ঢাকা ১০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রংপুর অঞ্চলে আর কোনোদিন দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে না : প্রধানমন্ত্রী 

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০২:৫৩:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৯৬২১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নবিজুল ইসলাম নবীন,নীলফামারী প্রতিনিধি,।

রংপুর অঞ্চলে আর কোনোদিন দুর্ভিক্ষ বা মঙ্গা দেখা দেবে না এমন নিশ্চয়তা ও আশা ব্যক্ত করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। নৌকা মার্কা ভোট পেলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলে আর কোনদিন মঙ্গা দেখা দেবে না বলে রংপুরের মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আশা ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, শেখ মুজিবের বাংলায় কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমরা সেই লক্ষে সব ধরনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বুধবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বক্তব্যের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মক্তিযুদ্ধে শহীদ, ১৫ই অগাস্টের শহীদদের স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শত বাধা পেরিয়ে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছি। দেশে ফিরে রংপুরের প্রতিটি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরেছি। তৎসময়ে মানুষের হাহাকার দেখেছি, মানুষের খাদ্য সঙ্কট ছিল চরম। আমাদের প্রতিজ্ঞা ছিল যখনই সরকার গঠন করবো মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবো, জীবনমান উন্নত করবো।

চলমান বাংলাদেশে আমরা দারিদ্র্যের হার কমাতে পেরেছি, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়েছি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রংপুরে কখনও মঙ্গা দেখা দেয়নি। নৌকা মার্কা ভোট দিলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। বক্তব্যকালে বিএনপি সরকারের বিভিন্ন সমালোচনাও করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে এদেশের মানুষের কোনো কষ্ট হয়নি। গত সাড়ে ১৪ বছরে যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, কাজের ব্যবস্থা করেছি। রংপুরকে বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বিভাগের সঙ্গে সঙ্গে সে অনুযায়ী সব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে, সিটি কর্পোরেশন হয়েছে। উত্তরবঙ্গের মানুষ যেন অতি সহজে রাজধানীতে পৌঁছাতে পারে সে ব্যবস্থা করেছেন বলেও তিনি জানান।

তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা এ সময় তুলে ধরেন তিনি। নারীশিক্ষার উন্নয়ন, কমিউনিটি ক্লিনিক, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা ইত্যাদির কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কৃষকদের বন্ধু, তাদের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছি। এই ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ কৃষককে কৃষি উপকরণ কার্ড দিয়েছি, যা দেখিয়ে তারা দোকান থেকে কৃষিকাজে ব্যবহৃত পণ্য কিনতে পারছে। সারের দাম কমিয়ে দিয়েছি, এখন কৃষককে সার কিনতে যেতে হয় না। সার কৃষকের ঘরে পৌঁছে যায়, সেই ব্যবস্থা করেছি।

ওয়াদা করেছিলাম সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব, সেটা দিতে পেরেছি। তবে মাঝে কয়লা আর গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় কয়েকদিন কষ্ট করতে হয়েছে। এখন আর কোনো সমস্যা নেই। আপনাদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। এত বছর পর রংপুরে খালি হাতে আসেননি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। আপনারা দেখেছেন কিছুক্ষণ আগে কতগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করেছি। এর মাধ্যমে এই অঞ্চলের যেন উন্নয়ন হয় সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। রংপুরের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও জনগণের জীবনমান উন্নত করতে নেওয়া প্রকল্পগুলোর কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রংপুর অঞ্চলে আর কোনোদিন দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে না : প্রধানমন্ত্রী 

আপডেট সময় : ০২:৫৩:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩

নবিজুল ইসলাম নবীন,নীলফামারী প্রতিনিধি,।

রংপুর অঞ্চলে আর কোনোদিন দুর্ভিক্ষ বা মঙ্গা দেখা দেবে না এমন নিশ্চয়তা ও আশা ব্যক্ত করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। নৌকা মার্কা ভোট পেলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলে আর কোনদিন মঙ্গা দেখা দেবে না বলে রংপুরের মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আশা ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, শেখ মুজিবের বাংলায় কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমরা সেই লক্ষে সব ধরনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বুধবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বক্তব্যের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মক্তিযুদ্ধে শহীদ, ১৫ই অগাস্টের শহীদদের স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শত বাধা পেরিয়ে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছি। দেশে ফিরে রংপুরের প্রতিটি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরেছি। তৎসময়ে মানুষের হাহাকার দেখেছি, মানুষের খাদ্য সঙ্কট ছিল চরম। আমাদের প্রতিজ্ঞা ছিল যখনই সরকার গঠন করবো মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবো, জীবনমান উন্নত করবো।

চলমান বাংলাদেশে আমরা দারিদ্র্যের হার কমাতে পেরেছি, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়েছি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রংপুরে কখনও মঙ্গা দেখা দেয়নি। নৌকা মার্কা ভোট দিলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। বক্তব্যকালে বিএনপি সরকারের বিভিন্ন সমালোচনাও করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে এদেশের মানুষের কোনো কষ্ট হয়নি। গত সাড়ে ১৪ বছরে যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, কাজের ব্যবস্থা করেছি। রংপুরকে বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বিভাগের সঙ্গে সঙ্গে সে অনুযায়ী সব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে, সিটি কর্পোরেশন হয়েছে। উত্তরবঙ্গের মানুষ যেন অতি সহজে রাজধানীতে পৌঁছাতে পারে সে ব্যবস্থা করেছেন বলেও তিনি জানান।

তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা এ সময় তুলে ধরেন তিনি। নারীশিক্ষার উন্নয়ন, কমিউনিটি ক্লিনিক, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা ইত্যাদির কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কৃষকদের বন্ধু, তাদের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছি। এই ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ কৃষককে কৃষি উপকরণ কার্ড দিয়েছি, যা দেখিয়ে তারা দোকান থেকে কৃষিকাজে ব্যবহৃত পণ্য কিনতে পারছে। সারের দাম কমিয়ে দিয়েছি, এখন কৃষককে সার কিনতে যেতে হয় না। সার কৃষকের ঘরে পৌঁছে যায়, সেই ব্যবস্থা করেছি।

ওয়াদা করেছিলাম সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব, সেটা দিতে পেরেছি। তবে মাঝে কয়লা আর গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় কয়েকদিন কষ্ট করতে হয়েছে। এখন আর কোনো সমস্যা নেই। আপনাদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। এত বছর পর রংপুরে খালি হাতে আসেননি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। আপনারা দেখেছেন কিছুক্ষণ আগে কতগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করেছি। এর মাধ্যমে এই অঞ্চলের যেন উন্নয়ন হয় সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। রংপুরের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও জনগণের জীবনমান উন্নত করতে নেওয়া প্রকল্পগুলোর কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।