ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চৌদ্দগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত স্কুল শিক্ষার্থী নিরবের পাশে আনন্দ সংঘ ১৫টি গ্রামের মানুষ ব্যপক দূর্ভোগে ৪বছরেও ভাঙা সেতু হয়নি মেরামত আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে উচ্চস্বরে মাইক বাজানোর দায়ে প্রার্থীর মাইক বক্স জব্দ শেষ মুহুর্তে ব্যপক প্রচারণায় ব্যস্ত দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীরা মানবসেবার আড়ালে প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করেছে ডিবি দুর্গাপুরে নানা আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪ পালিত ভোলার তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়ে ১৫ টি দোকান ছাই ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি থেকে মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হলেন সিফাত দুর্গাপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে ৬ চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ ইবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকছে না কোন পরিবহন সেবা
ব্রেকিং নিউজ ::

এস এসসি পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ ১২ মে। 

যে তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না,মূফতী শরিফুল ইসলাম সাঈফী 

আলহাজ্ব শেখ
  • আপডেট সময় : ০৬:১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৬৬৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন, যাদের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ওই তিন ব্যক্তির অন্যতম হলো রোজাদার, ইফতারের সময় রোজাদার যে দোয়া করে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না:

১. ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া

২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া

৩. মজলুম বা অত্যাচারিতের দোয়া।

মজলুমের দোয়া আল্লাহ তাআলা মেঘমালার ওপর উঠিয়ে নেন এবং তার জন্য আকাশের দরজা খুলে দেওয়া হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার ইজ্জতের কসম নিশ্চয়ই আমি তোমায় সাহায্য করব কিছু সময় দেরি হলেও। (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৯৮)

মুসনাদে আহমদের বর্ণনায় এসেছে, ‘ইফতারের আগ পর্যন্ত রোজাদারের দোয়া’ অর্থাৎ রোজা অবস্থায় রোজাদার যে দোয়া করে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।

আমরা বলতে পারি রোজাদারের যে কোনো সময়ের দোয়াই আল্লাহ কবুল করেন। তাই রোজা অবস্থায় বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। বিশেষত ইফতারের পূর্বমুহূর্তে দোয়া করা উচিত, কিছু বর্ণনায় এ সময়টিকে দোয়া কবুলের সাথে বিশেষায়িত করা হয়েছে এবং এ সময় দোয়া করার আমল সাহাবিদের থেকেও বর্ণিত রয়েছে।রমজানে রোজা ও ইবাদতের বদলায়ও আল্লাহ ‍গুনাহ মাফ করে দেন।

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমজান মাসে সিয়াম পালন করবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।

আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমজানের রাত নামাজে দাঁড়িয়ে কাটাবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় লায়লাতুল কদর ইবাদাতে কাটাবে তারও আগের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

আরও পড়ুন :

যে সব কারণে রোজা ভঙ্গ হবে না-এবং মাকরূহ হবে না

রমজানে চার আমলের বিশেষ গুরুত্ব: মূফতি শরিফুল ইসলাম সাঈফী

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

যে তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না,মূফতী শরিফুল ইসলাম সাঈফী 

আপডেট সময় : ০৬:১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন, যাদের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ওই তিন ব্যক্তির অন্যতম হলো রোজাদার, ইফতারের সময় রোজাদার যে দোয়া করে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না:

১. ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া

২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া

৩. মজলুম বা অত্যাচারিতের দোয়া।

মজলুমের দোয়া আল্লাহ তাআলা মেঘমালার ওপর উঠিয়ে নেন এবং তার জন্য আকাশের দরজা খুলে দেওয়া হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার ইজ্জতের কসম নিশ্চয়ই আমি তোমায় সাহায্য করব কিছু সময় দেরি হলেও। (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৯৮)

মুসনাদে আহমদের বর্ণনায় এসেছে, ‘ইফতারের আগ পর্যন্ত রোজাদারের দোয়া’ অর্থাৎ রোজা অবস্থায় রোজাদার যে দোয়া করে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।

আমরা বলতে পারি রোজাদারের যে কোনো সময়ের দোয়াই আল্লাহ কবুল করেন। তাই রোজা অবস্থায় বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। বিশেষত ইফতারের পূর্বমুহূর্তে দোয়া করা উচিত, কিছু বর্ণনায় এ সময়টিকে দোয়া কবুলের সাথে বিশেষায়িত করা হয়েছে এবং এ সময় দোয়া করার আমল সাহাবিদের থেকেও বর্ণিত রয়েছে।রমজানে রোজা ও ইবাদতের বদলায়ও আল্লাহ ‍গুনাহ মাফ করে দেন।

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমজান মাসে সিয়াম পালন করবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।

আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমজানের রাত নামাজে দাঁড়িয়ে কাটাবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় লায়লাতুল কদর ইবাদাতে কাটাবে তারও আগের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

আরও পড়ুন :

যে সব কারণে রোজা ভঙ্গ হবে না-এবং মাকরূহ হবে না

রমজানে চার আমলের বিশেষ গুরুত্ব: মূফতি শরিফুল ইসলাম সাঈফী