ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবিতে তিন শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে/ কম্বল বিতরণ

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০১:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৯৬২৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আওয়ামী কর্মকর্তা পরিষদের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে এলাকার তিন শতাধিক পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যংক লিমিটেডের সামনে কম্বল বিতরণের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।

সকাল ১০টা থেকে এসব কম্বল নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে এলাকা থেকে অসহায় দুঃস্থ মানুষেরা ভিড় করতে দেখা যায়।

কম্বল পেয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকা থেকে আসা আব্দুল জলিল বলেন, রাজশাহীতে প্রচুর ঠান্ডা পড়ে। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় কষ্ট করে রাত্রি যাপন করেন তারা। কম্বল পেয়ে অনেকটাই শীত নিবারণ হবে বলে আশাবাদী এ মধ্য বয়স্ক।

মেহেরচন্ডি বুথ পাড়া এলাকা থেকে কম্বল নিতে এসে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েছেন রুনা আক্তার নামের দুঃস্থ মহিলা। তিনি বলেন, আমার স্বামী আমাকে রেখে অন্য জায়গায় বিয়ে করেছেন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের রানার দোকানে কাজ করে তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে মানুষ করছি। আমার অসহায়ত্বে কথা শুনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে কম্বল নেওয়ার জন্য একটি টোকেন দিয়েছেন। আমার মায়ের বয়স হয়ে যাওয়ায় সেও এখন খুব অসহায়। এই কম্বলটা তিনি তার মাকে উপহার দিবেন বলে জানান এ মহিলা।

আওয়ামী কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রাজশাহী শহরে অনেক অসহায় ও দুঃস্থ পরিবার রয়েছে। যারা হাড় কাপানো শীতে অনেক কষ্ট করেন। তাদের কষ্টটাকে কিছুটা লাগব করানোর জন্য এমন উদ্যোগ নিয়েছি। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। প্রতিটা মানুষের উচিত অন্য মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। উচ্চবিত্ত সকলকে শীতার্ত মানুষের দাঁড়ানোর আহবান করেন তিনি।

আওয়ামী কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি
মো. মিশফাক আহমেদ বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে তিন শতাধিক কম্বল নিয়ে এ আয়োজন শুরু করেছি।রাজশাহীতে প্রচুর ঠান্ডা পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে এলাকার মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই আমাদের এ উদ্যোগ। প্রতিবছর ডিসেম্বরের মাসে এ আয়োজন চালু থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাবিতে তিন শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে/ কম্বল বিতরণ

আপডেট সময় : ০১:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক,রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আওয়ামী কর্মকর্তা পরিষদের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে এলাকার তিন শতাধিক পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যংক লিমিটেডের সামনে কম্বল বিতরণের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।

সকাল ১০টা থেকে এসব কম্বল নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে এলাকা থেকে অসহায় দুঃস্থ মানুষেরা ভিড় করতে দেখা যায়।

কম্বল পেয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকা থেকে আসা আব্দুল জলিল বলেন, রাজশাহীতে প্রচুর ঠান্ডা পড়ে। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় কষ্ট করে রাত্রি যাপন করেন তারা। কম্বল পেয়ে অনেকটাই শীত নিবারণ হবে বলে আশাবাদী এ মধ্য বয়স্ক।

মেহেরচন্ডি বুথ পাড়া এলাকা থেকে কম্বল নিতে এসে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েছেন রুনা আক্তার নামের দুঃস্থ মহিলা। তিনি বলেন, আমার স্বামী আমাকে রেখে অন্য জায়গায় বিয়ে করেছেন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের রানার দোকানে কাজ করে তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে মানুষ করছি। আমার অসহায়ত্বে কথা শুনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে কম্বল নেওয়ার জন্য একটি টোকেন দিয়েছেন। আমার মায়ের বয়স হয়ে যাওয়ায় সেও এখন খুব অসহায়। এই কম্বলটা তিনি তার মাকে উপহার দিবেন বলে জানান এ মহিলা।

আওয়ামী কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রাজশাহী শহরে অনেক অসহায় ও দুঃস্থ পরিবার রয়েছে। যারা হাড় কাপানো শীতে অনেক কষ্ট করেন। তাদের কষ্টটাকে কিছুটা লাগব করানোর জন্য এমন উদ্যোগ নিয়েছি। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। প্রতিটা মানুষের উচিত অন্য মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। উচ্চবিত্ত সকলকে শীতার্ত মানুষের দাঁড়ানোর আহবান করেন তিনি।

আওয়ামী কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি
মো. মিশফাক আহমেদ বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে তিন শতাধিক কম্বল নিয়ে এ আয়োজন শুরু করেছি।রাজশাহীতে প্রচুর ঠান্ডা পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে এলাকার মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই আমাদের এ উদ্যোগ। প্রতিবছর ডিসেম্বরের মাসে এ আয়োজন চালু থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।