নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রুতে আশ্রয় নেওয়া অনিবন্ধিত ৫৫পরিবার নিয়ে বিপাকে সংশ্লিষ্টরা |
- আপডেট সময় : ০৪:২৮:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৯৬২০ বার পড়া হয়েছে
আজিজ উদ্দিন।।
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রুর সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া অনিবন্ধিত ৫৫পরিবার রোহিঙ্গার হদিস নেই।
বৃহস্পতিবার (১৬ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৮টার সময় ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, তিনি খুবই উদ্বিগ্ন এ রোহিঙ্গাদের নিয়ে। কেননা অনিবন্ধিত এই ৫৫ রোহিঙ্গা পরিবারে ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা রয়েছে। যারা তার এলাকায় অবস্থান করছেন বর্তমানে। তারা আশপাশের গ্রামে মিশে যেতে পারে এ কারণে তিনি চিন্তিত। এছাড়া এ রোহিঙ্গারা খাদ্য সংকট সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। এসব কারণে তারা পালাতে পারে আশপাশের পাহাড়ি জনপদে বা লোকালয়ে।
তিনি আরো বলেন, এর আগেও ২ দফায় অনেক উধাও হয়ে গেছে। সর্বশেষ মিশে যায় ৫৯৯ জন রোহিঙ্গা। যাদের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও। এরও আগে গত ১৮ জানুয়ারী শূন্যরেখা থেকে সোয়া ৬ হাজার রোহিঙ্গা তুমব্রু গ্রামে আশ্রয় নিলেও মাত্র ১০ দিন পর গণনা করে পাওয়া যায় ২ হাজার ৯৮৬ জন রোহিঙ্গা তুমব্রু গ্রামে রয়েছে। যার মধ্যে মঙ্গলবারের পর ৫৯৯ রোহিঙ্গার হদিস মিলেনি। যারা নিবন্ধিত ছিলো। পক্ষান্তরে তাবু টাঙিয়ে ৫৫ পরিবার রোহিঙ্গা অনিবন্ধিত অবস্থায় এখনও তুমব্রুতে রয়েছে। সব মিলে তিনি চিন্তিত বর্তমানে তুমব্রুতে থাকা এ ৫৫ পরিবার রোহিঙ্গা নিয়ে।
এ বিষয়ে শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৭ কিস্তিতে নিবন্ধিত ২ হাজার ৩ শত ৮৭ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়ার কুতুপালং সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে আনেন তারা। এরপর বাকী থাকার কথা ৫৯৯ জন রোহিঙ্গা। অথচ তাদের খোঁজ নেই সেখানে। এ নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছেন মঙ্গলবার বিকেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত পাননি এ ৫৫ পরিবার রোহিঙ্গা নিয়ে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মার কাছে ৫৫ পরিবার রোহিঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি অনিবন্ধিত ৫৫ পরিবার মিয়ানমারের নাগরিক তুমব্রুতে অবস্থান করার বিষয়টি বুধবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তারা সে বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানাবেন আজ-কালের মধ্যেই। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত তিনি কোন নির্দেশ পাননি।