ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবি শিক্ষার্থী সাইমা আরাবীর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৪:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৯৬২১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মনির হোসেন মাহিন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী বিভাগের শিক্ষার্থী সাইমা আরাবীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

মঙ্গলবার (৭ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।

এসময় তাদের দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম পরিষদের নেতাকর্মীরা এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

এসময় দুঃখ প্রকাশ করে সাইমা আরাবীর ভাই মাসুম বলেন, আমার বোন কোমল মনের মানুষ ছিলো। সে এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না। একটা পরিবারকে লালসার কবলে ফেলে ক্ষতির দিকে ধাবিত করা হয়েছে। সে বাহিরে কারো সাথে মিলামেশা করতো না। সে চাপা স্বভাবের ছিলো। সে ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখেছিল। তাকে মানবিক চাপ দিয়ে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি জান্নাত জানা বলেন, আমাদের সাইমা আপুকে আত্মহত্যা দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। থানায় মামলা করতে গেলেও সেখানে মামলা নেওয়া হয়নি। তার পরিবারকে বিভিন্ন চাপ দেওয়া হয়েছে। আজ আপুর সাথে যা হয়েছে তা আমাদের সাথেও হতে পারে। তাই আমরা এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি।

এসময় মহিলা পরিষদের নেতাকর্মীরা বলেন, কতটা কষ্ট পেলে একজন মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে। বাংলাদেশের নারীরা কতটা কষ্টে আছে তার একটি উদাহরণ হচ্ছে সাইমা। সে একা বোধ করেছে। তার পাশে কাউকে পায়নি ।আত্মাহত্যায় যে প্ররোচনা করেছে তার মতো অপরাধী আর কেউ হতে পারে না। আমরা এর বিচার চাই।

তারা আরো বলেন, আমরা যারা আত্মহত্যা করে তাদেরকে দোষ দেই। কিন্তু তার কারন জানতে চাই না। আজ আমার পরিবারে ঘটেছে কাল আপনার পরিবারেও হতে পারে। এমন হলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পরবে। আমারা নারিদের নিয়ে কাজ করি। একটা ঘটনা ঘটে গেলে পরে আর কিছু করার থাকে না ।

প্রসঙ্গত, সাইমা চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৯ জানুয়ারি বিকেলে অতিরিক্ত পরিমাণে এসডোকল-৫ ওষুধ খেয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছে।

http://এইচ/কে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

রাবি শিক্ষার্থী সাইমা আরাবীর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি | ক্যাম্পাস

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মনির হোসেন মাহিন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী বিভাগের শিক্ষার্থী সাইমা আরাবীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

মঙ্গলবার (৭ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।

এসময় তাদের দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম পরিষদের নেতাকর্মীরা এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

এসময় দুঃখ প্রকাশ করে সাইমা আরাবীর ভাই মাসুম বলেন, আমার বোন কোমল মনের মানুষ ছিলো। সে এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না। একটা পরিবারকে লালসার কবলে ফেলে ক্ষতির দিকে ধাবিত করা হয়েছে। সে বাহিরে কারো সাথে মিলামেশা করতো না। সে চাপা স্বভাবের ছিলো। সে ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখেছিল। তাকে মানবিক চাপ দিয়ে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি জান্নাত জানা বলেন, আমাদের সাইমা আপুকে আত্মহত্যা দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। থানায় মামলা করতে গেলেও সেখানে মামলা নেওয়া হয়নি। তার পরিবারকে বিভিন্ন চাপ দেওয়া হয়েছে। আজ আপুর সাথে যা হয়েছে তা আমাদের সাথেও হতে পারে। তাই আমরা এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি।

এসময় মহিলা পরিষদের নেতাকর্মীরা বলেন, কতটা কষ্ট পেলে একজন মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে। বাংলাদেশের নারীরা কতটা কষ্টে আছে তার একটি উদাহরণ হচ্ছে সাইমা। সে একা বোধ করেছে। তার পাশে কাউকে পায়নি ।আত্মাহত্যায় যে প্ররোচনা করেছে তার মতো অপরাধী আর কেউ হতে পারে না। আমরা এর বিচার চাই।

তারা আরো বলেন, আমরা যারা আত্মহত্যা করে তাদেরকে দোষ দেই। কিন্তু তার কারন জানতে চাই না। আজ আমার পরিবারে ঘটেছে কাল আপনার পরিবারেও হতে পারে। এমন হলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পরবে। আমারা নারিদের নিয়ে কাজ করি। একটা ঘটনা ঘটে গেলে পরে আর কিছু করার থাকে না ।

প্রসঙ্গত, সাইমা চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৯ জানুয়ারি বিকেলে অতিরিক্ত পরিমাণে এসডোকল-৫ ওষুধ খেয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছে।

http://এইচ/কে