ঢাকা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
প্রিয় কুমিল্লা’র উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণ বাতিল হলো দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের বিধান স্মৃতিসৌধে কথা বলতে বলতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন মির্জা ফখরুল ফুলবাড়ীর অনামিকা রানীর ঘুড়ে দাঁড়ানোর গল্প কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজে কৃষিশিক্ষার ব্যবহারিক ক্লাস কৃষি উদ্যানে চলে গেলেন ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের গীতিকার আবু জাফর বেস্ট ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন কুমিল্লার দ্বীন মোহাম্মদ রিয়াদ সব কষ্ট ভুলে গিয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে : ডিএমপি কমিশনার আজ থেকে দেশব্যাপী জাকের পার্টির ইসলামী সম্মেলন শুরু জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো সাইদুলকে তালাক দিলো তার স্ত্রী

বাঙালি মুসলিম সমাজের অগ্রগতিতে/ খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ্

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৬:৪২:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৯৬৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আবির হাসান, খুবি প্রতিনিধি:

বাঙালি মুসলিম শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারণে যাদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ্ তাদের অন্যতম। তিনি ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, শিক্ষা সংস্কারক ও সমাজহিতৈষী ব্যাক্তি। এছাড়াও তিনি একজন উচ্চ স্তরের আউলিয়া ছিলেন। তিনি ১৮৭৩ সালে ২৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জেলার নলতায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে।

খান বাহাদুর আহছানউল্লা বাঙালি মুসলমানদের অহংকার এবং এক সূর্যস্নাত মহাপুরুষ। তাঁর বিস্তৃত কর্মময় জীবন এখন ইতিহাসের অন্তর্গত। এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ তাঁর জীবনের প্রায় পুরোটা সময় অনগ্রসর বাঙালি মুসলমান জাতির উন্নয়নের জন্য ব্যয় করেছেন। সেবাই ছিল তাঁর জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক। এই দেশ এবং জাতি খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লার কাছে নানাভাবে ঋণী। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার৷ ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল অপরিসীম।

তিনি অবিভক্ত বাংলার শিক্ষাবিভাগের ডাইরেক্টর পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন, যে পদ কেবলমাত্র ইউরোপিয়ানদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। শিক্ষা বিভাগে তাঁর সক্রিয় হস্তক্ষেপে মুসলিম শিক্ষা ব্যবস্থার বিপুল সংস্কার সাধিত হয়। তিনি শিক্ষা সংস্কারমূলক কাজের বাস্তব রূপায়নের জন্য বহু পাঠ্যপুস্তক রচনা করেন।

ব্রিটিশ সরকারের শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক হিসেবে খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লাহ-এর নিয়োগ প্রাপ্তি বাংলার মুসলিম ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক।এই দায়িত্ব প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষের শিক্ষার উন্নতি ও প্রসারের গুরুদায়িত্ব তাঁর উপর অর্পিত হয়। ১৯১১ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে “খান বাহাদুর ” উপাধিতে ভূষিত করেন।

তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই কলকাতায় মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র ইসলামিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম মুসলিম হাইস্কুল প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান রয়েছে। এছাড়া তিনি মাধবপুর শেখ হাইস্কুল,কুমিল্লা (১৯১১), রায়পুর কে,সি হাইস্কুল (১৯১২), চান্দিনা পাইলট হাইস্কুল,কুমিল্লা (১৯২০), কুটি অটল বিহারী হাইস্কুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া(১৯২০), চৌদ্দগ্রাম এইচ,জে পাইলট হাইস্কুল (১৯২১) প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ ১৯৩৫ সালে আহ্ছানিয়া মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক,সু-সাহিত্যিক, বাংলা ভাষানুরাগী,মানবসেবক ও ইসলামী চিন্তাবিদ, নারী জাতি ও অন্য সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর ছিল গভীর শ্রদ্ধাবোধ।

১৯৬৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এইকর্মবীর সাধক ইহ জগত ত্যাগ করেন। তাকে তাঁর জন্মস্থান সাতক্ষীরা জেলার নলতায় সমাহিত করা হয়।পরে তাঁর সমাধিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে নলতা শরীফ।

খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ জন্ম বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলে হওয়ার তাঁর নামে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ছাত্র আবাসিক হল, খুলনাতে খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় (বেসরকারী), সাতক্ষীরায় খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ কলেজ ছাড়াও তাঁর নামে অনেক স্থাপনা রয়েছে।

http://এইচ/কে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাঙালি মুসলিম সমাজের অগ্রগতিতে/ খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ্

আপডেট সময় : ০৬:৪২:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

আবির হাসান, খুবি প্রতিনিধি:

বাঙালি মুসলিম শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারণে যাদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ্ তাদের অন্যতম। তিনি ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, শিক্ষা সংস্কারক ও সমাজহিতৈষী ব্যাক্তি। এছাড়াও তিনি একজন উচ্চ স্তরের আউলিয়া ছিলেন। তিনি ১৮৭৩ সালে ২৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জেলার নলতায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে।

খান বাহাদুর আহছানউল্লা বাঙালি মুসলমানদের অহংকার এবং এক সূর্যস্নাত মহাপুরুষ। তাঁর বিস্তৃত কর্মময় জীবন এখন ইতিহাসের অন্তর্গত। এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ তাঁর জীবনের প্রায় পুরোটা সময় অনগ্রসর বাঙালি মুসলমান জাতির উন্নয়নের জন্য ব্যয় করেছেন। সেবাই ছিল তাঁর জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক। এই দেশ এবং জাতি খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লার কাছে নানাভাবে ঋণী। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার৷ ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল অপরিসীম।

তিনি অবিভক্ত বাংলার শিক্ষাবিভাগের ডাইরেক্টর পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন, যে পদ কেবলমাত্র ইউরোপিয়ানদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। শিক্ষা বিভাগে তাঁর সক্রিয় হস্তক্ষেপে মুসলিম শিক্ষা ব্যবস্থার বিপুল সংস্কার সাধিত হয়। তিনি শিক্ষা সংস্কারমূলক কাজের বাস্তব রূপায়নের জন্য বহু পাঠ্যপুস্তক রচনা করেন।

ব্রিটিশ সরকারের শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক হিসেবে খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লাহ-এর নিয়োগ প্রাপ্তি বাংলার মুসলিম ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক।এই দায়িত্ব প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষের শিক্ষার উন্নতি ও প্রসারের গুরুদায়িত্ব তাঁর উপর অর্পিত হয়। ১৯১১ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে “খান বাহাদুর ” উপাধিতে ভূষিত করেন।

তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই কলকাতায় মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র ইসলামিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম মুসলিম হাইস্কুল প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান রয়েছে। এছাড়া তিনি মাধবপুর শেখ হাইস্কুল,কুমিল্লা (১৯১১), রায়পুর কে,সি হাইস্কুল (১৯১২), চান্দিনা পাইলট হাইস্কুল,কুমিল্লা (১৯২০), কুটি অটল বিহারী হাইস্কুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া(১৯২০), চৌদ্দগ্রাম এইচ,জে পাইলট হাইস্কুল (১৯২১) প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ ১৯৩৫ সালে আহ্ছানিয়া মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক,সু-সাহিত্যিক, বাংলা ভাষানুরাগী,মানবসেবক ও ইসলামী চিন্তাবিদ, নারী জাতি ও অন্য সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর ছিল গভীর শ্রদ্ধাবোধ।

১৯৬৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এইকর্মবীর সাধক ইহ জগত ত্যাগ করেন। তাকে তাঁর জন্মস্থান সাতক্ষীরা জেলার নলতায় সমাহিত করা হয়।পরে তাঁর সমাধিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে নলতা শরীফ।

খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ জন্ম বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলে হওয়ার তাঁর নামে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ছাত্র আবাসিক হল, খুলনাতে খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় (বেসরকারী), সাতক্ষীরায় খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ কলেজ ছাড়াও তাঁর নামে অনেক স্থাপনা রয়েছে।

http://এইচ/কে