রাবিতে ভেটেরিনারি অলিম্পিয়ার্ড প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

- আপডেট সময় : ১১:১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২
- / ৯৬৪১ বার পড়া হয়েছে
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘১ম বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অলিম্পিয়ার্ড-২০২২।’ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) অর্থায়নে ও ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
শনিবার (০১ অক্টোবর) বেলা ১১টা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনের ৩০১ নং কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রতিযোগিতা।
খোঁজ নিয়ে জানা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথাযথ জ্ঞান সৃষ্টির লক্ষে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিভাগের প্রথমবর্ষ থেকে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ্যপস্তক সম্পর্কে মেধা যাচাই। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে শুরু হয় ১ম রাউন্ডের এ প্রতিযোগিতা। আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ড প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে ১৭-১৮ নভেম্বর।
আরও জানা যায়, প্রথম রাউন্ডের এমসিকিউ ও রিটেন প্রতিযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫জন করে ১৫টি দলের মোট ৭৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। ১৫টি দলের মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য ১টি দল বিজয়ী হবেন। এভাবে বাংলাদেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩টি দলের মধ্যে ১৭-১৮ নভেম্বর কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় রাউন্ড। দ্বিতীয় রাউন্ডে বিজয়ী দলটি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি অলিম্পিয়ার্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন।
অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থী সাদিয়া বিনতে শফিক বলেন, এই ধরনের একটা অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমরা খুবই উচ্ছ্বাসিত। FAO & USAID কে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের একটা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। এ প্রতিযোগিতায় আমরা নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা ও অনেক কিছু শিখেছি। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমাদের ওয়ার্ল্ড ভেটেটেরিনারি চ্যাম্পিয়নশীপের জন্যও নিজেদের প্রস্তুত করা সহজ হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. জালাল উদ্দীন সরদার বলেন, এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান বৃদ্ধি ও ভেটেরিনারি সম্পর্কে আরো অধিকতর জানার সুযোগ পাবে।
ভেটেরিনারি অলিম্পিয়ার্ডে বিজয়ীরা দেশের বাহিরে গিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। বাংলাদেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্রে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হবে বলে আমি আশাবাদী।
এইচ/কে