ঢাকা ০৮:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের অনলাইন প্রেজেন্টস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন শানাকা ক্যাচ আউট, রান আউট, তারপরও নটআউট, সুপার ওভারে আসলে কী ঘটেছিল পাকিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কার হার, সহজ যে সমীকরণ মেলালেই ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ খুমেকে জোর করে অক্সিজেন খুলে নেয় ক্লিনার, একটু পরেই রোগীর মৃত্যু জকসু সহ ২ দাবিতে জবি শিবিরের কঠোর কর্মসূচি জবির অর্ধ-কোটি টাকার লিফট নির্মাণে অর্থের লুটপাট জাকের পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ছাত্রফ্রন্ট নেতা ওমর ফারুক এর শুভেচ্ছা বার্তা বাস স্ট্যান্ড অপসারণের ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম জবি শিক্ষার্থীদের দেশে প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস মনিটরিং ব্যবস্থা চালু ইতিহাস বিভাগকে হারিয়ে জুলাই রেভুলেশন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন একাউন্টিং বিভাগ

দেনা রেখে কোরবানি দেওয়া জায়েজ হবে ?

মুহাঃ আবদুল জাব্বার
  • আপডেট সময় : ০২:০৩:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০২২
  • / ৯৬৮৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঋণগ্রস্ত কিন্তু নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক। ঋণ থাকার কারণে তার কোরবানির হুকুম কী হবে? সেকি কোরবানি দিতে পারবে? এ ব্যাপারে ইসলামের দিক-নির্দেশনাই বা কি?

নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি ঋণগ্রস্ত হয় তবে তার কোরবানি দেওয়া আবশ্যক কিনা তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির অবস্থার ওপর।

তখন প্রশ্ন জাগে-

‘ঋণের পরিমাণ কত? ঋণ পরিশোধ করলে যে সম্পদ থাকবে, তা কি নেসাব পরিমাণ হবে?

প্রশ্নের আলোকে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি ঋণগ্রস্ত হয় তবে তাদের কোরবানির বিষয়টি এভাবে দেখতে হবে-

১. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি ঋণ পরিশোধ করার পর কোরবানির সময়ে তার নেসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে তবে ওই ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য কোরবানি আবশ্যক নয়।

২. আর যদি ঋণ পরিশোধ করার পরও কোরবানির সময়ে সাময়িক ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তবে ওই ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্যও কোরবানি আবশ্যক।

মনে রাখতে হবে,

কোরবানির জন্য নেসাব পরিমাণ সম্পদ সারাবছর গচ্ছিত বা জমা থাকা আবশ্যক নয়। বরং কোরবানির দিনগুলোতে যদি কারো কাছে ঋণ ও বাৎসরিক খরচ মেটানোর পর অতিরিক্ত অর্থ থাকে আর তা সাড়ে ৭ ভরি/তোলা সোনা ও সাড়ে ৫২ তোলা/ভরি রুপার সমপরিমাণ অর্থ থাকে তবে তাকে কোরবানি দিতে হবে।

বর্তমান সময়ে সোনা-রুপার মূল্য অনুযায়ী কারো কাছে যদি সর্বনিন্ম ৫০ হাজার টাকাও থাকে তবে তাকে রুপার নেসাব পরিমাণ অর্থের বিধান অনুযায়ী কোরবানি দিতে হবে।

সুতরাং পরিবারের খরচ মেটানো ও ঋণের পরও যদি জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ নির্ধারিত পরিমাণ সোনা বা রুপা থাকে কিংবা বাজার দর অনুযায়ী সমপরিমাণ টাকা অর্থাৎ ৫০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকা থাকে তবে ওই ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা আবশ্যক।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকদের যথাযথভাবে বিশুদ্ধ নিয়তে কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দেনা রেখে কোরবানি দেওয়া জায়েজ হবে ?

আপডেট সময় : ০২:০৩:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০২২

ঋণগ্রস্ত কিন্তু নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক। ঋণ থাকার কারণে তার কোরবানির হুকুম কী হবে? সেকি কোরবানি দিতে পারবে? এ ব্যাপারে ইসলামের দিক-নির্দেশনাই বা কি?

নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি ঋণগ্রস্ত হয় তবে তার কোরবানি দেওয়া আবশ্যক কিনা তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির অবস্থার ওপর।

তখন প্রশ্ন জাগে-

‘ঋণের পরিমাণ কত? ঋণ পরিশোধ করলে যে সম্পদ থাকবে, তা কি নেসাব পরিমাণ হবে?

প্রশ্নের আলোকে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি ঋণগ্রস্ত হয় তবে তাদের কোরবানির বিষয়টি এভাবে দেখতে হবে-

১. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি ঋণ পরিশোধ করার পর কোরবানির সময়ে তার নেসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে তবে ওই ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য কোরবানি আবশ্যক নয়।

২. আর যদি ঋণ পরিশোধ করার পরও কোরবানির সময়ে সাময়িক ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তবে ওই ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্যও কোরবানি আবশ্যক।

মনে রাখতে হবে,

কোরবানির জন্য নেসাব পরিমাণ সম্পদ সারাবছর গচ্ছিত বা জমা থাকা আবশ্যক নয়। বরং কোরবানির দিনগুলোতে যদি কারো কাছে ঋণ ও বাৎসরিক খরচ মেটানোর পর অতিরিক্ত অর্থ থাকে আর তা সাড়ে ৭ ভরি/তোলা সোনা ও সাড়ে ৫২ তোলা/ভরি রুপার সমপরিমাণ অর্থ থাকে তবে তাকে কোরবানি দিতে হবে।

বর্তমান সময়ে সোনা-রুপার মূল্য অনুযায়ী কারো কাছে যদি সর্বনিন্ম ৫০ হাজার টাকাও থাকে তবে তাকে রুপার নেসাব পরিমাণ অর্থের বিধান অনুযায়ী কোরবানি দিতে হবে।

সুতরাং পরিবারের খরচ মেটানো ও ঋণের পরও যদি জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ নির্ধারিত পরিমাণ সোনা বা রুপা থাকে কিংবা বাজার দর অনুযায়ী সমপরিমাণ টাকা অর্থাৎ ৫০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকা থাকে তবে ওই ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা আবশ্যক।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকদের যথাযথভাবে বিশুদ্ধ নিয়তে কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।