ঢাকা ১২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
নীলফামারীতে আগাম আলু তোলা শুরু, মাঠেই বিক্রি ৯০ টাকা কেজি শ্রীপুরে মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন শ্রীপুরে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার সময়ে কে কত মিথ্যে বলতে পারে এই প্রতিযোগীতা ছিলো- ডা. শফিকুর রহমান শ্রীপুরে বিএনপি’র বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা রসুলপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে বারপাড়া সমাজকল্যান পরিষদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ শ্রীপুরে প্রতিবন্ধী শনাক্ত জরিপ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত শ্রীপুর প্রেসক্লাবের নতুন সভাপতি মুসাফির নজরুল ও সাধারণ সম্পাদক নাসিরুল ইসলাম অর্থের অভাবে জীবন যুদ্ধে জয়ী সালমা খাতুন কি এবার পরাজয় বরণ করবে? কুমিল্লায় জাকের পার্টির ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের প্রতিনিধি সম্মেলন

যে তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না,মূফতী শরিফুল ইসলাম সাঈফী 

আলহাজ্ব শেখ
  • আপডেট সময় : ০৬:১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৯৭১৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন, যাদের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ওই তিন ব্যক্তির অন্যতম হলো রোজাদার, ইফতারের সময় রোজাদার যে দোয়া করে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না:

১. ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া

২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া

৩. মজলুম বা অত্যাচারিতের দোয়া।

মজলুমের দোয়া আল্লাহ তাআলা মেঘমালার ওপর উঠিয়ে নেন এবং তার জন্য আকাশের দরজা খুলে দেওয়া হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার ইজ্জতের কসম নিশ্চয়ই আমি তোমায় সাহায্য করব কিছু সময় দেরি হলেও। (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৯৮)

মুসনাদে আহমদের বর্ণনায় এসেছে, ‘ইফতারের আগ পর্যন্ত রোজাদারের দোয়া’ অর্থাৎ রোজা অবস্থায় রোজাদার যে দোয়া করে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।

আমরা বলতে পারি রোজাদারের যে কোনো সময়ের দোয়াই আল্লাহ কবুল করেন। তাই রোজা অবস্থায় বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। বিশেষত ইফতারের পূর্বমুহূর্তে দোয়া করা উচিত, কিছু বর্ণনায় এ সময়টিকে দোয়া কবুলের সাথে বিশেষায়িত করা হয়েছে এবং এ সময় দোয়া করার আমল সাহাবিদের থেকেও বর্ণিত রয়েছে।রমজানে রোজা ও ইবাদতের বদলায়ও আল্লাহ ‍গুনাহ মাফ করে দেন।

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমজান মাসে সিয়াম পালন করবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।

আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমজানের রাত নামাজে দাঁড়িয়ে কাটাবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় লায়লাতুল কদর ইবাদাতে কাটাবে তারও আগের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

আরও পড়ুন :

যে সব কারণে রোজা ভঙ্গ হবে না-এবং মাকরূহ হবে না

রমজানে চার আমলের বিশেষ গুরুত্ব: মূফতি শরিফুল ইসলাম সাঈফী

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

যে তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না,মূফতী শরিফুল ইসলাম সাঈফী 

আপডেট সময় : ০৬:১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন, যাদের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ওই তিন ব্যক্তির অন্যতম হলো রোজাদার, ইফতারের সময় রোজাদার যে দোয়া করে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না:

১. ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া

২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া

৩. মজলুম বা অত্যাচারিতের দোয়া।

মজলুমের দোয়া আল্লাহ তাআলা মেঘমালার ওপর উঠিয়ে নেন এবং তার জন্য আকাশের দরজা খুলে দেওয়া হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার ইজ্জতের কসম নিশ্চয়ই আমি তোমায় সাহায্য করব কিছু সময় দেরি হলেও। (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৯৮)

মুসনাদে আহমদের বর্ণনায় এসেছে, ‘ইফতারের আগ পর্যন্ত রোজাদারের দোয়া’ অর্থাৎ রোজা অবস্থায় রোজাদার যে দোয়া করে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।

আমরা বলতে পারি রোজাদারের যে কোনো সময়ের দোয়াই আল্লাহ কবুল করেন। তাই রোজা অবস্থায় বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। বিশেষত ইফতারের পূর্বমুহূর্তে দোয়া করা উচিত, কিছু বর্ণনায় এ সময়টিকে দোয়া কবুলের সাথে বিশেষায়িত করা হয়েছে এবং এ সময় দোয়া করার আমল সাহাবিদের থেকেও বর্ণিত রয়েছে।রমজানে রোজা ও ইবাদতের বদলায়ও আল্লাহ ‍গুনাহ মাফ করে দেন।

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমজান মাসে সিয়াম পালন করবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।

আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমজানের রাত নামাজে দাঁড়িয়ে কাটাবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় লায়লাতুল কদর ইবাদাতে কাটাবে তারও আগের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

আরও পড়ুন :

যে সব কারণে রোজা ভঙ্গ হবে না-এবং মাকরূহ হবে না

রমজানে চার আমলের বিশেষ গুরুত্ব: মূফতি শরিফুল ইসলাম সাঈফী