কক্সবাজারে দিনব্যাপী /শুকনো মাছের গুঁড়া দিয়ে রান্নার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ১১:২৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৯৬৪৪ বার পড়া হয়েছে
আজিজ উদ্দিন
ফিড দ্যা ফিউচার প্রজেক্টের মাধ্যমে পালংকি কন্যা আয়োজিত ইউএসঅ্যাড এন্ড ওয়ার্ল্ড ফিসের অর্থায়নে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে দিনব্যাপী শুটকি গুড়া দিয়ে রান্নার প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।
দশজন তরুণ নারী উদ্যোক্তা রান্না প্রতিযোগীতাই অংশ নেন। অংশগ্রহণকারী দশজনই প্রায় ঘন্টাব্যাপী বিভিন্ন রেসেপি রান্না করেন।
অংশগ্রহণকারী রেসেপি গুলো উক্ত অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ৪৫জন সকলকে খাওয়াইয়ে তাদের খাবারের স্বাদ অনুভূতি প্রকাশ করান। দশজন থেকে তিনজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
১ম স্থান অধিকার করেন মুন্নি আকতার, ২য় স্থান নাদিয়া, ৩য় ন্থান শর্মা দে। অংশগ্রহণ সকলকে ক্রেস্ট ও পুরুস্কার প্রদান করা হয়।
ওয়ার্ড ফিস কক্সবাজারের প্রধান সমন্বয়কারী এসএম নুরুন্নবী শুটকি গুড়া দিয়ে রান্না প্রতিযোগীতা উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, পালংকী কন্যার কর্ণদ্বার একজন তরুণ নারী উদ্যোক্তা। সে তার অদম্য ইচ্ছেকে কাজে লাগিয়ে তরুণ নারী উদ্যোক্তা হিসেবে সমাজের কাছে পরিচিত হচ্ছে। সে তার কাজকে বড় করে দেখছে এবং সে তার কাজ দিয়ে অনেক বড় উদ্যোক্তা হতে চাই।
আপনারাও তাকে দেখে এগিয়ে আসবেন উদ্যোক্তা হিসেবে। ওয়ার্ল্ড ফিস পালংকী কন্যার কাজে অনুপ্রানিত হয়ে ভালো কিছু তৈরি করার জন্য কাজ করছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চেম্বার অফ কমার্স ইন্ড্রাস্টির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা। তিনি বলেন, একজন উদ্যোক্তার যত গুলো গুণাবলি থাকা দরকার, তা পালংকী কন্যার কর্ণদ্বার নাজমা আকতার রেশমীর কাছে আছে। সে একজন ছাত্রী। তার পড়ালেখার পাশাপাশি সে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছে।
চেম্বার তার মত যারা নতুন উদ্যোক্তা আছে, তাদের পাশে থেকে সহযোগীতা করবে এমনটা আমাদের চেম্বারের আশা।
আপনারা যারা নতুন উদ্যোক্তা হতে চান, তাদের প্রতি চেম্বারের পক্ষ থেকে রইল শুভ কামনা। চেম্বার আপনাদের পাশে সবসময় থাকবে। আপনারা চাকরি না খোজে, নিজে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে নিজে প্রতিষ্ঠিত করায় আপনাদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন করছি।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মং এ রাখাইন, ওয়ার্ল্ড ফিস এর গবেষক ড. আবদুল বাতেন ভূঁইয়া, মৎস্য অধিদপ্তরের মৎস্য কর্মকর্তা ও পালংকী কন্যার কর্ণদ্বার নাজমা আকতার রেশমি।
নাজমা আকতার রেশমি বলেন,আমি কক্সবাজারের মেয়ে, তাই কক্সবাজারের পুরাতন নামের মধ্যে থেকে আমার প্রথম পছন্দ পালংকি। সে থেকে আমি আমার পছন্দের নাম দিয়ে শুরু করি পালংকি কন্যা নামে। ২০১৯সালে আমি যাত্রা শুরু করি।
এই পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে আমার পাঁচশত গ্রাহক আছে। আমি শুটকি ও শুটকির গুড়া নিয়ে কাজ করার প্রধান কারণ হচ্ছে, আমি ছোট বেলায় থেকে দেখে আসছি শুটকি কেউ নিরাপদ ভাবে তৈরি করছে না। সে ধারণা থেকে আমি উদ্যোগ নিলাম কিভাবে নিরাপদ শুটকি আর শুটকি গুড়া কিভাবে বানাতে পারি।
সে বিষয়ে পড়াশুনা আর ফিস ওয়ার্ল্ডের সাহায্যোর আমি নিরাপদ শুটকি গুড়া তৈরি করতে নেমে পড়ি। শিশু এবং গর্ভবতি মায়েদের জন্য শুটকি গুড়া প্রোটিং হিসেবে অনেক কাজ করে। সেটা মাথায় রেখে, শুটকি গুড়ার উপর কাজ শুরু করি। সামনে আরো ভালো কিছু করব, এই আশা।
সমাপনি ও সভাপতির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্র কক্সবাজারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান। তিনি, অংশ গ্রহণকারী সকলের হাতে ক্রেস্ট ও পুরুস্কার তুলো দেন। তিনি বলেন, আগামীতে আরো বেশি নারী উদ্যোক্তা তৈরি হবে। আজকের এই প্রতিযোগীতা দেখে।শুটকির বিষয়ে আপনাদের কোন মতামত দরকার হলে, অবশ্যই আসবেন সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রে।