নবাব আবদুল লতিফ হলে থাকাকালীন ওই হলের ক্যান্টিন চালাতেন মানিক হোসেন বাবু।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল আলিম মিঠু বলেন, আমি বাবু ভাইয়ের বিষয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি। আমি যখন ছাত্র ছিলাম আমার লতিফ হলে ক্যান্টিন চালাতেন বাবু ভাই। তার এমন বিপদে তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি তাকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছি এবং কাল থেকে (রোববার) দোকান চালু করার পরামর্শ দিয়েছি। প্রয়োজন হলে আরও সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন এ সাবেক ছাত্র।

যারা বাকি খেয়ে বাবুকে নিঃস্ব করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা বাকি খেয়েছেন তারা দ্রুত বাবু ভাইকে বাকির টাকা দিয়ে দিন। তারও পরিবার আছে, তারও বাঁচার অধিকার আছে। আস্তেধীরে হলেও বকেয়া পরিশোধ করার অনুরোধ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে খাবারের দোকান চালাতেন মানিক হোসেন। ২২ বছর ধরে ব্যবসা করছেন তিনি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাকি খেয়ে টাকাপয়সা না দেওয়ায় আড়াই লাখ টাকার মতো বাকি পড়ে গেছে তার। বাধ্য হয়ে গত ২১ ডিসেম্বর দোকান বন্ধ করে দেন তিনি।

এবিষয়ে গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে বিষয়টি নজরে আসে আমেরিকা প্রবাসী তানভীর ওয়াহিদের। তিনিও গত (৭ জানুয়ারি) ১০ হাজার টাকা বাবুর বিকাশে পাঠান।

এবিষয়ে মানিক মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আজ সকালে আব্দুল আলিম মিঠু ভাই দোকান খোলার লক্ষে ১৫ হাজার টাকা নগদ সহায়তা করেছেন আমাকে। আমার খাবারের দোকানের উপর ভরসা করে পরিবার চলে। এভাবে যদি সবাই আমার কষ্টে সহযোগিতা করে তাহলে আমি আমার পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো।

শিক্ষার্থীরা বকেয়া টাকা পরিশোধ করছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা কিছু কিছু টাকা দিচ্ছেন। তবে যাদের কাছে বকেয়া বেশি তারা সময় নিয়েছেন বলে জানান তিনি।