ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংগীত বিভাগের আয়োজনে জবিতে রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
  • / ৯৬১৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জবি প্রতিনিধি।

বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার কালজয়ী পুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গান, কবিতা, নাটক, উপন্যাস, ছোটগল্প ইত্যাদি সাহিত্যকর্মকে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্ব দরবারে।

প্রতিবছরের মতো এবারো রবীন্দ্রজয়ন্তীতে কালজয়ী রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করতে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ।

সোমবার (৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের ১২ তলায় রবীন্দ্রনাথের ১৬২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। প্রধান অতিথি উপাচার্য বলেন, জাতীয় সংগীততের এই সংহতিকে আমাদের জাতীয় জীবনেও ধরে রাখতে হবে। রবীন্দ্রনাথ কম কথায় অত্যন্ত ভাবগম্ভীর লেখা লিখতেন। তার লেখার সাথে অন্য কারো তুলনা চলেনা। এ সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সৃংস্কৃতি চর্চা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ১৯টি গান গাওয়া হয়। এ গানগুলোর মধ্যে ছিল ওই মহামানব আসে, হে নূতন দেখা দিক আর বার, লহো লহো তুলে লহো, ও তোমার প্রেমে ধন্য, রাইমা মজুমদার রাত্রি, জগত জুড়ে উদার সুরে, দাঁড়াও আমার আঁখির আগে, সূচিতা সোদি, মম চিত্তে নিতি নৃত্যে, প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে, তোরা শুনিস মি কি, বাংলার মাটি বাংলার জল, জয় তব বিচিত্র, চরণধ্বনি শুনি তব, আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার, বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো।

এছাড়া এসময় জবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ (১৮৬১ সালের ৭ মে) কলকাতার ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সে কারণে ২৫ বৈশাখ দিনটি পালিত হয় রবীন্দ্রজয়ন্তী হিসেবে। এই দিনটি আপামর বাঙালি আন্তরিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বিশ্ব কবিকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সংগীত বিভাগের আয়োজনে জবিতে রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

জবি প্রতিনিধি।

বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার কালজয়ী পুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গান, কবিতা, নাটক, উপন্যাস, ছোটগল্প ইত্যাদি সাহিত্যকর্মকে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্ব দরবারে।

প্রতিবছরের মতো এবারো রবীন্দ্রজয়ন্তীতে কালজয়ী রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করতে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ।

সোমবার (৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের ১২ তলায় রবীন্দ্রনাথের ১৬২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। প্রধান অতিথি উপাচার্য বলেন, জাতীয় সংগীততের এই সংহতিকে আমাদের জাতীয় জীবনেও ধরে রাখতে হবে। রবীন্দ্রনাথ কম কথায় অত্যন্ত ভাবগম্ভীর লেখা লিখতেন। তার লেখার সাথে অন্য কারো তুলনা চলেনা। এ সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সৃংস্কৃতি চর্চা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ১৯টি গান গাওয়া হয়। এ গানগুলোর মধ্যে ছিল ওই মহামানব আসে, হে নূতন দেখা দিক আর বার, লহো লহো তুলে লহো, ও তোমার প্রেমে ধন্য, রাইমা মজুমদার রাত্রি, জগত জুড়ে উদার সুরে, দাঁড়াও আমার আঁখির আগে, সূচিতা সোদি, মম চিত্তে নিতি নৃত্যে, প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে, তোরা শুনিস মি কি, বাংলার মাটি বাংলার জল, জয় তব বিচিত্র, চরণধ্বনি শুনি তব, আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার, বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো।

এছাড়া এসময় জবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ (১৮৬১ সালের ৭ মে) কলকাতার ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সে কারণে ২৫ বৈশাখ দিনটি পালিত হয় রবীন্দ্রজয়ন্তী হিসেবে। এই দিনটি আপামর বাঙালি আন্তরিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বিশ্ব কবিকে।