ঈদগাঁওতে মনিরের ভি.আই.পি সেলুনের আড়ালে মাদক বিক্রি
- আপডেট সময় : ০৮:৩০:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৯৬২৫ বার পড়া হয়েছে
রিয়াজ উদ্দীন রিয়াদ, কক্সবাজার।
ঈদগাঁও উপজেলায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চুরি ছিনতাই সহ্ মাদকবিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে উপজেলার সর্বত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
মাদক ব্যাবসায়ীরা স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে তাদের মাদকের দিকে ধাবিত করে যুব সমাজ ধ্বংস করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়,উপজেলার বাস-স্টেশনের মনির লাক্সারি’র স্বত্বাধিকারী মনির প্রকাশ্যে বহিরাগত যুবক যুবতী দ্বারা বাংলাদেশর পাশ্ববর্তী মিয়ানমার সীমান্ত থেকে মাদক সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে অল্পদিনে সেলুন কর্মচারী থেকে বনে যায় কয়েকটি সেলুনের মালিক।
তার মাদক চালানের খবরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তার সহকর্মীদের গ্রেপ্তার করলেও অধরা থেকে যায় মনির (প্রকাশঃ ইয়াবা মনির)। ইতিমধ্যে মাদকের আদানপ্রদানের কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় সরকারী বিভিন্ন দপ্তরসহ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এর ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের সোর্স তার পিছনে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এতে দেখা যায়, গত ২৩ নভেম্বর (বুধবার) ফকিরা বাজার নামক স্থানে মাদক আদান প্রদানের সময় মনিরকে হাতেনাতে ধরা চেষ্টা করে স্থানীয়রা। এসময় মনির সহ তার সহকর্মীরা বিষয়টি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। মনিরের সেলুন “মনির লাক্সারি\’র” পাশ্ববর্তী স্থানীয় কয়েকজন ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা হলে জানা যায় মনির আজকে নতুন নই,দীর্ঘদিন ধরে তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানকে সাইনবোর্ড দিয়ে এসি রুমে বসিয়ে হাত বদলের মধ্যমে মাদক বিক্রি চালিয়ে আসছে প্রশাসনের নজরদারির অভাবে। তাকে গ্রেপ্তার করলে উপজেলা মাদকমুক্ত হবে বলে ধারণা করছেন তারা।
স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তিরা জানান,দীর্ঘ ৫ বছর আগে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের সেলুনের মাসিক স্বল্প টাকা বেতনে চাকরি করত মনির। বছর দুয়েক পরে একই উপজেলার খুটাখালী বাজারে একটি সেলুনে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা বেতনের চাকরি নেয়।
পরে খুটাখালীর কয়েকজন মাদক পাচারকারীর সাথে পরিচয় হয় তার। তাদের সাথে হাত মিলিয়ে মাদক পাচারে যোগদেন মনির। চট্রগ্রামের একটি থানায় এই সেন্ডিকেটের দুইজন সদস্য গ্রেপ্তার হলে বেরিয়ে আসে মনির ও রাসেলসহ কয়েকজন যুবকের নাম। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে মনিরের চাকরিরত স্থানে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। বিষয়টি টের পেয়ে আত্মগোপনে চলে যায় মনির। এরপরপরই ঈদগাঁও বাস-স্টেশনে মমতাজ শফিং কমপ্লেক্সের গলির দক্ষিন পাশে ৩নং দোকান “মনির লাক্সারি” উদ্ভোদন করে সে।
সেখানেও ব্যাবসা প্রতিষ্টানকে সামনে দিয়ে বিভিন্ন মাদক বিক্রি করে আসছে। বাস-স্টেশনের প্রাকাশ্যে মাদক বিক্রয় করা মনির সিন্ডিকেটকে গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আসতে পারে আরো একাধিক মাদক পাচারকারীর নাম। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মনিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার সোর্স দ্বারা অর্থের বিনিময়ে প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে।
মাদক বিক্রির বিষয়ে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি গোলাম কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে মনিরের মাদক পাচারের বিষয়টি জানলেও কোনো প্রকার তথ্য প্রমাণ নেই বলে জান তিনি।
ঈদগাঁও উপজেলা মাদকমুক্ত করতে মনিরের মতো মাদক পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সর্বস্তরের জনসাধারণ।