প্রতিনিধি ৫ এপ্রিল ২০২৩ , ৮:৩১:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
হালিম সৈকত, কুমিল্লা।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত নয়াচর- খলিলাবাদ খালের উপর নির্মিত কালভার্টটি এখন কৃষকদের গলারকাটা।
এই খালটি পানি নিষ্কাশন ও ইরিগ্রেশনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উক্ত খালের খলিলাবাদ অংশে (আসমানিয়া বাজারের) পূর্ব পাশে মজিবুর রহমানের বাড়ির দক্ষিণে মাত্র ৪ ফুট উচ্চতায় ৫০ ফুট দৈর্ঘের একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয় ২০১০-১২ সালে, যার সাথে উত্তর দিকে কোন সংযোগ সড়ক নাই।
বর্তমানে খালটি পানি উন্নয়নবোর্ড কর্তৃক পুনঃখনন কাজ চলছে। খালের গভীরতা ১০/১২ ফুট আর কালভার্টটির গভীরতা মাত্র ৪ ফুট। তাই কালর্ভাট টি সরানো জরুরী বলে মনে করছেন সাধারণ কৃষক ও জনগণ। কারণ কালভার্ট টি না সরালে খাল খননের উপকারিতা এলাকার জনগণ, কৃষক ভোগ করতে পারবে না।
এই বিষয়ে ৭ নং নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আরিফুজ্জামান ভূইয়া খোকা কালভার্টটি অপসারণের জন্য তিতাস উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দরখাস্ত করেছেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন্নাহার পারভীন ক্ষমতার অপ-ব্যবহার করে ব্যক্তি স্বার্থে কালভার্টটি তৈরি করেছেন। যা সরকারি অর্থের অপচয়। সরকারি জায়গায় দখল ও ভোগ করার হীন উদ্দেশ্যে তিনি কাজটি করেছেন। যা বর্তমানে ভাঙ্গা ছাড়া কোন গতান্তর নেই।
এই বিষয়ে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন্নাহার পারভীন বলেন, আমি জনগণের স্বার্থে অনেক চেষ্টার পর কালভার্টটি নির্মাণ করেছি। ভিটিকান্দি ও নারান্দিয়া ইউনিয়নের জনগণ এর সুবিধাভোগী। আমার ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ এখানে জড়িত নয়। এখন সরকার যদি কালভার্টটি ভেঙ্গে ফেলে আমার কোন আপত্তি নেই। তবে ভাঙ্গলে জনসাধারণের বেশ অসুবিধা হবে।