ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::

ক্ষেতলালে যৌতুকের জন্য স্ত্রীর উপর নির্যাতন 

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩
  • / ৯৬০২ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ আমজাদ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার। 

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে যৌতুক লোভী পরকীয়াকারী স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে জিনাত রেহেনা রুপা (২৬) নামের এক গৃহবধূ গ্যাস-ট্যাবলেট খেয়ে স্বামীর বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় শনিবার (২২ জুলাই) রুপার বাবা আহসানুল করিম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় আসামিরা হলেন৷ শিশি গ্রামের ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে নাজিমদ্দিন রুবেল(৩৫) তার বাবা ইব্রাহিম মন্ডল (৬০)ও ইব্রাহিমের স্ত্রী মাহবুবা (৫৫)

ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী মাহবুবা গ্রেফতার হলে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে এ মামলায় ১ং আসামি নাজিমদ্দিন পলাতক রয়েছে৷

উপজেলার শিশি গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৃত গৃহবধূর বাবা মোঃ আহসানুল করিম৷ ,

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়তরা ইউনিয়নের শিশি গ্রামের মো: ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে নাজিমদ্দিন ওরফে রুবেল (৩৫) সাথে ১২ বছর আগে আক্কেলপুর উপজেলার রকিন্দুপুর গ্রামের মোঃ আহসানুল করিমের মেয়ে জিনাত রেহেনা রুপার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকলোভী স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য তাকে প্রায়ই মারধর করতো।

এরই এক পর্যায়ে গত শনিবার ২০ জুলাই রাতে স্বামী রুবেল ও শাশুড়ি পুনরায় নির্যাতন ও মারধর করে বাড়ি থেকে বের হতে বলে। ওই গৃহবধূ রুপা সহ্য করতে না পেরে (২২জুলাই) সকালে স্বামীর বাড়িতে গ্যাস-ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে৷ প্রতিবেশিদের ফোন পেয়ে রুপার বাবা আহসান মেয়ের বাড়িতে এসে মেয়ের নিথর দেহ পরে আছে অন্যর সহয়াতায় মেয়ের শিরিরে বিবিন্ন স্থানে ফুলা ও আঘাতের চিন্ন দেখতে পান৷

ওই গৃহবধুর মা নাজনিন সুলতানা সাংবাদিকদের জানান বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে নির্যাতন করত যৌতুক চাইত জামায় নরসিংদী ভীষণ কোম্পানিতে চাকরি করত সেখানে মিম নামের একটা মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক এই কারনে আমার মেয়েকে সব সময় নির্যাতন করত আমি এ হত্যার বিচার চাই৷

এ প্রসঙ্গে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে প্রধান আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে৷৷

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ক্ষেতলালে যৌতুকের জন্য স্ত্রীর উপর নির্যাতন 

আপডেট সময় : ০১:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩

মোঃ আমজাদ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার। 

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে যৌতুক লোভী পরকীয়াকারী স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে জিনাত রেহেনা রুপা (২৬) নামের এক গৃহবধূ গ্যাস-ট্যাবলেট খেয়ে স্বামীর বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় শনিবার (২২ জুলাই) রুপার বাবা আহসানুল করিম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় আসামিরা হলেন৷ শিশি গ্রামের ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে নাজিমদ্দিন রুবেল(৩৫) তার বাবা ইব্রাহিম মন্ডল (৬০)ও ইব্রাহিমের স্ত্রী মাহবুবা (৫৫)

ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী মাহবুবা গ্রেফতার হলে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে এ মামলায় ১ং আসামি নাজিমদ্দিন পলাতক রয়েছে৷

উপজেলার শিশি গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৃত গৃহবধূর বাবা মোঃ আহসানুল করিম৷ ,

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়তরা ইউনিয়নের শিশি গ্রামের মো: ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে নাজিমদ্দিন ওরফে রুবেল (৩৫) সাথে ১২ বছর আগে আক্কেলপুর উপজেলার রকিন্দুপুর গ্রামের মোঃ আহসানুল করিমের মেয়ে জিনাত রেহেনা রুপার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকলোভী স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য তাকে প্রায়ই মারধর করতো।

এরই এক পর্যায়ে গত শনিবার ২০ জুলাই রাতে স্বামী রুবেল ও শাশুড়ি পুনরায় নির্যাতন ও মারধর করে বাড়ি থেকে বের হতে বলে। ওই গৃহবধূ রুপা সহ্য করতে না পেরে (২২জুলাই) সকালে স্বামীর বাড়িতে গ্যাস-ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে৷ প্রতিবেশিদের ফোন পেয়ে রুপার বাবা আহসান মেয়ের বাড়িতে এসে মেয়ের নিথর দেহ পরে আছে অন্যর সহয়াতায় মেয়ের শিরিরে বিবিন্ন স্থানে ফুলা ও আঘাতের চিন্ন দেখতে পান৷

ওই গৃহবধুর মা নাজনিন সুলতানা সাংবাদিকদের জানান বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে নির্যাতন করত যৌতুক চাইত জামায় নরসিংদী ভীষণ কোম্পানিতে চাকরি করত সেখানে মিম নামের একটা মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক এই কারনে আমার মেয়েকে সব সময় নির্যাতন করত আমি এ হত্যার বিচার চাই৷

এ প্রসঙ্গে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে প্রধান আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে৷৷